পবিত্র কুরআন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।


পবিত্র আল কোরআন মহান আল্লাহ মানব জাতির হেদায়েতের জন্য নাযিল করেছেন। মহান আল্লাহ এই কোরআনে ইহকালে মানুষের দৈনন্দিন পথ চলার এবং পরকালের আমল সঙ্গে নেয়ার সার্বিক পথ সুনির্দিষ্টভাবে বাতলে দিয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হলো।০১) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনুল কারীমে কতটি সূরা আছে?
উত্তরঃ ১১৪টি।
০২) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের প্রথম সূরা
র নাম কি?
উত্তরঃ সূরা ফাতিহা।০৩) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে বড় সূরার নাম কি?উত্তরঃ সূরা বাকারা।
০৪) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে ছোট সূরার নাম কি?উত্তরঃ সূরা কাওছার।
০৫) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়াত কোনটি কোন সূরায়?উত্তরঃ সূরা বাক্বারার ২৮২ নং আয়াত।
০৬) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ আয়াত কোনটি?
উত্তরঃ আয়াতুল কুরসী। (সূরা বাক্বারা ২৫৫ নং আয়াত।
০৭) প্রশ্নঃ ফরয নামাযান্তে কোন আয়াতটি পাঠ করলে, মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যেতে কোন বাধা থাকে না?
উত্তরঃ আয়াতুল কুরসী।
০৮) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন্ সূরাটি পাঠ করলে কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে?উত্তরঃ সূরা মুলক। (৬৭নং সূরা)
০৯) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান?উত্তরঃ সূরা ইখলাছ। (112 নং সূরা)
১০) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার প্রতি ভালবাসা মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে?উত্তরঃ সূরা ইখলাছ।
১১) প্রশ্নঃ কোন সূরাটি পবিত্র কুরআনের চতুর্থাংশের সমপরিমাণ?উত্তরঃ সূরা কাফেরূন। (109 নং সূরা)
১২. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি জুমআর দিন বিশেষভাবে পাঠ করা মুস্তাহাব?উত্তরঃ সূরা কাহাফ (18 নং সূরা))
১৩ প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার প্রথমাংশ তেলাওয়াতকারীকে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা করবে?
উত্তরঃ সূরা কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত। (18 নং সূরা))
১৪) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন দু’টি সূরা জুমআর দিন ফজরের নামাযে তেলাওয়াত করা সুন্নাত?
উত্তরঃ সূরা সাজদা ও দাহার।
১৫ প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন দু’টি সূরা জুমআর নামাযে তেলাওয়াত করা সুন্নাত?উত্তরঃ সূরা আ’লা ও গাশিয়া।
১৬) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআন কত বছরে নাযিল হয়?উত্তরঃ তেইশ বছরে।
১৭) প্রশ্নঃ ‘মুহাম্মাদ’ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরনাম পবিত্র কুরআনে কত স্থানে উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ চার স্থানে। (১) সূরা আল ইমরান আয়াত- ১৪৪। (২) সূরা আহযাব আয়াত নং ৪০। (৩) সূরা মুহাম্মাদ আয়াত নং ২। (৪) সূরা ফাতাহ্ আয়াত নং ২৯।
১৮) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম কোন আয়াত নাযিল হয়?উত্তরঃ সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত। ইক্বরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযী
..
১৯) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন আয়াতটি সর্বশেষ নাযিল হয়?
উত্তরঃ আল্লাহ্ বলেন, (
وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ تُوَفَّى كُلُّ نَفْسٍ مَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ) সূরা বাক্বারার ২৮১ নং আয়াত। (ইবনু আবী হাতেম সাঈদ বিন জুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নয় দিন জীবিত ছিলেন।- আল ইতক্বান ফি উলূমিল কুরআন)
২০) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম কোন সূরাটি পূর্ণাঙ্গরূপে নাযিল হয়?উত্তরঃ সূরা ফাতিহা।
২১) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআন প্রথম যুগে কিভাবে সংরক্ষিত ছিল?
উত্তরঃ ছাহাবায়ে কেরামের স্মৃতিতে, লিখিত অবস্থায় চামড়ায়, হাড়ে, পাতায় এবং পাথরে।
২৩) প্রশ্নঃ সর্বপ্রথম কে কুরআন একত্রিত করেন?উত্তরঃ আবু বকর (রাঃ)।
২৪) প্রশ্নঃ কোন সাহাবীকে কুরআন একত্রিত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল?উত্তরঃ যায়েদ বিন ছাবেত (রাঃ)কে।
২৫) প্রশ্নঃ কার পরামর্শে এই কুরআন একত্রিত করণের কাজ শুরু হয়?উত্তরঃ ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ)
২৬) প্রশ্নঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর ওহী লেখক কে কে ছিলেন?
