রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে কটুক্তিকারী শাস্তি

ধ্বংসযজ্ঞের মাঝেও অক্ষত পবিত্র কোরআন (ভিডিও) যেসব নামধারী আলেমরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে কটুক্তি করে তাদের চোখে কি পবিত্র কোরআনুল কারিমের এই আয়াত গুলো পড়ে না

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
মুমিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের ওপর তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ কথা বল, তাঁর সাথে সেরূপ কথা বলো না। এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না। (সূরা আল হুজরাত, ৪৯ঃ২)

لَّا تَجْعَلُوا دُعَاءَ الرَّسُولِ بَيْنَكُمْ كَدُعَاءِ بَعْضِكُم بَعْضًا ۚ
রসূলের আহবানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে আহ্বানের মত গণ্য করো না। (সূরা নুর, ২৪ঃ৬৩)

আল-আন‘আম 6:10
وَلَقَدِ ٱسْتُهْزِئَ بِرُسُلٍ مِّن قَبْلِكَ فَحَاقَ بِٱلَّذِينَ سَخِرُوا۟ مِنْهُم مَّا كَانُوا۟ بِهِۦ يَسْتَهْزِءُونَ
আর অবশ্যই তোমার পূর্বে রাসূলগণকে নিয়ে উপহাস করা হয়েছিল। ফলে যারা তাদের সাথে উপহাস করেছিল, তাদেরকে তাদের উপহাস বেষ্টন করে নিয়েছে।

রা’দ 13:32
وَلَقَدِ ٱسْتُهْزِئَ بِرُسُلٍ مِّن قَبْلِكَ فَأَمْلَيْتُ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ثُمَّ أَخَذْتُهُمْۖ فَكَيْفَ كَانَ عِقَابِ
আর অবশ্যই তোমার পূর্বে রাসূলদের নিয়ে উপহাস করা হয়েছে। অতঃপর যারা কুফরী করেছে, আমি তাদেরকে অবকাশ দিয়েছি, তারপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি। অতএব, কেমন ছিল আমার আযাব!

আল-আম্বিয়া 21:41

وَلَقَدِ ٱسْتُهْزِئَ بِرُسُلٍ مِّن قَبْلِكَ فَحَاقَ بِٱلَّذِينَ سَخِرُوا۟ مِنْهُم مَّا كَانُوا۟ بِهِۦ يَسْتَهْزِءُونَ

আর তোমার পূর্বেও অনেক রাসূলকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা হয়েছিল; পরিণামে তারা যা নিয়ে ঠাট্টা করত তাই বিদ্রূপকারীদেরকে ঘিরে ফেলেছিল।*

* রাসূলগণ আযাব আসার ভয় দেখালে কাফিররা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত। পরিশেষে তাদের ঠাট্টার বস্ত্ত অর্থাৎ আযাব এসে তাদেরকে ঘিরে ফেলত এবং সে আযাবই তাদেরকে গ্রাস করত।

নবি বলল, নবি করল, সাহাবি বলল, আবু বকর বলল, আলি বলল, মুসা বলল, খিজির বলল, ইসা বলল, নুহ ওঠে দাড়াল, জিবরিল বলল, ফাতেমা বলল, আয়েশা বলল, খাদিজা বলল!

আজব! মানে কী এসবের? এগুলো কী ধরনের বেয়াদবিমূলক সম্বোধন? এত সম্মানিত মহামানবগণ, সম্মানিত ফেরেশতা ও মহিয়ষী নারীগণকে কেউ এভাবে সম্বোধন করে?

অন্তত এভাবে বলুন, প্রিয় নবি ﷺ বললেন, করলেন, সাহাবাগণ বললেন, সাথে রাদিয়াল্লাহু আনহুম লাগালে সবচাইতে উত্তম হয়। আবু বকর সিদ্দিক রাঃ বললেন, করলেন, উমর ফারুক রাঃ বললেন, করলেন, মাওলা আলি (কাঃ) বা (রাঃ) বললেন, করলেন। মুসা আলাইহিস সালাম, ইসা আলাইহিস সালাম বললেন, করলেন, দাঁড়ালেন, ওঠলেন, বসলেন। আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ, খাদিজাতুল কুবরা রাঃ বললেন, করলেন, দাঁড়ালেন, ওঠলেন, বসলেন।

শেষে একটা "ন" লাগাতে এত কষ্ট কেন? কথার শ্রোতিমাধুর্য বাড়িয়ে মানুষকে খুশি করতে, ভক্তকূল তৈরির এত খাহেশ কেন?

