Posts

Showing posts from April, 2019

আইএসের উৎপত্তি ও উত্থান

জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার পাশাপাশি ইসলামিক স্টেট (আইএস) বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ জঙ্গি সংগঠন। শুরুতে এর নাম ছিল ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড লেভান্ট (আইএসআইএল)। এর প্রতিষ্ঠা হয় ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে। পরে এর নাম পরিবর্তন করে আইএস রাখা হয়। আইএসের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি। তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। বাগদাদের উত্তরে সামারা এলাকায় ১৯৭১ সালে তাঁর জন্ম। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হামলা শুরু হলে এর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধে যোগ দেন বাগদাদি। ২০১০ সালে আল-কায়েদার ‘ইরাক শাখার’ নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। এই সংগঠন পরে আইএসআইএলে পরিণত হয়। ইরাকে মার্কিন সামরিক অভিযান ও পরবর্তী দখলদারত্বের পর যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তারই প্রেক্ষাপটে জন্ম এ সংগঠনের। যুদ্ধক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়া এবং রণকৌশল ঠিক করার ক্ষেত্রে দক্ষতা রয়েছে বাগদাদির। বিশ্লেষকেরা বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিনব কৌশল আইএসকে তরুণদের মধ্যে আল-কায়েদার চেয়ে বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে। আল-কায়েদার নেতৃত্বে আছেন আয়মান আল জাওয়াহিরি। লন্ডনের কিংস কলেজের অধ্যাপক পিটার নিউম্যান বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো থেকে

আইএস যেভাবে সৃষ্টি হল

আইএস সৃষ্টির শুরু থেকেই আমরা শুধু শত্রুর মুখ থেকেই আইএস সম্পর্কে শুনে এসেছি। আইএস’র নৃশংসতার কথা বলেছে তারাই যারা ইরাক এবং সিরিয়াতে নিজেরা সরাসরি যুদ্ধ করেছে, আইএস এর বর্বরতায় যাদের জীবন বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে, যারা আইএস এর হিংস্রতা থেকে মুক্তি পেতে চায় এবং যারা আইএস’র মৌসুমি যোদ্ধা। কিন্তু ঘটনার মোড় ঘুরতে শুরু করেছে। নিচের এই লেখাটি আইএস এর যোদ্ধা ‘আবু আহমেদ’ নামের এক সিরিয় যুবকের জবানবন্দী, যিনি আইএস’র বর্বরতার প্রত্যক্ষদর্শী, যিনি মাসের পর মাস আইএস’র স্বদেশী, বিদেশী ভয়ংকর যোদ্ধাদের সাথে একসাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন। কয়েকটি পর্বে বিভক্ত অনন্য এই লেখাটিতে আবু আহমেদ নিখুঁতভাবে এবং আন্তরিক দৃষ্টি দিয়ে বর্ণনা করেছেন, আল-কায়েদার ভিত্তি ব্যবহার করে কিভাবে আবু বকর আল-বাগদাদি সিরিয়াতে ইসলামিক স্টেটের বিস্তার ঘটালেন, এবং কিভাবে খেলাফতকে মারাত্মক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করলেন। আবু আহমেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কিছু নাম এবং তাদের বিবরণ ইচ্ছাকৃতভাবেই গোপন করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের লিংক- যেভাবে আইএস অস্ত্রভাণ্ডার দখলে নেয় , তৃতীয় পর্বের লিংক: আইসিস ও আল-কায়েদা জোটে ভাঙন ও সংঘর্ষ সিরিয়াতে চলমান

বন্দিনীদের যৌন দাসী বানাতে ফতোয়া আইএস-এর

Image
আইএস অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্দি করে নিয়ে আসা মহিলাদের সঙ্গে ঠিক কী রকম আচরণ করা হবে, তা নিয়ে বহু দিন ধরেই চর্চা চলছে আইএস-এ। সেই সব বন্দিনীদের উপর নিয়মিত যৌন নির্যাতন চালায় আইএস জঙ্গিরা, এমন অভিযোগও বহু বার উঠেছে। আইএস-এর হাত থেকে পালিয়ে এসেছেন যে সব মহিলা, তাঁরাই বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন সে কথা। সম্প্রতি আইএস-এর কিছু গোপন নথিপত্র হাতে এসেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্সের হাতে। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে যে, কখন এবং কী ভাবে বন্দিনীদের যৌন দাসী বানানো উচিত তার বিস্তারিত ধর্মীয় ব্যাখ্যা দিয়ে একটি ফতোয়া জারি করা হয়েছে আইএস-এর নীতি-নির্ধারকদের পক্ষ থেকে। নানা রকম বিকৃত যুক্তি ও ইতিহাস উদ্ধৃত করে সেখানে বলা রয়েছে কেন বন্দিনীদের সঙ্গে জোর করে শারীরিক সংসর্গ করা উচিত জিহাদিদের। যেমন, বলা হয়েছে যে, কোনও বন্দিনী দাসীর যদি দু’জন মালিক থাকে, তবে দু’জনেই তাকে যৌনতার জন্য ব্যবহার করতে পারে। তবে একাধিক বিধি-নিষেধের ভড়ংও রয়েছে ওই নির্দেশনামায়। বলা হয়েছে যে, বাবা এবং ছেলে একই দাসীর সঙ্গে যৌন সংসর্গ করতে পারবে না। আবার মা ও মেয়ে দু’জনেরই মালিক যদি হয়ে থাকে একজন, তবে সে একসঙ্গে দু