উত্তরঃ আলী বিন আবী তালেব, মুআবিয়া বিন আবী সুফিয়ান, যায়েদ বিন ছাবেত ও উবাই বিন কা’ব প্রমুখ (রাঃ)।
২৭) প্রশ্নঃ কোন যুগে কার নির্দেশে কুরআনের অক্ষরে নকতা দেয়া হয়?
উত্তরঃ উমাইয়া খলীফা আবদুল মালিকের যুগে হাজ্জাজ বিন ইউসূফের নির্দেশে একাজ হয়।
২৮) প্রশ্নঃ কুরআনে নকতা দেয়ার কাজটি কে করেন?উত্তরঃ নসর বিন আছেম বিন ই’য়ামার (রহঃ)।
২৯) প্রশ্নঃ কুরআনে কে হরকত (যের যবর পেশ ইত্যাদি) সংযোজন করেন?উত্তরঃ খলীল বিন আহমাদ আল ফারাহীদী (রহঃ)।
৩০) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতবার ‘দুনিয়া’ শব্দটি এসেছে?উত্তরঃ ১১৫ বার।
৩১) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতবার ‘আখেরাত’ শব্দটি এসেছে?উত্তরঃ ১১৫ বার।
৩২) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতটি অক্ষর রয়েছে?উত্তরঃ ৩২৩৬৭১টি।
)প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতটি শব্দ আছে?উত্তরঃ ৭৭৪৩৯টি।
৩৩) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতটি আয়াত আছে?উত্তরঃ ৬২৩৬টি।
৩৪) প্রশ্নঃ কোন সূরার শেষ দু’টি আয়াত কোন মানুষ রাত্রে পাঠ করলে তার জন্য যথেষ্ট হবে?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারার শেষের আয়াত দু’টি। (285 ও ২৮৬ নং আয়ত)
৩৫) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতটি সিজদা আছে এবং কোন কোন সূরায়?
উত্তরঃ১৫টি। আ’রাফ (২০৬নং আয়াত), রা’দ (১৫নং আয়াত), নাহাল (৪৯নং আয়াত), ইসরা (১০৭নং আয়াত), মারইয়াম (৫৮নং আয়াত), হাজ্জ (১৮ ও ৭৭ নং আয়াত), ফুরক্বান (৬০নং আয়াত), নামাল (২৫নং আয়াত), সজিদা (১৫নং আয়াত), সোয়াদ (২৪নং আয়াত), হা-মীম আস সাজদাহ (৩৭নং আয়াত), নাজম (৬২নং আয়াত), ইনশক্বিাক (২১নং আয়াত), আলাক (১৯নং আয়াত)।
৩৬) প্রশ্নঃ কোন সূরায় দু’টি সিজদা রয়েছে?উত্তরঃ সূরা হজ্জ। (18 ও ৭৭ নং আয়াত)
৩৭) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতবার ‘রহমান’ শব্দের উল্লেখ হয়েছে?উত্তরঃ ৫৭ বার।
৩৮)প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতবার ‘জান্নাত’ শব্দ এসেছে?উত্তরঃ ১৩৯ বার। (একবচন, দ্বিবচন ও বহুবচন শব্দে)
৩৯) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতবার ‘জাহান্নাম’ শব্দ এসেছে? উত্তরঃ ৭৭বার।
৪০) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতবার ‘নার বা আগুন’ শব্দ এসেছে?উত্তরঃ ১২৬বার।
৪১. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতবার ‘আল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ বাক্যটি এসেছে?উত্তরঃ ৬বার।
৪২. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন্ আয়াতে আরবী ২৯টি অক্ষরই রয়েছে?উত্তরঃ সূরা ফাতাহ এর ২৯ নং আয়াতে।
৪৩. প্রশ্নঃ সূরা ফাতিহায় ‘মাগযূবে আলাইহিম’ বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে এবং ‘যাল্লীন’ বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ ‘মাগ দ বি আলাইহিম’ বলতে ইহুদীদেরকে এবং ‘দ অল লীন ’ বলতে খৃষ্টানদেরকে বোঝানো হয়েছে।
৪৪. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরায় ‘মীম’ অক্ষরটি নেই?উত্তরঃ সূরা কাওছার।
৪৫. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরায়
ك ‘কাফ’ অক্ষরটি নেই?উত্তরঃ সূরা কুরায়িশ, ফালাক ও আছর।
৪৬. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরায় দুবার বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম রয়েছে?উত্তরঃ সূরা নামল। (২৭ নং সূরা)
৪৭. প্রশ্নঃ কুরআনের কোন সূরার প্রথমে বিসমিল্লাহ নেই?উত্তরঃ সূরা তাওবা। (৯নং সূরা)
৪৮. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে মোট কতবার ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম রয়েছে?উত্তরঃ ১১৪ বার।
৪৯. প্রশ্নঃ কোন্ সূরা সম্পর্কে ইমাম শাফেঈ বলেন, “মানুষের জন্য এ সূরাটি ব্যতীত অন্য সূরা নাযিল না হলেও যথেষ্ট ছিল”?
