শরিয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারফত কাকে বলে? বিস্তারিত?
তাসাউফের বা তরীকতের পরিচয়- শরীয়ত, তরীকত, মারিফত, হাকিকত
তাসাউফের বা তরীকতের পরিচয়- শরীয়ত, তরীকত, মারিফত, হাকিকত
আমি ইসলামে শরিয়ত মারফত হাকিকত তরিকত নিয়ে জানতে চাই যে এগুলো সম্পর্কে ইসলাম এর কি হুকুম?
ইসলাম এ আল্লাহ বলেছেন আমাকে পাওয়ার জন্য উছিলা অনুসন্ধান করো!
তো কেউ কেউ বলে নামাজ ২ রাকাত,আবার কেউ শুধু জিকির,আবার কেউ পীর এর ভক্ত!কেউ গানের মাধ্যমে আল্লাহকে পাবার চেস্টা করে!যেমন খাজা মইনুদ্দীন চীশতি!তার গান এতটাই গ্রহন যোগ্য ছিলো যে বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী তার অনুসারীদের গান বৈধ করেছেন!
এবং এটা নিয়ে "আকাশটা কাপছিলো ক্যান" নামক মারফতি গান আছে!
আমার প্রশ্ন হলো কেউ নামাজ,রোযা না করে যদি চিশতীয়া,বা বড়পীরের তরিকা অনুসরন করে তবে কি আখিরাতে জান্নাত পাবার আশা আছে?নামাজ রোজা ছাড়া জান্নাত পাওয়ার আশা করা বোকামি।কোন বড় পীর যদি আপনাকে সহিহ ও হক কাজ করার কথা বলেন তাহলে আপনি তাকে অনুসরণ করতে পারবেন।এমন না যে কোন বড় পীর ধরতেই হবে বা না ধরলে অনেক সমস্যা হবে।কুরআন বুঝে পড়ার চেষ্টা করবেন।কুরআন অর্থসহ পড়ার জন্য 'তাফহিমুল কুরআন' পড়লে কোনটা হক বা সঠিক নিজেই বুঝতে পারবেন।আমাদের বর্তমান পীরেরা অনেকেই নিজেরাই ফেতনা সৃষ্টি করেছেন কাউকে ওহাবি,কাউকে সুন্নী বা অন্য মতবাদ দিয়ে থাকেন।তাই আমি পীর ধরার পক্ষে নয়।কারণ রাসূল (সা:) বলেছেন:'আল ফেতনাতু আশাদ্দু মিনাজ জ্বীনা'।অর্থাৎ, ফেতনা সৃষ্টি করা জ্বীনা করার চেয়েও বেশি গুণাহ।
তাই প্রথমিকভাবে কুরআন বুঝে পড়বন।শরীয়তের প্রাথমিক বিষয় বুঝতে 'বেহেশতী জেওর' বইটি পড়বেন।তারপর হাকিকত,মারফত ও তরিকত বুঝবেন ধাপে ধাপে।মা'রিফাত আরবী শব্দ। এর অর্থ পরিচয়, চেনা, জানা। ইলমুল মারেফাত মানে আল্লাহকে চেন ও জানার জ্ঞান। যে জ্ঞানের মাধ্যমে আল্লাহকে ভালো করে চেনা যায় সেটাই ইলমুল মারেফাত। তবে বর্তমানে প্রচলিত শরীয়ত মারেফত নামের আপত্তিকর ও অবিধানিক বিভাজন বিধিত নয়। এক শ্রেণীর মানুষ শরীয়তী নামাজ মারেফতী নামাজ বলে শিরকী বিভাজন সৃষ্টি করে। মারেফাত বলে তারা আধ্যাত্মবাদ ও শরীয়ত বলে বাহ্যবাদ বুঝাতে চায়। এ দুটিকে আলাদা করে দেখতে চায়। বাস্তবতা হলো এ দুটি শুধু নামগত পার্থক্য। মৌলিকভাবে এ দুটির মাঝে বিভাজন সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। নামাজের বাহ্যিক দিক না হলে ভিতরগত দিক অস্তিত্ব লাভ করার কোনো সুযোগ নেই। এক শ্রেণীর মানুষ মারেফতী নামাজ পড়ে। অর্থাত তারা মনে মনে নামাজ পড়ে। রুকু সেজদার শরীয়তী নামায তারা পড়ে না। এ ধরনের বিশ্বাস ঈমান বিধ্বংসী বিশ্বাস। শরীয়ত মারেফতের এ ধরনের বিভাজন থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক।