Posts

Showing posts from November, 2019

বাবরি মসজিদ রায়ের আদ্যোপান্ত

Image
আসুন জেনে নেওয়া যাক ১০৪৫ পৃষ্ঠার ওই রায়ের আদ্যোপান্ত। বাবরি মসজিদ : তিন গম্বুজের এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মীর বাকি। মসজিদের নামকরণ করা হয়েছিল সম্রাট বাবরের নামে। ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে গঠিত জৌনপুরি ঘরানার এই মসজিদই বিতর্কের কেন্দ্র। মন্দির পক্ষের অনেকের বিশ্বাস ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেখানে বাবরি মসজিদ দাঁড়িয়েছিল, ঠিক সেখানেই জন্ম হয়েছিল রামচন্দ্রের। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, মসজিদ নির্মিত হয়েছিল অ-ইসলামি এক কাঠামোর উপর।ভারতীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারতের রাজনীতির একটা বড় অংশ আবর্তিত হয়েছে এই বিতর্ককে কেন্দ্র করেই। তবে এবার সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যখন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এ বিষয়ে রায় দিতে চলেছে। এই অবসরে এক ঝলকে দেখে নেয়া যাক, ঠিক কোন পথে এগিয়েছে এই অতি বিতর্কিত মামলা- ১৫২৮- মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি বাবরি মসজিদ তৈরি করলেন। ১৮৮৫- ফৈজাবাদ জেলা আদালতে বাবরি মসজিদের বাইরে চাঁদোয় টাঙানোর আবেদন জানালেন মহান্ত রঘুবর দাস। আদালতে আবেদন নাকচ হয়ে যায়। ১৯৪৯- বিতর্কিত ধাঁচার মূল গম্বুজের মধ্যে নিয়ে আসা হল রাম লালার মূর্তি। ১৯৫০-রামলালার মূর্তিগুলির পূজা

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.): ইরানসহ বিভিন্ন দেশে ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ শুরু

Image
কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, খ্রিস্টীয় ৫৭০ সালের এ দিনে (১২ই রবিউল আউয়াল) বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। অবশ্য বিশ্বনবী (সা.)’র পবিত্র আহলে বাইতের বর্ণনা অনুযায়ী রাসূল (সা.)’র জন্মদিন ১৭ই রবিউল আউয়াল। মহানবীর জন্মতারিখ কেন্দ্রিক মতপার্থক্যকে দূরে ঠেলে মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য জোরদারের লক্ষ্যে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের রূপকার মরহুম ইমাম খোমেনি (র.) ১২ রবিউল আওয়াল থেকে ১৭ রবিউল আওয়ালকে ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ হিসেবে ঘোষণা করেন। গত কয়েক দশক ধরে এই ঐক্য সপ্তাহ শিয়া ও সুন্নি মুসলমানের মধ্যে ঐক্য জোরদারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। ইরানে এ বছরও ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষে আগামী ১৪ থেকে ১৬ নভ্ম্বের অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক ইসলামি ঐক্য সম্মেলন। ৩১তম এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও আলেমরা যোগ দেবেন। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি।

মহানবীকে (সা.) নিয়ে চীনা সম্রাটের কবিতা

Image
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ-প্রদেশের অমুসলিমরাও মহানবী (সা.)-এর বন্দনায় মেতেছেন। ভারতের প্রচুর হিন্দু ঠাকুর ও ধর্মীয় পণ্ডিত মহানবী (সা.)-এর সম্মানে কবিতা রচনা করেছেন। নিজেরা আবার অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেছেন। মহানবী (সা.)-এর সম্মানে হিন্দু ধর্মীয় গুরু-পণ্ডিত শ্রী আচার্য্য প্রমোদ কৃষ্ণ ও পণ্ডিত রামসাগর পৃথ্বিপাল ত্রিপাঠীসহ অনেক অমুসলিম ধর্মবেত্তার কবিতা পাঠের বেশ কিছু ভিডিও ইউটিউবে রয়েছে। রাসুল-কবি সাহাবি হাসসান বিন সাবিত (রা.) এক কবিতায় বলেছেন, ‘মা ইন মাদাহতু মুহাম্মাদান বি কাসিদাতি, ওয়া লাকিন মাদাহতু কাসিদাতি বি মুহাম্মাদি... ’ অর্থাৎ আমি যখনই কবিতার মাধ্যমে মুহাম্মদের স্তুতি-গান গেয়েছি, ততবারই আমি মুহাম্মদের মাধ্যমে আমার কবিতাকে প্রশংসিত করেছি। বস্তুত যুগ যুগ ধরে যাঁরা মহানবী (সা.)-কে নিয়ে আলোচনা করেছেন, কবিতার পঙিক্ত গেঁথেছেন কিংবা শব্দের মঞ্জিমা তৈরি করেছেন, তাঁরা সতত প্রশংসিত হয়েছেন। ইতিহাস তাঁদের নিয়ে কথা বলেছে। যুগ পরম্পরায় তাঁরা আলোচিত হয়েছেন। রাসুল বন্দনায় কবিতা লিখেছেন এমন একজন হলেন মধ্যযুগীয় চীনা মিং সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট হংউও। তিনি মহানবী (সা.)-এর প্রশংসা করে ক