উত্তরঃ সূরা আছর।
৫০. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতজন নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে?উত্তরঃ ২৫ জন।
৫১. প্রশ্নঃ মাক্কী সূরা ও মাদানী সূরা বলতে কি বুঝায়?উত্তরঃ মাক্কীঃ মদীনায় হিজরতের পূর্বে যা নাযিল হয়েছে।
মাদানীঃ মদীনায় হিজরতের পর যা নাযিল হয়েছে।
৫২. প্রশ্নঃ মাক্কী সূরার মৌলিক বৈশিষ্ট কি কি?
উত্তরঃ ১) তাওহীদ এবং আল্লাহর ইবাদতের প্রতি আহবান। জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা এবং মুশরিকদের সাথে বিতর্ক।
২) মুশরকিদের খুন-খারাবী, ইয়াতীমের সম্পদ ভক্ষণ প্রভৃতি কর্মের নিন্দাবাদ।
৩) সংক্ষিপ্ত বাক্য অথচ অতি উচ্চাঙ্গের সাহিত্য সমৃদ্ধ।
৪) নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)কে সান্তনা দেয়া ও উপদেশ গ্রহণ করার জন্য ব্যাপকভাবে নবী-রাসূলদের কাহিনীর অবতারনা, এবং কিভাবে তাঁদের সমপ্রদায়ের লোকেরা তাঁদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছে ও কষ্ট দিয়েছে তার বর্ণনা।
৫৩. প্রশ্নঃ মাদানী সূরার মৌলিক বৈশিষ্ট কি কি?
উত্তরঃ (১) ইবাদত, আচার-আচরণ, দন্ডবিধি, জিহাদ, শান্তি, যুদ্ধ, পারিবারিক নিয়ম-নীতি, শাসন প্রণালী অন্যান্য বিধি-বিধানের আলোচনা।
(২) আহলে কিতাব তথা ইহুদী খৃষ্টানদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান।
(৩) মুনাফেকদের দ্বিমুখী নীতির মুখোশ উম্মোচন এবং ইসলামের জন্য তারা কত ভয়ানক তার আলোচনা।
(৪) সংবিধান প্রণয়ণের ধারা ও তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নির্ধারণ করার জন্য দীর্ঘ আয়াতের অবতারণা।
৫৪. প্রশ্নঃ মাদানী সূরা পরিচয়ের নিয়ম কি?
উত্তরঃ (১) যে সকল সূরায় কোন কিছু ফরয করা হয়েছে বা দন্ডবিধির আলোচনা করা হয়েছে।
(২) যে সকল সূরায় মুনাফেকদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
(৩) যে সকল সূরায় আহলে কিতাবদের সাথে বিতর্ক করা হয়েছে।
(৪) যে সকল সূরা “ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ” দ্বারা আরম্ভ হয়েছে।
৫৫. প্রশ্নঃ মাক্কী সূরার সংখ্যা কতটি?উত্তরঃ ৮৬টি সূরা।
৫৬. প্রশ্নঃ মাদানী সূরার সংখ্যা কতটি?উত্তরঃ ২৮টি সূরা।
৫৭. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন্ সূরার প্রতিটি আয়াতে ‘আল্লাহ্ শব্দ আছে?উত্তরঃ সূরা মুজাদালা। (৫৮ নং সূরা)
৫৮. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন্ কোন্ সূরা ‘আল হামদুলিল্লাহ দ্বারা শুরু হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা ফাতিহা, সূরা আনআম, সূরা কাহাফ, সূরা সাবা ও সূরা ফাতির। (সূরা নং যথাক্রমে, ১,৬,১৮,৩৪ ও ৩৫)
৫৯. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে ছয়জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ আছে যাঁরা সকলেই নবীর পুত্র নবী ছিলেন।
উত্তরঃ (১) ইবরাহীমের পুত্র ইসমাঈল
(২) ইবরাহীমের পুত্র ইসহাক,
(৩) ইসহাকের পুত্র ইয়াকূব
(৪) ইয়াকূবের পুত্র ইউসুফ,
(৫) যাকারিয়ার পুত্র ইয়াহইয়া ও
(৬) দাউদের পুত্র সুলাইমান (আলাইহিমুস্ সালাম)
৬০. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে জাহান্নামের ৬টি নাম উল্লেখ হয়েছে। উহা কি কি?
উত্তরঃ (১) জাহান্নাম (সূরা নাবা: 21)
(২) সাঈর (সূরা নিসা: 10)
(৩) হুতামা (হুমাযা: 4)
(৪) লাযা (সূরা মাআরেজ: 15)
(৫) সাক্বার (সূরা মুদ্দাসসির: 42)
(৬) হাভিয়া (সূরা কারিয়া: 9)
৬১. প্রশ্নঃ কুরআনের কোন সূরায় মুবাহালার আয়াত রয়েছে?