শরিয়ত, মরিফত, তরিকত, হকিকত। এগুলো হলো মহান আল্লাহ তা'লা কে পাওয়ার রাস্তা বা আল্লাহ প্রদত্ত দ্বীন। যুগে যুগে অনেক নবী রাসুল এসেছেন এই পৃথিবীতে। তারা যখন এসেছিলেন তখন নামাজ রোজা হজ্জ্ব ইত্যাদি শরিয়তের কোন নিয়মই ছিল না। তাই তখনকার নবীদের মহান আল্লাহ তা'লা নানা রকম সহীফা দান করেছিলেন। এই সকল সহীফাগুলোতে আল্লাহকে পাওয়ার জন্য তার ইবাদত হিসেবে এই বিধান, দ্বীন বা ইবাদতের অনুমোদন আল্লাহ তা'লা দিয়েছিলেন কিন্তু এখন তা আর তা চলবে না আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) আসার পর তিনি আল্লাহ সোবাহানাল্লাহ তা'লার কাছে থেকে নতুন বিধান নিয়ে আসেন যার না শরিয়ত। আর এটাই আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনিত দ্বীন বা বিধান।শরিয়ত, মরিফত, তরিকত, হকিকত। এগুলো হলো মহান আল্লাহ তা'লা কে পাওয়ার রাস্তা বা আল্লাহ প্রদত্ত দ্বীন। যুগে যুগে অনেক নবী রাসুল এসেছেন এই পৃথিবীতে। তারা যখন এসেছিলেন তখন নামাজ রোজা হজ্জ্ব ইত্যাদি শরিয়তের কোন নিয়মই ছিল না। তাই তখনকার নবীদের মহান আল্লাহ তা'লা নানা রকম সহীফা দান করেছিলেন। এই সকল সহীফাগুলোতে আল্লাহকে পাওয়ার জন্য তার ইবাদত হিসেবে এই বিধান, দ্বীন বা ইবাদতের অনুমোদন আল্লাহ তা'লা দিয়েছিলেন কিন্তু এখন তা আর তা চলবে না আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) আসার পর তিনি আল্লাহ সোবাহানাল্লাহ তা'লার কাছে থেকে নতুন বিধান নিয়ে আসেন যার না শরিয়ত। আর এটাই আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনিত দ্বীন বা বিধান।
তো কেউ কেউ বলে নামাজ ২ রাকাত,আবার কেউ শুধু জিকির,আবার কেউ পীর এর ভক্ত!কেউ গানের মাধ্যমে আল্লাহকে পাবার চেস্টা করে!যেমন খাজা মইনুদ্দীন চীশতি!তার গান এতটাই গ্রহন যোগ্য ছিলো যে বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী তার অনুসারীদের গান বৈধ করেছেন!
এবং এটা নিয়ে "আকাশটা কাপছিলো ক্যান" নামক মারফতি গান আছে!
আমার প্রশ্ন হলো কেউ নামাজ,রোযা না করে যদি চিশতীয়া,বা বড়পীরের তরিকা অনুসরন করে তবে কি আখিরাতে জান্নাত পাবার আশা আছে?নামাজ রোজা ছাড়া জান্নাত পাওয়ার আশা করা বোকামি।কোন বড় পীর যদি আপনাকে সহিহ ও হক কাজ করার কথা বলেন তাহলে আপনি তাকে অনুসরণ করতে পারবেন।এমন না যে কোন বড় পীর ধরতেই হবে বা না ধরলে অনেক সমস্যা হবে।কুরআন বুঝে পড়ার চেষ্টা করবেন।কুরআন অর্থসহ পড়ার জন্য 'তাফহিমুল কুরআন' পড়লে কোনটা হক বা সঠিক নিজেই বুঝতে পারবেন।আমাদের বর্তমান পীরেরা অনেকেই নিজেরাই ফেতনা সৃষ্টি করেছেন কাউকে ওহাবি,কাউকে সুন্নী বা অন্য মতবাদ দিয়ে থাকেন।তাই আমি পীর ধরার পক্ষে নয়।কারণ রাসূল (সা:) বলেছেন:'আল ফেতনাতু আশাদ্দু মিনাজ জ্বীনা'।অর্থাৎ, ফেতনা সৃষ্টি করা জ্বীনা করার চেয়েও বেশি গুণাহ।