মদিনায় স্থাপত্য শিল্পের পুরস্কার পাই কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর মসজিদ

 


বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের হাতে সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন প্রিন্স সুলতান বিন সালমান এবং মদিনার গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের হাতে সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন প্রিন্স সুলতান বিন সালমান এবং মদিনার গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান

জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর স্বীকৃতি ‘অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতির পর এবার মুসলিম বিশ্বে অনন্য ‘মসজিদ স্থাপত্য শিল্পে’র অন্যতম শ্রেষ্ঠ নান্দনিক নিদর্শন হিসেবে বিজয়ী হলো কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ। ‘লাল মসজিদ’ নামে খ্যাত প্রাচীন এ মসজিদটি কেরানীগঞ্জে অবস্থিত।

মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের আস সালাম সম্মেলন হলে আয়োজিত এক রাজকীয় জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ী স্থপতি কাশেফ চৌধুরীর পক্ষে ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র গ্রহণ করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

আবদুল লতিফ ফাওজান আন্তর্জাতিক ‘মসজিদ স্থাপত্য শিল্প বিষয়ক অ্যাওয়ার্ড’-এর তৃতীয় সেশনে এবারের আয়োজনে পুরো মুসলিম বিশ্ব থেকে সাতটি মসজিদ স্থাপত্য শিল্পের অনন্য সাধারণ নিদর্শন হিসেবে নির্বাচিত হয়।

তিন মহাদেশের ৪৩টি দেশ থেকে ২০১টি মসজিদের মধ্যে সাতটি মসজিদ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে- সৌদি আরব, মিসর, লেবানন, ইন্দোনেশিয়া, মালে ও তুরস্ক।

কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর মসজিদ

 

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের হাতে সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন অ্যাওয়ার্ড ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রিন্স সুলতান বিন সালমান এবং মদিনা অঞ্চলের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান।

এর আগে ১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পায় দেড় শ’ বছরের পুরোনো দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর ইউনিয়নের এই মসজিদটি ১৮৬৮ সালে নির্মাণ করা হয়। তখনকার জনসংখ্যার বিবেচনায় এটি ছোট আকারে নির্মাণ করা হয়েছিল। এরপর মসজিদটি একাধিকবার সম্প্রসারণ করা হয়। কালের পরিক্রমায় মসজিদের অবকাঠামো ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যাচ্ছিল। কয়েক বছর আগে মসজিদটিকে সংস্কার করে পুরোনো রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেন সেখানকার সংসদ সদস্য ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

স্থপতি আবু সাঈদ এম আহমেদ এ সংস্কার কাজের নেতৃত্ব দেন। ২০১৮ সালে এর সংস্কার কাজ শেষ হয়। পুরোনো মসজিদের পাশেই নির্মাণ করা হয় নতুন আরেকটি মসজিদ। পুরোনো মসজিদটি এখন লাইব্রেরি এবং মক্তবে রূপান্তরিত হয়েছে।

সাততেতৈয়া

শরিয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারফত কাকে বলে? বিস্তারিত?

পবিত্র কুরআন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।

হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-বড় পীর এর জীবনী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

তাজবীদ

জামে মসজিদ নীতিমালা