উত্তরঃ সূরা আলে ইমরান- আয়াত নং- ৬১।
মুবাহালা: হক ও বাতিলের মাঝে দ্বন্দ্ব হলে, বাতিল পন্থীর সামনে যাবতীয় দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করার পরও সে যদি হঠকারিতা করে, তবে তাকে মুবাহালার জন্য আহবান করা হবে। তার নিয়ম হচ্ছেঃ উভয় পক্ষ নিজের স্ত্রী, সন্তান-সন্ততিকে উপস্থিত করবে, অতঃপর প্রত্যেক পক্ষ বলবে, আমরা যদি বাতিল পন্থা উপর প্রতিষ্ঠিত থাকি, তবে মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর লা’নত (অভিশাপ)। এটাকেই বলে মুবাহালা।
৬২. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন্ সূরার কোন্ আয়াতে ব্যভিচারের দন্ডবিধির আলোচনা আছে?
উত্তরঃ সূরা নূর- আয়াত নং- ২।
৬৩. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কত নং আয়াতে ওযুর ফরয সমূহ উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা মায়েদা- আয়াত নং- ৬।
৬৪. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে চুরির দন্ডবিধি উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা মায়েদা- আয়াত নং- ৩৮।
৬৫. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে মিথ্যা অপবাদের শাস্তির বিধান উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নূর- আয়াত নং- ৪।
৬৬. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে মুমিন নারী-পুরুষকে দৃষ্টি অবনত রেখে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নূর- আয়াত নং ৩০-৩১।
৬৭. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে মীরাছ (উত্তরাধীকার সম্পদ বন্টন) সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নিসা- আয়াত নং- ১১, ১২ ও ১৭৬।
৬৮. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে বিবাহ হারাম এমন নারীদের পরিচয় দেয়া হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নিসা- আয়াত নং- ২৩, ২৪।
৬৯. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে যাকাত বন্টনের খাত সমূহ আলোচনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা তওবা- আয়াত নং- ৬০।
৭০. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে ছিয়াম সম্পর্কিত বিধি-বিধান উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারা- আয়াত নং ১৮৩-১৮৭।
৭১. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে বাহনে আরোহনের দুআ উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা যুখরুফ- আয়াত নং- ১৩।
৭২. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি দরূদ পড়ার আদেশ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা আহযাব- আয়াত নং ৫৬।
৭৩. প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে হুনায়ন যুদ্ধের কথা আলোচনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা তওবা- আয়াত নং- ২৫, ২৬।
৭৪. প্রশ্নঃ কোন সূরায় বদর যুদ্ধের ঘটনাবলী উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা আনফাল। (আয়াত নং : 5-19, 41-48, 67-69)
৭৫. প্রশ্নঃ কোন সূরায় বনী নযীরের যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা হাশর।(আয়াত নং ২-১৪)
৭৬. প্রশ্নঃ কোন সূরায় খন্দক যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা আহযাব (আয়াত নং ৯-২৭)।
৭৭. প্রশ্নঃ কোন সূরায় তাবুক যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা তওবা (আয়াত নং ৩৮-১২৯)।
৭৮. প্রশ্নঃ কোন সূরায় নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হিজরতের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা তওবা (আয়াত নং ৪০)
৭৯. প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে হারূত-মারূতের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারা- আয়াত নং- ১০২।
৮০. প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে কারূনের কাহিনী উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা ক্বাছাছ আয়াত ৭৬-৮৩।
৮১. প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে সুলায়মান (আঃ)এর সাথে হুদহুদ পাখীর ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা নমল আয়াত নং ২০, ৪৪।
৮২. প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে ক্বিবলা পরিবর্তনের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারা- আয়াত নং ১৪২-১৫০।
৮৩. প্রশ্নঃ কোন সূরায় নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইসরা-মেরাজের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা বানী ইসরাঈল (আয়াত নং ১) ও সূরা নজম (আয়াত: ৮-১৮)
৮৪. প্রশ্নঃ কোন সূরায় হস্তি বাহিনীর ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা ফীল।
৮৫. প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে যুল ক্বারানাইন বাদশাহর ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা কাহাফ- আয়াত নং- ৮৩-৯৮।
৮৬. প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে ত্বালুত ও জালুতের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারা- আয়াত নং- ২৪৬-২৫২।
৮৭. প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে মসজিদে আক্বসার কথা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা বানী ইসরাঈল- আয়াত নং-১
৮৮. প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে পিতা-মাতার ঘরে প্রবেশের জন্য অনুমতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নূর- আয়াত নং- ৫৮, ৫৯
৮৯. প্রশ্নঃ সর্বপ্রথম কোন সাহাবী মক্কায় উচ্চ:স্বরে কুরআন পাঠ করেন?
উত্তরঃ আবদুল্লাহ্ বিন মাসউদ (রাঃ)।
৯০. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি ওমর (রাঃ)এর ইসলাম গ্রহণের কারণ ছিল?
