তাসাউফের বা তরীকতের পরিচয়- শরীয়ত, তরীকত, মারিফত, হাকিকত 28 জুলাই, 2013, 8:58 AM-এ তাসাউফের বা তরীকতের পরিচয় শরীয়ত, তরীকত, মারিফত, হাকিকত সুফীগণ পূর্নাঙ্গ ইসলামের ৪টি স্তরের কথা উল্লেখ করেছেন । যেমন : ১. শরীয়ত। ২. তরীকত। ৩. হাকিকত। ৪. মা’রিফত। শরীয় তের পরিচয় : ইসলামী জীবন ব্যবস্থার যাবতীয় বিধানকে শরীয়ত বলা হয়। সর্বপ্রথম শরীয়তের পূর্ণ অনুসারী হতে হয়। শরীয়তের যাবতীয় বিধানের মধ্য দিয়ে সুফী তার প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রিত করে প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে আত্মার অনুগত করেন। শরীয়তের পূর্ণ অনুসরণ ব্যতীত কেউ সুফী হতে পারবে না। জীবনের সকল দিককে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটি বাহ্যিক এবং অন্যটি অভ্যন্তরীন বা আধ্যাত্মিক। ইহলৌকিক জীবনের অভাব অভিযোগ প্রয়োজন ও গুরুত্ব এবং ঈমান, নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত এর বাহ্যিক ক্রিয়া পদ্ধতির রূপ শরীয়তের অন্তর্গত। শরা ,শব্দ হতে শরীয়ত শব্দটির উৎপত্তি। শরা’ অর্থ বিধি, ব্যবস্থা, পথ বিধান ইত্যাদি। জীবনের ব্যক্তিক ও সামাজিক দিকের বাহ্যিক রূপের যে বিধি বা নিয়ম, তাই শরীয়ত। এক কথায় 'কুরআন, হাদীস, ইজমা ও কিয়াসের' উপর ভিত্তি করে যে জীবন ব্য...
পবিত্র আল কোরআন মহান আল্লাহ মানব জাতির হেদায়েতের জন্য নাযিল করেছেন। মহান আল্লাহ এই কোরআনে ইহকালে মানুষের দৈনন্দিন পথ চলার এবং পরকালের আমল সঙ্গে নেয়ার সার্বিক পথ সুনির্দিষ্টভাবে বাতলে দিয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হলো।০১) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনুল কারীমে কতটি সূরা আছে? উত্তরঃ ১১৪টি। ০২) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের প্রথম সূরা র নাম কি? উত্তরঃ সূরা ফাতিহা।০৩) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে বড় সূরার নাম কি?উত্তরঃ সূরা বাকারা। ০৪) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে ছোট সূরার নাম কি?উত্তরঃ সূরা কাওছার। ০৫) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়াত কোনটি কোন সূরায়?উত্তরঃ সূরা বাক্বারার ২৮২ নং আয়াত। ০৬) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ আয়াত কোনটি? উত্তরঃ আয়াতুল কুরসী। (সূরা বাক্বারা ২৫৫ নং আয়াত। ০৭) প্রশ্নঃ ফরয নামাযান্তে কোন আয়াতটি পাঠ করলে, মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যেতে কোন বাধা থাকে না? উত্তরঃ আয়াতুল কুরসী। ০৮) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন্ সূরাটি পাঠ করলে কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে?উত্তরঃ সূরা মুলক। (৬৭নং সূরা) ০৯) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কো...
শেখ আব্দুল কাদির আল জিলানী, মুহিইহ'দ-দীন, সুলতান আল সুফিবাদ, গাউস-ই-আযম [উল্লেখ্য গাউস একটি ফারসি শব্দ যার অর্থ ত্রাণকর্তা আর আযম অর্থ সবচেয়ে বড়, তাই কুরআন অনুযায়ী একমাত্র আল্লাহই তথাকথিত গাউসুল আযম।এবং অন্য কেউ তার শরিক না।] [১] পুরো নাম আল-সাইয়িদ মহিউদ্দীন আবু মুহাম্মদ আব্দুল কাদির আল-জিলানী আল-হাসানী ওয়াল-হুসানী জন্ম ১ম রমযান ৪৭০ হিজরী [২] বা মার্চ ১৭, ১০৭৮ [৩] ব্যবহারশাস্ত্র হাম্বেলি [৪] [৫] মৃত্যু ৮ রবিউল আউয়াল ৫৬১ হিজরী ≈ ফেব্রুয়ারি ১৪, ১১৬৬ সিই [৬] [৭] জন্মস্থান গিলন প্রদেশ , তাবারিস্তান , পারস্য [৮] কবর স্থান আব্দুল কাদির এর সমাধি , বাগদাদ , ইরাক পিতা আবু সালিহ মুসা আল-হাসানি মাতা উম্মুখ খায়ের ফাতিমা • • মদিনা • সাদিকা • মু'মিনাহ • মাহবুবা পুত্র (সকল) • সাফিউদ্দীন • শরীফুদ্দীন • আবু বকর • সিরাজুদ্দীন • ইয়াহয়িয়া • মুসা • মুহাম্মদ • ইব্রাহিম • আব্দুল্লাহ • আব্দুর রহমান • আবু নাসির মুসা উত্তরপুরূষ শেখ অন্যান্য উপাধী • শাইখ ("নেতা") • আব্দ আল-কাদির ("সর্বময় ক্ষমতার গোলাম...
