কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত

 

টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশইয়াবা বাণিজ্যসহ অপরাধের অভয়ারণ্যের কথা জেনে ফেলায় থানায় বৈঠক করে খুনের সিদ্ধান্ত * এসপি মাসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ * ১৩০ দিনের তদন্তে ৮৩ সাক্ষী অন্তর্ভুক্ত করে ২৬ পৃষ্ঠার চার্জশিট

 যুগান্তর রিপোর্ট ও কক্সবাজার প্রতিনিধি 
১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:০০ এএম  |  
প্রদীপের পরিকল্পনায় হত্যা
ফাইল ছবি

কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এর মূল পরিকল্পনাকারী টেকনাফ থানার সাবেক ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশ। ইয়াবা বাণিজ্যসহ টেকনাফে তার অপরাধের অভয়ারণ্য ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে হুমকি মনে করায় পরিকল্পিতভাবে সিনহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে প্রদীপ ও পরিদর্শক (বরখাস্ত) লিয়াকত আলীসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব। সেখানে কক্সবাজারের তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ হোসেন অত্যন্ত উদাসীন ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়। এজন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

চার্জশিটে আসা বাকি ১৩ আসামি হলেন-এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল-মামুন, মোহাম্মদ মোস্তফা, এপিবিএনের তিন সদস্য এসআই মোহাম্মদ শাহজাহান, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাজীব ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী নুরুল আমিন, নেজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ, টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মা এবং সাবেক এএসআই সাগর দেব। 

এদিকে রোববার সকাল সোয়া ১০টায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়। চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম। আদালত ২৬ পৃষ্ঠার চার্জশিটটি গ্রহণ করেছেন।

মামলাটি তদন্ত করতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৪ মাস ১০ দিন অর্থাৎ ১৩০ দিন সময় নিয়েছেন। চার্জশিটে অভিযুক্ত ১৫ জনের মধ্যে টেকনাফ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাগর দে পলাতক। বাকি সব আসামি কারাগারে। গ্রেফতার হওয়া ১৪ জনের মধ্যে ১২ জন দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি দেননি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ দাশ ও রুবেল শর্মা। তদন্ত কর্মকর্তারা ৮৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এর বাইরেও বিভিন্ন ধরনের আলামত ও ডিজিটাল কনটেন্ট পর্যালোচনা করেছেন।

৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ফাঁড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনার পর মোট চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ ও রামু থানায় তিনটি মামলা করে। ওই তিন মামলায় সিনহা মো. রাশেদ এবং ডকুমেন্টারি নির্মাণে তার দুই সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে মাদক ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। তবে পুলিশের দায়ের করা মামলায় অভিযোগের ‘সত্যতা পায়নি’ র‌্যাব। তাই ওই অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি চেয়ে র‌্যাব আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। ১৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়া মামলাটি করা হয়েছিল কক্সবাজার আদালতে। এটি করেন সিনহা মো. রাশেদের বোন শারমিন শাহরিয়ার। এদিকে রোববার সিনহা হত্যা মামলা বাতিল চেয়ে প্রধান আসামি লিয়াকত আলীর করা রিভিশন মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

রোববার দুপুরে চার্জশিটের বিভিন্ন বিষয় জানাতে ঢাকায় র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব। সেখানে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, র‌্যাব নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে মামলার তদন্ত করেছে। এতে দেখা গেছে, কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খুন হন। টেকনাফে বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভয়াশ্রম গড়ে তুলেছিলেন তিনি। এ সম্পর্কে জেনে ফেলার কারণেই টেকনাফ থানায় পরিকল্পনা করে তাকে খুন করা হয়।

আশিক বিল্লাহ বলেন, ইয়াবা বাণিজ্যের বিষয়টি জেনে যাওয়ায় সিনহা জুলাই মাসের মাঝামাঝিতে প্রদীপের সঙ্গে কথা বলতে যান। তখন প্রদীপ সরাসরি হুমকি দিয়েছিল সিনহাকে। প্রদীপ ভেবেছিল, হুমকি দিলে সিনহা কক্সবাজার ত্যাগ করবে। কিন্তু কক্সবাজার ত্যাগ না করায় হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে এমনটিই পেয়েছেন।