উত্তরঃ সূরা ত্বাহা।
৯১. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন হবে না। আল্লাহ নিজেই তার হেফাযতের দায়িত্ব নিয়েছেন। কথাটি কোন সূরার কত নং আয়াতে আছে?
উত্তরঃ সূরা হিজ্র ৯ নং আয়াত।


- পবিত্র কুরআনে মোট ৩০ টি পারা বা অধ্যায় রয়েছে। এই পারাগুলোর মাধ্যমে ১১৪ টি সূরা ভাগ করে দেয়া হয়েছে। সূরাগুলো বিভিন্ন আকারের হলেও কুরআনের পারাগুলো প্রায় সমান আকারের। কুরআন মুখস্থকরণের ক্ষেত্রে সাধারণতম পারা অনুযায়ী শিক্ষা করানো হয়। যেসকল স্থানে সমগ্র কুরআন পাঠের আয়োজন করা হয় সেখানেও এই
পারা অনুযায়ী করা হয়।
ভিন্ন বিষয়ক আয়াত
আদেশমুলক আয়াত= ১০০০
নিষেধমুলক আয়াত= ১০০০
ভীতিমুলক আয়াত= ১০০০
প্রতিজ্ঞামুলক আয়াত= ১০০০
দৃষ্টান্তমুলক আয়াত=১০০০
ইতিহাসমুলক আয়াত= ১০০০
প্রশংসামুলক আয়াত= ২৫০
পুর্ণতামুলক আয়াত=১০০
উদ্দেশ্যমুলক আয়াত=২৫০
অন্যান্য= ৬৬
মোট= ৬৬৬৬[১১]
বিভিন্ন সুরা ও আয়াতের খেতাব
সুরা রহমান = কুরানের মুকুট
সুরা বাক্বারা = কুর'আনের সিংহাসন
সুরা ইয়াসিন = কুর'আনের মন
সুরা ফাতেহা = কুর'আনের জননী
আয়াতুল কুরসী =কুর'আনের বন্ধু
বিভাজন: হিজ্ব বা মানজিল
হিজ্ব বা মানজিল হচ্ছে কুরআনের প্রথম সূরা (সূরা ফাতিহা) ব্যাতীত অন্য সূরাগুলো নিয়ে করা একটি শ্রেণী। হিজ্ব মুফাস্সিল একটি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করা। এতে ৭ টি মানজিলের মাধ্যমে সবগুলো সূরাকে একসাথে করা হয়েছে। মানজিলগুলো হচ্ছে:
মানজিল ১ = ৩ টি সূরা, যথা, ২

মানজিল ২ = ৫ টি সূরা, যথা, ৫

মানজিল ৩ = ৭ টি সূরা, যথা, ১০
১৬
মানজিল ৪ = ৯ টি সূরা, যথা, ১৭
২৫
মানজিল ৫ = ১১ টি সূরা, যথা, ২৬
৩৬
মানজিল ৬ = ১৩ টি সূরা, যথা, ৩৭
৪৯
মানজিল ৭ = ৬৫ টি সূরা, যথা, ৫০
১১৪
কুরআনের সূরাসমূহের তালিকা
কুরআনে ১১৪টি সূরা রয়েছে। এগুলো হলো:
১. আল ফাতিহা (সূচনা)
২. আল বাকারা (বকনা-বাছুর)
৩. আল ইমরান (ইমরানের পরিবার)
৪. আন নিসা (নারী)
৫. আল মায়িদাহ (খাদ্য পরিবেশিত টেবিল)
৬. আল আনআম (গৃহপালিত পশু)
৭. আল আরাফ (উচু স্থানসমূহ),
৮. আল আনফাল (যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ),
৯. আত তাওবাহ্ (অনুশোচনা),
১০. ইউনুস (নবী ইউনুস),
১১. হুদ (নবী হুদ),
১২. ইউসুফ (নবী ইউসুফ),
১৩. আর রা'দ (বজ্রপাত),
১৪. ইব্রাহীম (নবী ইব্রাহিম),
১৫. আল হিজর (পাথুরে পাহাড়),
১৬. আন নাহল (মৌমাছি),
১৭. বনী-ইসরাঈল (ইহুদী জাতি),
১৮. আল কাহফ (গুহা),
১৯. মারইয়াম (মারইয়াম (ঈসা নবীর মা))
২০. ত্বোয়া-হা (ত্বোয়া-হা),
২১. আল আম্বিয়া (নবীগণ),
২২. আল হাজ্জ্ব (হজ্জ),
২৩. আল মু'মিনূন (মুমিনগণ),
২৪. আন নূর (আলো),
