Posts

Showing posts from March, 2019

মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ৭ তথ্য

Image
      ছবি: সংগৃহীত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পূর্ণাঙ্গ জীবনালেখ্য অধ্যয়ন করে কূল-কিনারা পাওয়া সম্ভব নয়। তিনি আল্লাহর মনোনীত শেষ নবী ও রাসুল। তার বর্ণোজ্জ্বল ও ধ্রুপদী জীবন-অধ্যায় সম্পর্কে ধারণা থাকা একজন মুসলমানের জন্য খুবই জরুরি। সিরাতের গ্রন্থগুলোতে তার জীবন সম্পর্কিত প্রচুর তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। রাসুল (সা.) সম্পর্কে সাতটি সংক্ষিপ্ত তথ্য জানা যাক।  ১. রাসুল (সা.)-এর প্রিয় রং ছিলো সবুজ। ২. তিনি মধু পছন্দ করতেন। ৩. মধুমিশ্রিত ঠাণ্ডা পানীয় তার প্রিয় ছিলো। ৪. তার কণ্ঠস্বর এতোই জোরালো ছিলো যে, বিদায় হজের ভাষণে তিনি লক্ষাধিক সাহাবির সামনে কোনো প্রকার সহযোগিতা ছাড়া জীবনের শেষ ভাষণ দেন। ৫. কারো কথার মাঝখানে তিনি কখনোই কথা বলতেন না। বরং বক্তার কথা তিনি মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। ৬. ঘুমানোর সময় তিনি ডান কাত হয়ে ডান হাত গালের নিচে দিয়ে শুতেন। ৭. রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত মাজা বা মেসওয়াক করা ছিলো তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস। তথ্যসূত্র: শায়খুল হাদিস মাওলানা জাকারিয়া কান্ধলভি রচিত ‘আল-শামায়েল আল মুহাম্মদিয়্যা’ (২য় সংস্করণ)  

চলন্ত প্লেনে ইসলাম গ্রহণ করলেন পাইলট

Image
     পাইলট অ্যামালোর ইসলাম গ্রহণের দৃশ্য। ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত ভূমি থেকে ১৮ হাজার ফুট উঁচুতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন এক পাইলট। সৌদি আরবের আকাশে প্লেনটি প্রবেশ করার পর ব্রাজিলিয়ান পাইলট অ্যামালো ইসলামধর্ম গ্রহণ করেন। এসময় তার সহকারী পাইলট প্লেনটি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং নওমুসলিম অ্যামালোকে স্বাগত জানান। ইসলাম গ্রহণকালে অ্যামালোর কালেমা শাহাদাত পাঠের ভিডিওটি বিশ্বব্যাপী অল্প সময়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং বেশ আলোচনা ও খবরের জন্ম দেয়। সংবাদ রাশিয়া টুডের। সৌদি আরবের আল-বালাদ নিউজ অনলাইন জানায়, একটি বিমান সংস্থার ব্রাজিলীয় পাইলট অ্যামালো কালেমা শাহাদাত পড়ে ইসলামধর্ম গ্রহণ করেন। ভিডিও ক্লিপটিতে অ্যামালোর সহকর্মী ও মুসলিম পাইলটকে বলতে শোনা যায়, আমরা ইসলামের জন্য এক অপরের ভাই। তার মন্তব্যের প্রতি উত্তরে অ্যামালও বলেন, হ্যাঁ আমরা ইসলামে ভাই ভাই। ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন...