পরিকল্পনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব মুখপাত্র জানান, সিনহা মো. রাশেদ বন্ধুবৎসল ছিলেন। টেকনাফে তার ইউটিউব চ্যানেল চালুর অংশ হিসেবে গিয়েছিলেন। দ্রুতই তার সঙ্গে এলাকাবাসীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তিনি টেকনাফের মানুষের ওপর প্রদীপ কুমার দাশের নির্যাতন-নিপীড়নের কথা জানতে পারেন। ইয়াবা কেনাবেচায় সম্পৃক্ততারও প্রমাণ পান। তার কাছে এমন কিছু তথ্য ছিল, যেগুলো প্রকাশ পেলে প্রদীপ কুমার দাশ অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যেতে পারতেন। এসবের ভিত্তিতে তিনি টেকনাফ থানায় প্রদীপ কুমার দাশের সঙ্গে কথা বলতে যান। এ সময় প্রদীপ কুমার দাশ তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলেন। কিন্তু টেকনাফ না ছেড়ে সিনহা তার কাজ চালিয়ে চান। পরে প্রদীপ থানাতেই উপপরিদর্শক লিয়াকত ও তিন তথ্যদাতার সঙ্গে বৈঠক করেন। হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতেও প্রদীপই নির্দেশ দেন।

আশিক বিল্লাহ আরও জানান, গত ৩১ জুলাই রাত ৯টা ২৫ মিনিটে সিনহা মো. রাশেদ খান গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হাসপাতালে নেন দায়সারাভাবে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য আসামি পুরো হত্যাকাণ্ডটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নাটক মঞ্চস্থ করেন। তৎকালীন পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেনের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঘটনার পরও ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়া ছিল অপেশাদারিত্ব। তিনি (এসপি) বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত উদাসীন ছিলেন। দায়িত্ব পালনে তার আরও যত্নবান হওয়া উচিত ছিল। এসব কারণে এসপি মাসুদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে চার্জশিটে সুপারিশ করা হয়েছে। 

সিনহা মো. রাশেদ খানের ডিজিটাল ডিভাইস পরীক্ষা করা হয়েছে কি না বা হলে কী ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে-এমন এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, এগুলো পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়েনি। সিনহার থানায় যাওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না-এ বিষয়ে তিনি বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে টেকনাফ থানার কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি।

সিনহা হত্যাকাণ্ডের পূর্বপরিকল্পনার বিষয়টি উল্লেখ করে আশিক বিল্লাহর কাছে প্রশ্ন ছিল-টেকনাফে কি তাহলে পুলিশ এভাবেই সাজানো বন্দুকযুদ্ধ ঘটিয়েছে? এর উত্তরে আশিক বিল্লাহ জানান, প্রতিটি ঘটনাই আলাদা। তারা নির্দিষ্ট একটি ফৌজদারি মামলার তদন্ত করেছেন।

এছাড়া অভিযুক্তদের কয়েকজন ‘ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার’ চেষ্টা করেছেন-এমন মন্তব্য করে আশিক বিল্লাহ বলেন, জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে লিয়াকত তিন সোর্স নুরুল আমিন, নেজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজের সঙ্গে হত্যা পরিকল্পনা নিয়ে সাক্ষাৎও করেছিলেন, সে তথ্যও তদন্তকারী কর্মকর্তা জানতে পেরেছেন। গুলি করার পর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করতেই তাকে হাসপাতালে নিতে সময়ক্ষেপণ করা হয় এবং পরে লোক দেখাতে হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি বলেন, প্রদীপ সরকারি বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করে কক্সবাজারে অভয়ারণ্য তৈরি করেছিল।