২৫. আল ফুরকান (সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রম্থ),
২৬. আশ শুআরা (কবিগণ),
২৭. আন নম্ল (পিপীলিকা),
২৮. আল কাসাস (কাহিনী),
২৯. আল আনকাবূত (মাকড়শা),
৩০. আর রুম (রোমান জাতি),
৩১. লোক্মান (একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি),
৩২. আস সেজদাহ্ (সিজদা),
৩৩. আল আহ্যাব (জোট),
৩৪. সাবা (রানী সাবা/শেবা),
৩৫. ফাতির (আদি স্রষ্টা),
৩৬. ইয়াসীন (ইয়াসীন),
৩৭. আস ছাফ্ফাত (সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো),
৩৮. ছোয়াদ (আরবি বর্ণ),
৩৯. আয্-যুমার (দলবদ্ধ জনতা),
৪০. আল মু'মিন (বিশ্বাসী)
৪১. হা-মীম সেজদাহ্ (সুস্পষ্ট বিবরণ),
৪২. আশ্-শূরা (পরামর্শ),
৪৩. আয্-যুখরুফ (সোনাদানা),
৪৪. আদ-দোখান (ধোঁয়া),
৪৫. আল জাসিয়াহ (নতজানু),
৪৬. আল আহ্ক্বাফ (বালুর পাহাড়),
৪৭. মুহাম্মদ (নবী মুহাম্মদ),
৪৮. আল ফাত্হ (বিজয়, মক্কা বিজয়),
৪৯. আল হুজুরাত (বাসগৃহসমুহ),
৫০. ক্বাফ (ক্বাফ),
৫১. আয-যারিয়াত (বিক্ষেপকারী বাতাস),
৫২. আত্ব তূর (পাহাড়),
৫৩. আন-নাজম (তারা),
৫৪. আল ক্বামার (চন্দ্র)
৫৫. আর রাহমান (পরম করুণাময়)
৫৬. আল ওয়াক্বিয়াহ্ (নিশ্চিত ঘটনা)
৫৭. আল হাদীদ (লোহা)
৫৮. আল মুজাদালাহ্ (অনুযোগকারিণী),
৫৯. আল হাশ্র (সমাবেশ),
৬০. আল মুম্তাহিনাহ্ (নারী, যাকে পরীক্ষা করা হবে),
৬১. আস সাফ (সারবন্দী সৈন্যদল),
৬২. আল জুমুআহ (সম্মেলন/শুক্রবার),
৬৩. আল মুনাফিকূন (কপট বিশ্বাসীগণ),
৬৪. আত তাগাবুন (মোহ অপসারণ),
৬৫. আত ত্বালাক (তালাক),
৬৬. আত তাহ্রীম (নিষিদ্ধকরণ),
৬৭. আল মুল্ক (সার্বভৌম কতৃত্ব),
৬৮. আল ক্বলম (কলম),
৬৯. আল হাক্কাহ (নিশ্চিত সত্য),
৭০. আল মাআরিজ (উন্নয়নের সোপান),
৭১. নূহ (নবী নূহ)
৭২. আল জ্বিন (জ্বিন সম্প্রদায়)
৭৩. আল মুয্যাম্মিল (বস্ত্রাচ্ছাদনকারী)
৭৪. আল মুদ্দাস্সির (পোশাক পরিহিত),
৭৫. আল ক্বিয়ামাহ্ (পুনরু্ত্তান),
৭৬. আদ দাহ্র (মানুষ),
৭৭. আল মুরসালাত (প্রেরিত পুরুষগণ),
৭৮. আন্ নাবা (মহাসংবাদ),
৭৯. আন নাযিয়াত (প্রচেষ্টাকারী),
৮০. আবাসা (তিনি ভ্রুকুটি করলেন),
৮১. আত তাক্ভীর (অন্ধকারাচ্ছন্ন),
৮২. আল ইন্ফিতার (বিদীর্ণ করা),
৮৩. আত মুত্বাফ্ফিফীন (প্রতারণা করা),
৮৪. আল ইন্শিকাক (খন্ড-বিখন্ড করণ),
৮৫. আল বুরুজ (নক্ষত্রপুন্জ),
৮৬. আত তারিক্ব (রাতের আগন্তুক),
৮৭. আল আ'লা (সর্বোন্নত),
৮৮. আল গাশিয়াহ্ (বিহ্বলকর ঘটনা),
৮৯. আল ফাজ্র (ভোরবেলা),
৯০. আল বালাদ (নগর),
৯১. আশ শামস (সূর্য),
৯২. আল লাইল (রাত্রি),
৯৩. আদ দুহা (পূর্বান্হের সুর্যকিরণ),
৯৪. আল ইনশিরাহ (বক্ষ প্রশস্তকরণ),
৯৫. আত ত্বীন (ডুমুর),
৯৬. আল আলাক (রক্তপিন্ড),
৯৭. আল ক্বাদর (মহিমান্বিত),
৯৮. আল বাইয়্যিনাহ (সুস্পষ্ট প্রমাণ),