বাবরী মসজিদের রায় ঘোষণা করল ভারতীয় আদালত

Image
আজ (শনিবার) দুপুরে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি এস আব্দুল নাজির। রায়ের পর সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী জাফরাইব জিলানি বলেন, ‘‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানাই। তবে এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা মনে করি এটা অন্যায্য। তবে, আমরা রায়ের সব অংশের সমালোচনা করছি না।" তিনি জানান, তারা একটি বৈঠক করবেন। সেখানে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইট বার্তায় এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এই রায় বিচার ব্যবস্থায় জনসাধারণের আস্থা বাড়িয়ে তুলবে। ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা’য় অবস্থিত বাবরি মসজিদটি মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি তৈরি করেন। মুসলমানদের এই পবিত্র স্থানকে প্রায় ৭০ বছর ধরে হিন্দুরা তাদের ঈশ্বর “রামের” জন্মস্থান বলে দাবী করে আসছে। হিন্দুদের এই দাবীর ফলে দীর্ঘ দিন যাবত মুসলমানদের সাথে দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে। নীচে এর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ইস্যু তুলে ধর

কুরআনের আয়াত সমূহ দ্বারা হাযির-নাযির এর প্রমাণ

Image
১)  يَاايُّهَاا لنَّبِىُّ اِنَّا اَرْسَلْنكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْرًا وَّدَاعِيًا اِلَى اللهِ بِاِذْنِه وَسِرَاجًا مُّنِيْرَا [ আল্লাহ তাআলা প্রিয় নবী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ) কে সম্বোধন করে এরশাদ করেছেন, ওহে অদৃশ্য বিষয়াদির সংবাদদাতা! নিশ্চয় আমি আপনাকে প্রেরন করেছি, হাযির-নাযির , সুসংবাদদাতা হিসাবে এবং ভয় প্রদর্শনকারী করেছি আল্লাহর নির্দেশানুশারে তার দিকে আহবানকারী এবং উজ্জল প্রদীপ হিসেবে] আয়াতে উল্লেখিত- شاهد (শাহীদ) শব্দের অর্থে সাক্ষীও হতে পারে এবং হাযির-নাযির ও হতে পারে। সাক্ষী অর্থে সাহিদ শব্দটি এজন্য ব্যবহৃত হয়েছে সে ঘটনা স্থলেই উপস্থিত ছিল। হুযূর আলাইহিস সালামকে শাহিদ হয়তো এ জন্যই বলা হয়েছে, তিনি ( সাল্লাল্লাহ আলাইহে ওয়াসাল্লাম )দুনিয়াতে এসে অদৃশ্য জগতের সাক্ষ্য দিচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরুপে। প্রত্যক্ষদর্শী যদি না হন, তাহলে প্রিয় নবী ( সাল্লাল্লাহ আলাইহে ওয়াসাল্লাম ) কে শাক্ষীরুপে প্রেরণের কোন অর্থই  হয়না। কেননা সমস্ত নবীগন (আলাইহিস সালাম) তো সাক্ষী ছিলেন। অথবা তাকে এ জন্যই শাহিদ বলা হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন তিনি (সাল্লাল্লা