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (আরবী: بِسْمِ الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ ) একটি আরবী বাক্যবন্ধ যার অর্থ পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে ।, সংক্ষেপে বলা হয় বিসমিল্লাহ্ । পবিত্র কুরআন শরীফের ১১৪টি সূরার মধ্যে সূরা তওবা ব্যতিরেকে অন্য বাকি ১১৩টি সূরা শুরু করা হয়েছে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" দিয়ে। এছাড়া হাদীস থেকে জানা যায়, ইসলামের নবী মুহাম্মাদ প্রতিটি কাজ শুরু করার আগে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" বলতেন। অনেক কাজে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" বলা বা লেখার নির্দেশনা রয়েছে। বিধানগত বিচারে এটা মাসনূন বা মুস্তাহাব হলেও এর তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর।বিসমিল্লাহ লেখার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি বিসমিল্লাহ লেখার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম কোরআনে কারিমের একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াত। যার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা অপরিহার্য। হাদিসে বলা হয়েছে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও মহৎ কাজ বিসমিল্লাহির রাহমানির রা...
উত্তর: প্রতিটি হরফকে তার নিজ নিজ মাখরাজ থেকে সিফাতসহ উচ্চারণ করে পড়াকে তাজবীদ বলে। কোরআন মজীদের শব্দাবলী হচ্ছে, ইলমে তাজবীদের আলোচ্য বিষয়। প্রশ্ন: ইলমে তাজবীদ শিক্ষা করা কি? এবং এর ফায়দা কি? উত্তর: ইলমে তাজবীদ শিক্ষা করা ফরজে কিফায়া। কোরআন মজীদ তিলাওয়াতে ভুল-ভ্রান্তি হওয়া থেকে যুবানকে রক্ষা করা হচ্ছে, তার ফায়দা। তাজবিদ শব্দের অর্থ বিন্যাস করা, সাজানো । তাজবীদ শব্দের শাব্দিক অর্থ উন্নত করণ, উৎকর্ষ সাধন। পরিভাষায় বিশুদ্ধরূপে কুরআন পাঠের নীতিমালাকে তাজবীদ বলা হয়। যথা : কোথায় কত আলিফ টান হবে, কোথা গুন্না হবে, কোথায় গুন্নাহ হবে না, র লাম কোথায় মোটা হবে কোথায় চিকন হবে ইত্যাদি বিষয়ক আলোচনা সম্বলিত নীতিমালাই হলো তাজবীদ। আরো বিস্তারিত জানার জন্য অভিজ্ঞ কোনো কারী সাহেবের দ্বারস্থ হোন। প্রশ্ন: গুন্নাহ কাকে বলে? উত্তর: কুরআন মজিদ সহিহ-শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের একটি নিয়ম হলো গুন্নাহ। নাক ব্যবহার করে উচ্চারণ করাকে গুন্নাহ বলে। প্রশ্ন: গুন্নাহর হরফ কয়টি? উত্তর: গুন্নাহর হরফ দুটি। প্রশ্ন: গুন্নাহ করা কী? উত্তর: গুন্নাহ করা ওয়াজিব। প্রশ্ন: সূরা ...
mvZ‡Z‰Zqv byixqv Rv‡g gmwR` e¨e¯’cbv bxwZgvjv 2019 প্রস্তাবনাঃ মসজিদ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় যোগ্য যারা সাধারণ অর্থে মসজিদ মুসলমানের নামাজের ঘর হলেও মসজিদ শুধু নামাজের স্থান নয়, বরং মুসলমানদের সব ধরনের কাজকর্মের কেন্দ্রবিন্দু। মসজিদ মুসলমানদের শিক্ষালয়, পরামর্শ সভাস্থল ও সমাজ-সংস্কৃতির উৎসস্থল। শেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াসাল্লাম মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর যে ইসলামিস রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সে রাষ্ট্রের সচিবালয় ছিল মসজিদে নববী। তিনি সেখানে লোকদের কোরআন শিক্ষা দিতেন, মানুষকে আধ্যাত্মিকভাবে পরিশুদ্ধ করতেন, জ্ঞান শিক্ষা দিতেন, মামলা-মোকাদ্দমার বিচার করতেন। ইসলামি রাষ্ট্রের সংহতি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পরামর্শ সভা করতেন, বিয়ে পড়াতেন, এমনকি যুদ্ধের কৌশল নিয়ে সাহাবিদের সঙ্গে আলোচনা করতেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) মসজিদে এমন আরও অসংখ্য কাজ করেছেন বলে হাদিসে উল্লেখ আছে। বর্তমানে আমাদের সমাজে মসজিদ আছে, মিম্বর আছে, মসজিদে নামাজও হচ্ছে। কিন্তু মসজিদের কর্মসূচিগুলো দিনে দিনে সংকুচিত হয়ে গেছে। মসজিদগুলো ধীরে ধীরে প্রাণহীন হয়ে যাচ্ছে। মসজিদগুল...