রাসুল (সা.) এর জন্মস্থান

Image
      রাসুল (সা.)-এর জন্মস্থান, মক্কা, সৌদি আরব। ছবি : সংগৃহীত বিশ্ব মুসলমানদের হৃদয়ের তীর্থস্থান মসজিদুল হারাম থেকে সামান্য দূরেই রাসুল (সা.)-এর পিতা আবদুল্লাহর ঘর অবস্থিত। সেটি ‘শিআবে আলী’র প্রবেশমুখে অবস্থিত। বনি হাশেম গোত্র যেখানে বাস করত সেটিই ‘শিআবে আলী’ হিসেবে তখন পরিচিত ছিল। আর বাবা আবদুল্লাহর এ ঘরেই প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। মক্কায় অবস্থানকালীন সময়ে রাসুল (সা.) এ ঘরেই বসবাস করতেন বলে জানা যায়। যদিও এ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোনো ঐতিহাসিক তথ্য বা প্রমাণ নেই। তবুও মক্কা নগরীতে এটি রাসুল (সা.)-এর জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত। ওসমানি শাসনামলে এ বাড়িটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হত। বর্তমানে রাসুল (সা.)-এর জন্মস্থানে একটি লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়। সৌদির বিখ্যাত শায়খ আব্বাস কাত্তান ১৩৭১ হিজরিতে ব্যক্তিগত সম্পদ ব্যয়ে এটি নির্মাণ করেন। মসজিদুল হারামের নতুন সম্প্রসারণ-কার্যক্রমে এই লাইব্রেরিটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে। সম্প্রসারণের নতুন নকশা ও মডেল থেকে যতটুকু জানা যায়, এ স্থানে কোনো স্থাপনা তৈরি না করে খালি ও উন্মুক্ত স্

মহানবী (সা.) এর জন্মদিনে আমাদের করণীয়

Image
মহানবী (সা.) এর জন্মদিনে আমাদের করণীয় ইসলাম ডেস্ক  |  বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম আপডেট: ২০১৮-১১-২১ ৪:৪৪:৪২ পিএম     মসজিদে নববী, মদিনা মুনাওয়ারা, সৌদি আরব। ছবি : সংগৃহীত মহানবী (সা.)-কে সোমবারের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনে আমাকে নবুয়ত দান করা হয়েছে।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ১১৬২) মুসলিম শরিফে বর্ণিত বিশুদ্ধ এই হাদিসের আলোকে জানা যায়, প্রিয় নবীর জন্মদিনে উম্মতের করণীয় কী? এই দিনে উম্মতের করণীয় হলো, রোজা রাখা। তার প্রতি অধিক পরিমাণে দরূদ ও সালাম পাঠ করা। অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমলনামা আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করা হয়। সুতরাং রোজা অবস্থায় আমার আমলনামা উপস্থাপন করা হোক, এটা আমি পছন্দ করি।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৪৭) তাই মহানবী (সা.) এর জন্মের দিনে নফল রোজা রাখা প্রকৃত নবীপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। সবচেয়ে বড় কথা হলো, মহানবী (সা.) এর জন্মের ঘটনার চেয়েও তার সর্বব্যাপ্ত জীবনাদর্শ আমাদের জন্য অধিক প্রয়োজনীয়। মহানবী (সা.) এর জন্মের বিষয়টি একান্ত তার ব্যক্তিগত। কিন্ত

ঘুষ দিয়ে পাওয়া চাকরির বেতন কি হারাম

Image
ছবি : প্রতীকী ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া আমাদের দেশে কিছু ক্ষেত্রে ‘স্বাভাবিক’ হয়ে গেছে। কিন্তু ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া হারাম। এটা প্রায় সবাই জানে। তাহলে যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন, তাদের চাকরির বেতন বা টাকার কী হুকুম? মূলত ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া স্পষ্ট হারাম। হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহণকারী উভয়কেই অভিসম্পাত করেছেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস নং : ৩৫৮২) হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া জায়েজ নয়। এভাবে চাকরি নিলে ঘুষ দেওয়ার কারণে কবিরা গুনাহ হয়, আবার ঘুষ গ্রহণের কারণেও বড় গোনাহে লিপ্ত হয়। অন্যদিকে ঘুষদাতা কর্মের অযোগ্য হলে অন্য যোগ্য চাকরিপ্রার্থীর অধিকার নষ্ট করার গুনাহও হয়। তবে কেউ যদি বাস্তবেই চাকরির যোগ্য হয় এবং (ঘুষ প্রদান হারাম হওয়া সত্ত্বেও) ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়। আর পরে সে যদি যথাযোগ্য দক্ষতা ও নিপুণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে এভাবে চাকরি নেওয়া অবৈধ ও গোনাহ হলেও বেতন হালাল হবে। কিন্তু ঘুষদাতা যদি কর্মক্ষেত্রে অযোগ্য হয় এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার জন্য ওই চাকরিতে থাকা বৈধ হবে না। আর ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করে বেতন নেও