৯৯. আল যিল্যাল (ভূমিকম্প),
১০০. আল আদিয়াত (অভিযানকারী),
১০১. আল ক্বারিয়াহ (মহাসংকট),
১০২. আত তাকাসুর (প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা),
১০৩. আল আছর (সময়),
১০৪. আল হুমাযাহ (পরনিন্দাকারী),
১০৫. আল ফীল (হাতি),
১০৬. কুরাইশ (কুরাইশ গোত্র),
১০৭. আল মাউন (সাহায্য-সহায়তা),
১০৮. আল কাওসার (প্রাচুর্য),
১০৯. আল কাফিরুন (অবিশ্বাসী গোষ্ঠী),
১১০. আন নাসর (স্বর্গীয় সাহায্য),
১১১. আল লাহাব (জ্বলন্ত অংগার),
১১২. আল ইখলাস (একত্ব)
১১৩. আল ফালাক (নিশিভোর)
১১৪. আন নাস (মানবজাতি)
সাংখ্যিক তাৎপর্য
'পবিত্র কোরআন সম্পর্কিত তথ্যাবলী'
১ মোট "পারা" ৩০ টি
২ মোট "সূরা" ১১৪ টি
৩ মোট "সিজদা" ১৪ টি
৪ মোট "রুকু" ৫৪০ টি
৫ মোট "অক্ফ ১,০৫,৬৪৮ টি
৬ মোট "তাশদীদ ১,২৫২ টি
৭ মোট "মদ্ ১,৭৭১ টি
৮ মোট "নোক্তা ১,০৬,১৮৮ টি
৯ মোট "পেশ ৮,৮০৪ টি
১০ মোট "জের ৩৯,৫৮২ টি
১১ মোট "যবর ৫৩,২৪২ টি
১২ মোট "আয়াত ৬,৬৬৬ টি
১৩ মোট "হরফ ৩,৫০,১২৭ টি
১৪ মোট "আলীফ ৪৮,৮৭২ টি
১৫ মোট "বা ১১,১২৮ টি
১৬ মোট "তা" ১,১৯৯ টি
১৭ মোট "ছা" ১,২৭৬ টি
১৮ মোট "জ্বীম" ৩,২৭৩ টি
১৯ মোট "হা" ৭৭৩ টি
২০ মোট "খা" ২,৪১৬ টি
২১ মোট "দাল" ৫,৬৪২ টি
২২ মোট "জাল ৪,৬৯৭ টি
২৩ মোট "রা" ১,২৮৯ টি
২৪ মোট "যোয়া" ১,৫৯০ টি
২৫ মোট "ছীন" ৫,৮৯০ টি
২৬ মোট "শীন" ২,২৫৩ টি
২৭ মোট "ছোয়াদ ২,০১৩ টি
২৮ মোট "দোয়াত"১,৬০৭ টি
২৯ মোট "তোয়া" ১,২৭৪ টি
৩০ মোট "জোয়া" ৮৪৬ টি
৩১ মোট "আইন" ৯২,২০০ টি
৩২ মোট "গাইন" ২,২০৮ টি
৩৩ মোট "ফা" ৮,৪৯৯ টি
৩৪ মোট "ক্কাফ" ৬,৮১৩ টি
৩৫ মোট "কাফ" ৯,৫১২ টি
৩৬ মোট "লাম" ৩,৪৩২ টি
৩৭ মোট "মীম" ২৬,৫৩৫ টি
৩৮ মোট "নূন" ২৬,৫৫০ টি
৩৯ মোট "ওয়াও" ২৫,৫৩৬ টি
৪০ মোট "হা" ১৯,০৬০ টি
৪১ মোট "লাম-আলীফ" ৩,৭২০ টি
৪২ মোট "হামজা" ৪,১১৫ টি
৪৩ মোট "ইয়া" ২৫,৯১৯ টি
প্রশ্ন : কুরআন শব্দের অর্থ কি?
উত্তর : পঠিত, জমা করা।
প্রশ্ন : আল কুরআনের আলোচ্য বিষয় ও উদ্দেশ্য কি?
উত্তর : আলোচ্য বিষয় সরল সঠিক পথ এবং উদ্দেশ্য হেদায়াত।
প্রশ্ন : আল কুরআন কোথায় সংরক্ষিত আছে?
উত্তর : লৌহে মাহফুজে সংরক্ষিত আছে।
প্রশ্ন : সর্ব প্রথম আল কুরআন কোথায় কখন অবতীর্ণ হয়?
উত্তর : হেরা গুহায় ৬ আগস্ট ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে।
প্রশ্ন : জামিউল কুরআন কাকে বলা হয়?
উত্তর : হযরত উসমান গনী রা.কে।
প্রশ্ন : সর্ব প্রথম আল কুরআনের পূর্ণাঙ্গ কোন সূরা নাযিল হয়?
উত্তর : সূরায়ে ফাতিহা।
প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্ব প্রথম হাফিজ কে?
উত্তর : মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা:
প্রশ্ন : কুরআন নাযিল হতে কতটুকু সময় লেগেছে?