যুক্তি নির্ভর দলীলাদির সাহায্যে হাযির-নাযির এর প্রমাণ

Image
ইসলাম ধর্মের অনুসারীগণ এ বিষয়ে একমত যে, হুযুর সাইয়্যিদ আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ পবিত্র সত্ত্বা যাবতীয় গুণাবলীতে ভূষিত। অর্থাৎ যে সব গুণাবলী অন্যান্য সম্মানিত নবী কিংবা ভবিষ্যতে আগমনকারী উচ্চ পর্যায়ের ওলীগণ বা কোন সৃষ্টজীব লাভ করেছেন বা করবেন, সে সমস্ত গুণাবলী বরং তার চেয়েও বেশী গুণাবলীতে হুযুর আলাইহিস সলামকে ভূষিত করা হয়েছে। বরং অন্যান্য সকলেই যা কিছু অর্জন করেছেন, তা সব হুযুর আলাইহিস সালামের বদৌলতে। কুরআন কারীম ইরশাদ করেছেন- (আপনি পূর্ববর্তী নবীগণের পথে চলুন।) তাফসীরে রূহুল বয়ানে এ কথার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে- فَجَمَعَ اللهُ كُلَّ خَصْلَةٍ فِىْ حَبِيْبِه عَلَيْهِ السَّلَامُ  অর্থাৎ আল্লাহ হুযুর আলাইহিস সালামকে প্রত্যেক নবীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে মণ্ডিত করেছেন। এ কথাটুকু মওলানা জামী (রহঃ) এ কবিতার নিম্নোক্ত পংক্তিদ্বয়েও বিধৃত হয়েছে- [স্বনামধন্য কবি হুযুর আলাইহিস সালামকে সম্বোধন করে বলেছেন হে নবী! আপনি হযরত ইউসুফ (আঃ) এর অপূর্ব সৌন্দর্য রাশিতে ভূষিত, হযরত ঈসা (আলাইহিস সালাম) এ ফুঁক দিয়ে জীবন দানের ক্ষমতা সম্পন্ন ও হযরত মুসা (আঃ) (এর য়াদে বায়যা

হাদিসের দৃষ্টিতে ওসীলা নেওয়া যায়েজ

Image
★ হাদিস নং – ১ হযরত আবু হুরায়রা (রা:) একবার আরয করেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ (দরুদ), আমি আপনার কাছ থেকে অসংখ্য হাদীস শুনি, কিন্তু তা ভুলে যাই; মনে রাখতে পারিনা। আমি কামনা করি আপনার পবিত্র মুখনিঃসৃত বাণী যেন আর কখনোই না ভুলি।” তখন হুজূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, “তোমার চাদর বিছিয়ে দাও।” অতঃপর হযরত আবু হুরায়রা (রা:) তা বিছিয়ে দিলেন। তখন আকা (দ:) তাঁর হাত মুবারকে শূন্য থেকে কী যেন ওই চাদরের মধ্যে রাখেন, অতঃপর বলেন, “চাদর ভাঁজ করে ফেলো।”তিনি তা ভাঁজ করে নিলেন। হযরত আবু হুরায়রা (রা:) বলেন,”এরপর আর কোনো দিন কিছু ভুলিনি।” [অধ্যায়: কিতাবুল ইলম,বোখারী শরীফ] সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ এখানে হযরত আবু হুরায়রা (রা:)-এর মতো প্রসিদ্ধ সাহাবী,যিনি অধিক হাদিস রেওয়ায়েতকারী এবং আহলে সুফফার একজন আল্লাহ-পাগল রাসূল-প্রেমিক, তিনিও হুজুর নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে ভুলে যাওয়ার ব্যাপারে পরিত্রাণ চাচ্ছেন। তাঁর চাওয়াতে হুজুর পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কোনো অভিযোগ ছিলনা,মুশরিক-ও আখ্যা দেননি। ★হাদিস নং – ২ হযরত উসমান ইবনে হানীফ (রা:) থেকে বর্ণিত আছে, এক অন্ধ ব্

হায়াতুন নাবী (ﷺ) | সমস্ত নবী (আঃ) কবরে জিবীত

Image
আস্সালামু আলাইকুম বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম প্রীয় পাঠক আজ আকিদা বিষয়ক একটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যা হল,”হায়াতুন নবী ( ﷺ )” বা ”জিন্দা নাবী ( ﷺ )” আমরা সকলে জানি আমাদের নবী হজরত মোহাম্মাদ ( ﷺ ) ও সমস্ত নবী (আঃ)   ইন্তেকাল করেছেন । তবে   সমস্ত নবীগণ (আঃ) কবরে জিন্দা ও আমাদের নবীকে ”হায়াতুন নবী ( ﷺ )” কেন বলা হয় এই বিষয়টি সঠিক ভাবে জানব । ”হায়াতুন নবী ( ﷺ )” সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা জানতে নিম্নের সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ুন ।   নিম্নের সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ার পর    ”হায়াতুন নবী ( ﷺ )” সম্পর্কে আপনার ধারনা পরিস্কার হবে ।   ইন শা অল্লাহ । আমরা সকলে জানি যাহারা আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যু বরণ করেন তাদের শহিদ বলা হয় । তাদের শাহাদাতের পর জানাজা পড়ে দাফন করা হয় । পরিবারের মানুষ ও সঙ্গী সাথীরা বলেন সে মৃত্যু বরণ করেছেন বা শাহাদত বরন করেছেন বা সে আর জীবিত নেই । মানুষ তাদের মৃত্যু বলে । অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেন “   আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার না।” (সুরা আল-বাকারাহ-আয়াত ১৫