Posts

Showing posts from June, 2019

হযরত শেখ ফরিদ গঞ্জেশকর (রহ)

Image
বা রো আউলিয়ার পুণ্য এবং ধন্য ভূমি চট্টগ্রাম। এখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয় পীর, আউলিয়া, ফকির ও দরবেশদের বদৌলতে। চট্টগ্রামে আগত পীর আউলিয়া ফকির দরবেশদের মধ্যে হযরত শেখ ফরিদ গঞ্জেশকর (রহ) অন্যতম। চট্টগ্রামে তার আগমন সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা না গেলেও ধারণা করা হয়, ১২০০ খৃষ্টাব্দের পরে যে কোন সময় তিনি চট্টগ্রামে আগমন করেন। হযরত শেখ ফরিদ গঞ্জেশকর (রহ) এর মা-বাবা দু’জনই আল্লাহর অলী ছিলেন। উত্তর ভারতের পাকপত্তন নামক স্থানে ৫৮২ হিজরীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শৈশবে তাঁর বাবাকে হারান। পুণ্যাত্মা মা তাঁকে লেখাপড়া করানো এবং ধর্মে অনুরক্ত করার ব্যাপারে তত্পর ছিলেন। ছেলে যাতে পাঁচ ওয়াক্ত নিয়মিত নামাজ আদায় করে সেজন্য তাঁর মা জায়নামাজের নীচে চিনির পুরিয়া রেখে দিতেন। বালক শেখ ফরিদ চিনির লোভে এক ওয়াক্ত নামাজও কাযা করতেন না। একদিন তাঁর মা ভুলবশত জায়নামাজের নীচে চিনির পুরিয়া রাখতে ভুলে যান। তাঁর মা তাঁকে নামাজ আদায় করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন “আমি যথাসময়ে নামাজ আদায় করেছি এবং জায়নামাজের নীচে চিনির পুরিয়া পেয়েছি।” ছেলের হাতে চিনির পুরিয়া দেখে তাঁর মা অবাক হয়ে যান এবং বুঝতে পারেন

কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী

Image
কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীর মাজার শরীফ, মেহরাউলি, দিল্লি। ধর্ম ইসলাম , চিশতিয়া তরিকা বংশ চিশতিয়া তরিকা অন্যান্য নাম মালিক উল মাশায়খ ব্যক্তিগত জন্ম ১১৭৩ আউশ , বর্তমানে কিরিগিস্তান মৃত্যু ১২৩৫ দিল্লী সমাধিস্থল মেহরাউলি, দিল্লী ২৮.৫১৯৩০৩° উত্তর ৭৭.১৭৯৮৫৬° পূর্ব জ্যেষ্ঠ পোস্টিং ভিত্তিক দিল্লি খেতাব قطب الاقطاب Qutub ul Aqtab “কুতুবুল আকতাব” অফিসে কার্যকাল এয়োদশ শতাব্দির শুরুর ‍দিকে পূর্বসূরী মইনুদ্দিন চিশতী উত্তরসূরী ফরিদউদ্দিন গঞ্জেশকার কুতুবুল আকতাব হযরত খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী ( উর্দু : حضرت خواجہ سیّد محمد قطب الدین بختیار کاکی ‎‎) (জন্ম ১১৭৩-মৃত্যু ১২৩৫) ছিলেন একজন মুসলিম সুফি সাধক। তিনি চিশতিয়া তরিকার সাধক ছিলেন। তিনি খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর শিষ্য এবং খলিফা ছিলেন। তার নামেই দিল্লীর বিখ্যাত কুতুব মিনার উৎসর্গ করা হয়। শিষ্যত্ব গ্রহণ করার আগেই চিশতিয়া তরিকা শুধুমাত্র আজমির এবং নাগাউর এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। দিল্লিতে স্থায়ীভাবে এই তরিকাকে প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভ

নিজামুদ্দিন আউলিয়া

Image
সুলতান-উল-মাশায়েখ, মেহবুব-এ-ইলাহী , শেখ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া (১২৩৮ - ৩ এপ্রিল ১৩২৫) ( উর্দু : حضرت شیخ خواجہ سیّد محمد نظام الدّین اولیاء ‎‎), হযরত নিজামুদ্দিন নামেও পরিচিত, হলেন ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকার একজন প্রখ্যাত সূফি সাধক। ভারতে চিশতিয়া তরিকার অন্যতম মহান সূফি সাধকদের মধ্যে তিনি একজন। তাঁর মূল ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকার, কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী হয়ে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির সাথে মিলিত হয়। এই অনুযায়ী তাঁরা চিশতিয়া তরিকা মৌলিক আধ্যাত্বিক ধারাবহিকতা বা সিলসিলা তৈরী করেছেন, যা ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। নিজামুদ্দিন আউলিয়া, তাঁর পূর্বসূরীদের ন্যায়, প্রেম বা ইশককে স্রষ্টা বা আল্লাহ প্রাপ্তির পন্থা বা পথ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর মতে স্রষ্টার প্রতি ভালবাসা মানবতার প্রতি ভালবাসার জন্ম দেয়। জিয়াউদ্দির বারানি নামে চৌদ্দ শতকের একজন ঐতিহাসিক দাবি করেন যে, দিল্লির মুসলমানদের উপর তাঁর প্রভাব এমন ছিল যে পার্থিব ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তিত হয়। মানুষ আধ্যাত্বিকতা এবং ইবাদতের প্রতি মনোযোগী এবং দুনিয়াবী চিন্তা থেক

বাংলার ইতিহাস

Image
ইতিহাস   প্রাচীন যুগ   তথ্যের স্বল্পতার কারণে প্রাক-মুসলিম যুগের বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠন করা শ্রমসাধ্য ও কষ্টকর। এ অসুবিধা আরও বেশি করে অনুভূত হয় প্রাচীনকালের ইতিহাস রচনায়- অর্থাৎ প্রাচীনতমকাল থেকে খ্রিস্টীয় চার শতকে বাংলায় গুপ্ত শাসন প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত। এ সময়ের ইতিহাসের উপাদানের জন্য নির্ভর করতে হয় বৈদিক, মহাকাব্যিক ও পৌরাণিক সাহিত্যের অপর্যাপ্ত তথ্য ও প্রাপ্তিসাধ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশনাদির ওপর। গুপ্তযুগ থেকে পরবর্তী সময়ের জন্য আমরা প্রস্তরাদিতে উৎকীর্ণ লিপি ও সাহিত্যাকারে লিখিত তথ্যাদি পাই। এসব তথ্যে বাংলা অঞ্চলের ইতিহাসের উপাদান পাওয়া যায়। পটভূমি জানা যায় যে, সর্বপ্রাচীনকালে বাংলায় বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর লোক বসবাস করত এবং যে অঞ্চলে যে জনগোষ্ঠী বাস করত সে অঞ্চল সেই জনগোষ্ঠীর নামে পরিচিত হতো। এভাবে বঙ্গ , পুন্ড্র, রাঢ় ও গৌড় নামক প্রাচীন জনপদসমূহ অনার্য জনগোষ্ঠীর দ্বারা এ সব নামের অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত হয়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে মেঘনার ওপারে সমতট (কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চল) ছিলো একটা গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। এ জনপদের নাম পুরোপুরি বর্ণনাত্মক এবং জনগ