প্রিয় নবিজির ﷺ সম্বোধন কি দুনিয়ার আর দশটা সাধারণ মানুষের মত হতে পারে? কস্মিনকালেও না।

লজ্জা হয় না? ভালবাসা না হয় কম, কিন্তু সম্মান কোথায়, তাজিম কোথায় যা প্রিয় নবিজীর ﷺ পাওনা?

حَاشِيَة الصَّاوِيّ ---قوله : { لاَّ تَجْعَلُواْ دُعَآءَ ٱلرَّسُولِ بَيْنَكُمْ } أَي نِدَاءَه بِمَعْنَى لَا تنادوه بِاسْمِه فَتَقُولُوا : يَا مُحَمَّدُ ، وَلَا بِكُنْيَتِه فَتَقُولُوا : يَا أَبَا الْقَاسِمِ ، بَل نادوه وخاطبوه بِالتَّعْظِيم وَالتَّكْرِيم وَالتَّوْقِير بِأَن تَقُولُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، يَا إمَامِ الْمُسْلِمِينَ ، يَا رَسُولَ رَبّ الْعَالَمِينَ ، يَا خَاتَمِ النَّبِيِّينَ ، وَغَيْرِ ذَلِكَ ، وَاسْتُفِيدَ مِنْ الْآيَةِ أَنَّهُ لَا يَجُوزُ نِدَاء النَّبِيّ بِغَيْرِ مَا يُفِيدُ التَّعْظِيمَ ، لَا فِي حَيَاتِهِ وَلَا بَعْدَ وَفَاتِهِ ، فَبِهَذَا يُعْلَمُ أَنَّ مَنْ اسْتَخَفَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهُوَ كَافِرٌ مَلْعُونٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ . قَوْلُه : (وخفض صوت) أَي
{ يٰأَيُّهَا ٱلَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَرْفَعُوۤاْ أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ ٱلنَّبِيِّ وَلاَ تَجْهَرُواْ لَهُ بِٱلْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنتُمْ لاَ تَشْعُرُونَ } الْحُجُرَات : 2] وهذ الْآدَاب كَمَا تَكُونُ فِي حَقِّ النَّبِيِّ ، تَكُونُ فِي حَقِّ حَمْلُه شَرِيعَتِه ، فَيَنْبَغِي لِتَلامِيذِه الْأَشْيَاخ ، أَنْ يَفْعَلُوا مَعَهُم هَذِهِ الْآدَابِ ويتخلقوا بِهَا ، لِيَحْصُل لَهُم الْفُتُوح وَالْفَلَاح .

إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি স্বাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে।

لِّتُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُعَزِّرُوهُ وَتُوَقِّرُوهُ وَتُسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا
যাতে তোমরা আল্লাহ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তাঁকে ( আমার নবিকে) সাহায্য ও সম্মান কর এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা কর। (সুরা ফাতহ, ৪৮ঃ৮-৯)

إِنَّ ٱلَّذِينَ يُؤْذُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ لَعَنَهُمُ ٱللَّهُ فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْءَاخِرَةِ وَأَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا مُّهِينًا ۔আল-আহযাব 33:57

নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে লানত করেন এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অপমানজনক আযাব।
আল-আহযাব 33:58
وَٱلَّذِينَ يُؤْذُونَ ٱلْمُؤْمِنِينَ وَٱلْمُؤْمِنَٰتِ بِغَيْرِ مَا ٱكْتَسَبُوا۟ فَقَدِ ٱحْتَمَلُوا۟ بُهْتَٰنًا وَإِثْمًا مُّبِينًا
আর যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে তাদের কৃত কোন অন্যায় ছাড়াই কষ্ট দেয়, নিশ্চয় তারা বহন করবে অপবাদ ও সুস্পষ্ট পাপ।

সাততেতৈয়া

শরিয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারফত কাকে বলে? বিস্তারিত?

পবিত্র কুরআন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।

হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-বড় পীর এর জীবনী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

তাজবীদ

জামে মসজিদ নীতিমালা