চার্জশিট জমা দেয়ার পর সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিনহা হত্যার ঘটনায় মাদক ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা তিনটি মামলার সত্যতা পাওয়া যায়নি। যে কারণে ১০ ডিসেম্বর আদালতে পুলিশের করা তিনটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে র‌্যাব। পাশাপাশি সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের করা মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৩ জুলাই ‘জাস্ট গো’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ট্রাভেলস শো ডকুমেন্টারির শুটিংয়ের জন্য তিনজন সহযোগীসহ কক্সবাজারের নীলিমা রিসোর্টে ওঠেন মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই খবর পৌঁছায় টেকনাফের তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমারের কাছে। তখন থেকেই ওসি প্রদীপ অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘ভিডিও পার্টিকে এখান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে যে কোনো মূল্যে।’ এরপর থেকেই সিনহাকে নজরদারিতে রাখেন পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত। এমন তথ্যও উঠে এসেছে তদন্তে।

যা ছিল এজাহারে : সিনহার বোনের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, সিনহা ও সিফাত ৩১ জুলাই বিকালে ডকুমেন্টারির জন্য ভিডিও ধারণ করতে নীলিমা রিসোর্ট থেকে বাহারছড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তার পাশের পাহাড়ে যান। ডকুমেন্টারির প্রয়োজনেই সিনহার পরনে তখন কমব্যাট গেঞ্জি, কমব্যাট ট্রাউজার ও ডেজার্ট বুট ছিল। রাত ৮টা পর্যন্ত পাহাড়ে ভিডিও ধারণ করে তারা ফিরতি পথে রওনা হন এবং রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে সিনহার প্রাইভেট কার শামলাপুর চেক পোস্টে পৌঁছায়। পরিদর্শক লিয়াকতসহ পুলিশ সদস্যরা সেখানে গাড়ির ‘গতিরোধ’ করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।

এজাহারে আরও বলা হয়, সিনহা অবসরপ্রাপ্ত মেজর হিসেবে পরিচয় দিলে পুলিশ সদস্যরা গাড়ির সামনের বাঁদিকের দরজা খুলে ‘টেনেহিঁচড়ে’ সিফাতকে বের করে নিয়ে যান। সিফাত তখন দুই হাত তুলে নিজের এবং গাড়িতে বসা সিনহার পরিচয় দেন। আসামিরা ওই সময় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে।

এ সময় সিনহা গাড়ি থেকে নেমে দুই হাত উপরে তুলে বারবার নিজের পরিচয় দেন। কিন্তু পরিদর্শক লিয়াকত তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। বলতে থাকেন, ‘তোর মতো বহুত মেজরকে আমি দেখছি। এইবার খেলা দেখামু’। এরপর লিয়াকত টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ফোন করে নিচুস্বরে শলাপরামর্শ করতে থাকেন।

একপর্যায়ে লিয়াকত ফোনে প্রদীপকে বলতে থাকেন, ‘ঠিক আছে, শালারে শেষ কইরা দিতাছি’। এর পরের ঘটনার বর্ণনায় এজহারে বলা হয়, ওই সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরিদর্শক লিয়াকত সম্পূর্ণ ঠাণ্ডামাথায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের শরীরের ঊর্ধ্বাংশে কয়েক রাউন্ড গুলি করেন।

গুলির আঘাতে সিনহা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান এবং নিজের জীবন রক্ষার জন্য ঘটনাস্থল থেকে উঠে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন অন্য আসামিরা তাকে চেপে ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। লিয়াকত আলী তখন সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করতে আরও এক রাউন্ড গুলি করেন।

এর পরপর ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ওসি প্রদীপ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকা সিনহার শরীর ও মুখে কয়েকবার লাথি মেরে তার মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হন এবং নিজের বুট জুতা দিয়ে ঘষা দিয়ে নিহতের মুখমণ্ডল বিকৃত করার চেষ্টা করতে থাকেন।

পুলিশ সদস্যরা এ সময় মামলার সাক্ষী এবং ঘটনাস্থলের আশপাশে উপস্থিত লোকজনকে ‘অস্ত্র উঁচিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে’ সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন। এরপর রাত পৌনে ১২টার দিকে সিনহাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
 

সাততেতৈয়া

শরিয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারফত কাকে বলে? বিস্তারিত?

পবিত্র কুরআন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।

হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-বড় পীর এর জীবনী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

তাজবীদ

জামে মসজিদ নীতিমালা