প্রিয়নবী (সা.) যেসব খাবার পছন্দ করতেন

Image
    ছবি : প্রতীকী প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যেসব খাবার গ্রহণ করেছেন, তা ছিল সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আজকের বিজ্ঞানের গবেষণায়-এষণায় বিমূর্ত হচ্ছে, রাসুল (সা.)-এর খাবারগুলোর গুণাগুণ ও মানবদেহের জন্য সেগুলোর প্রয়োজনীয়তা।  নিম্নে সংক্ষেপে রাসুল (সা.)-এর কিছু খাবারের আলোচনা তুলে ধরা হলো। পনির :  আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তাবুকের যুদ্ধে রাসুল (সা.)-এর কাছে কিছু পনির নিয়ে আসা হয়। রাসুল (সা.) বিসমিল্লাহ পড়ে একটি চাকু দিয়ে সেগুলো কাটেন এবং কিছু খাবার খান। (আবু দাউদ : ৩৮১৯) মাখন :  ইবনাই বিসর আল মুসলিমাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা উভয়ে বলেন, ‘একবার আমাদের ঘরে রাসুল (সা.) আসেন। আমরা তার সামনে মাখন ও খেজুর পরিবেশন করি। তিনি মাখন ও খেজুর পছন্দ করতেন। ’ (তিরমিজি : ১৮৪৩) মিঠাই ও মধু :   আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) মিষ্টান্ন ও মধু পছন্দ করতেন। ’ (বুখারি, ৫১১৫; মুসলিম, ২৬৯৫) বুখারি শরিফের আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মধু হলো উত্তম ওষুধ। ’ (৫৩৫৯) ঘি মাখা রুটি :   আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে ব

নুহ নবীর নৌকার প্রতিরূপ তৈরি নেদারল্যান্ডসে

Image
    নুহ নবীর নৌকার প্রতিরূপ তৈরি নেদারল্যান্ডসে। ছবি: সংগৃহীত ঢাকা:  আল্লাহর নবী হযরত নুহ (আ.) ছিলেন আদি পিতা হযরত আদম (আ.)-এর অষ্টম অথবা দশম অধঃস্তন পুরুষ। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে হযরত নুহ (আ.)-এর আখ্যান এবং তার সম্প্রদায়ের ঈমানদারদের মুক্তি পাওয়া ও অস্বীকারকারীদের মহাপ্লাবনের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার বর্ণনা-কাহিনি আলোচিত হয়েছে। পবিত্র কোরআনের মোট ২৮টি সুরার ৮১টি আয়াতে এ সম্পর্কে আলোচনা এসেছে। তিনি সুদীর্ঘ ৯৫০ বছর দুনিয়ায় ছিলেন। এতো দীর্ঘ সময় ধরে তার জাতিকে তিনি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার দাওয়াত দিলেও মাত্র ৮০ বা ৮১ জন সমান নারী-পুরুষ ঈমান এনেছিলেন। ফলে বারবার সতর্ক করার পর আল্লাহতাআলার নির্দেশে প্রলয়ঙ্করী ঝড় ও মহাপ্লাবনের হাত থেকে তৎকালীন ঈমানদার মানুষ ও জীবজন্তুকে বাঁচানোর জন্য হযরত নুহ (আ.) একটি বৃহৎ নৌকা তৈরি করেছিলেন। এ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ কোরআন-হাদিস এবং বিভিন্ন আসমানি কিতাবে রয়েছে। তৎকালীন প্রত্যেক প্রজাতির পশু-পাখির জোড়া নিয়ে হযরত নুহ (আ.)-এর অনুসারীরা নৌকায় উঠলে মহাপ্লাবন শুরু হয়। দীর্ঘ এই মহাপ্লাবনে নৌকার আরোহীরা বাদে বাকি