উত্তর : ২২ বছর ৫ মাস ১৪ দিন।
প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্বমোট আয়াত সংখ্যা কত?
উত্তর : ৬ হাজার ৬শত ৬৬ আয়াত।
প্রশ্ন : মক্কায় সর্ব প্রথম কোন সূরা নাযিল হয়?
উত্তর : সূরায়ে আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত।
প্রশ্ন : মক্কায় সর্বশেষ কোন ছূরা নাযিল হয়?
উত্তর : সূরায়ে আনকাবুত।
প্রশ্ন : মদিনায় সর্ব প্রথম ও সর্বশেষে কোন সূরা নাযিল হয়?
উত্তর : সর্ব প্রথম সূরায়ে বাকারা, সর্বশেষ সূরায়ে মায়েদা।
প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্ব প্রথম কোন ভাষায় কে অনুবাদ করেন?
উত্তর : লেট্রিন ভাষায়, রর্বার্ট ক্যাটেনেনিছা।
প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্ব প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেন কে?
উত্তর : মাওলানা আমীর উ্দদীন বশুনিয়া ১৮০৮ সালে।
প্রশ্ন : সর্ব প্রথম পুস্তুক আকারে বাংলায় কুরআনের অনুবাদ করেন কে?
উত্তর : গ্রীস চন্দ্র সেন ১৮৮৬ সালে।
প্রশ্ন : সর্ব প্রথম কোন ভাষায়, কত সালে কুরআনের অনুবাদ করা হয়।
উত্তর : ১১৪৬ সালে লেট্রিন ভাষায়।
প্রশ্ন : আল কুরআনে সবচেয়ে বেশি কোন নবীর নাম এসেছে?
উত্তর : হযরত মুসা আ.।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কত জন নবীর নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : ২৮ জন নবীর নাম।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন ফিরিশতার নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : (১) জিব্রাঈল (২) মিকাইল (৩) হারুত (৪) মারুত
প্রশ্ন : কুরআনে মুহাম্মাদ সা. নামটি কতবার এসেছে?
উত্তর : ৪বার (এবং আহমাদ নামটি ১বার এসেছে)
প্রশ্ন : আল কুরআনে প্রকাশ্যে একমাত্র কোন রমনীর নাম এসেছে?
উত্তর : ঈসা আ. এর মাতা হযরত মারয়াম আ.।
প্রশ্ন : আল কুরআনে একমাত্র কোন সাহাবীর নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : রাসূল সা. এর পুষ্যপুত্র হযরত যায়েদ ইবনে হারিছ রা. ।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন কাফিরের নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : ফেরআউন, হামান, আবু লাহাব, কারুণ, ছারেমী, আজর এবং ইবলিস।
প্রশ্ন : আল কুরআন কোন কোন মুর্তির নাম আছে।
উত্তর : লাত, উজ্জা, মানাত, ওয়াদ, ছয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক এবং নাছারা।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কতটি সমপ্রদায়ের নাম আছে?
উত্তর : ১৪টি সমপ্রদায়ের নাম।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন মসজিদের নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী, মসজিদে কুবা, মসজিদে আকসা, মসজিদে জিরার।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন পাহাড়ের নাম আছে?
উত্তর : তুর পাহাড়, সাফা, মারওয়া, আরাফাত, জুদি পাহাড়।
প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন কীট প্রতঙ্গের নাম আছে?
উত্তর : মৌমাছি, পিপিলিকা, মাকড়শা।
প্রশ্ন : কোন সূরায় মীম এবং কোন সূরায় বা বর্ণ নেই?
উত্তর : সূরায়ে কাওছারে
মীম নেই। সূরায়ে এখলাছে বা নেই।
প্রশ্ন : একমাত্র কোন সূরা যার মধ্যে বিসমিল্লাহ দুবার এসেছে?
উত্তর : সূরায়ে নামলে।
প্রশ্ন : কোন সূরাকে কুরআনের জননী বলা হয়?
উত্তর : সূরায়ে ফাতেহাকে।
প্রশ্ন : আল কুরআনের হারকাত এবং নুকতার প্রচলন কে কখন করেন?
উত্তর : হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ ৭৫ হিজরীতে।
প্রশ্ন : আল কুরআনকে ৩০ পারায় বিভক্ত করেন কে?
উত্তর : হযরত উসমান রা.
প্রশ্ন : আল কুরআনের নাম কি কি?
উত্তর : (১) আল কুরআন, (২) আল ফুরকান, (৪) আত তানযীল (৪) আজ যিফর।
প্রশ্ন : আল কুরআনের অবতরণ সমাপ্ত হয় কখন?
উত্তর : ১০ হিজরীর সফর মাসে।

সাততেতৈয়া

শরিয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারফত কাকে বলে? বিস্তারিত?

হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-বড় পীর এর জীবনী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

তাজবীদ

জামে মসজিদ নীতিমালা