ইসলামের সঙ্গে ক্রিকেটকে মেলানো ঠিক নয়: হাশিম আমলা
শান্তির ধর্ম ইসলামের নিয়ম কানুন যথাযথভাবে পালন করেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা ব্যাটসম্যান। এই কারণে প্রতিনিয়ত বক্র কথাও শুনতে হয়েছে আমলাকে। নিজের খেলায় ইসলামের প্রভাব প্রসঙ্গেও একাধিকবার প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে ৩৬ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে।
এদিকে প্রথমবারের মতো সিলেট সিক্সার্সের হয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খেলতে এসেও একই প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। আমলা অবশ্য এর উত্তর সহজভাবেই দিয়েছেন। ইসলামের সঙ্গে ক্রিকেটকে মেলাতে মানা করেন প্রোটিয়া তারকা।
এ ব্যাপারে আমলা বলেন, ‘ক্রিকেট খেলায় ধর্ম কিভাবে সাহায্য করে এই ব্যাপারে আমাকে অনেকবার প্রশ্ন করা হয়েছে। ইসলামের মূল বিষয়গুলো একেবারেই সহজ এবং সাধারণ সেটা আপনারা জানেন। এটা আসলে ব্যাখ্যা করা কঠিন। ক্রিকেটের সঙ্গে এর মেলানো ঠিক নয়।’
তাছাড়া ইসলাম এবং ক্রিকেটের এই প্রশ্নকে অদ্ভুত হিসেবেও আখ্যা দেন আমলা। খেলার সঙ্গে ধর্মকে না মিলিয়ে অনুশীলনে বেশি জোর দেয়ার পক্ষে তিনি।
আমলা বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ জিজ্ঞেস করতে পারে যে কিভাবে ইসলাম ক্রিকেটকে সাহায্য করে। আমার মতে এটা একটি অদ্ভুত প্রশ্ন। আপনাকে নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করতে হবে। আমাকে ইসলাম খেলায় সাহায্য করলো কিনা সেটা নিয়ে মাথা ঘামাই না। আপনাকে শুধু যতটা সম্ভব অনুশীলন করে যেতে হবে।’
ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলমান বি’ক্ষোভে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হা’মলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাজধানী নয়াদিল্লির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বি’ক্ষোভের সময় পুলিশের লা’ঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের ঘটনায় সারাদেশে ছাত্র বি’ক্ষোভ শুরু হয়েছে।
দেশটির ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া বি’ক্ষোভ দেশের অন্যান্য শহর ও ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েছে। জামিয়া মিলিয়ার শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হা’মলার প্রতিবাদে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা একই কাতারে নেমে এসে বি’ক্ষোভ শুরু করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হা’মলার পর শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর নাজমা আক্তারও। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি পুলিশের কাছে লিখিত জবাব চেয়েছিলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পুলিশকে অনুমতি কে দিয়েছে, সে ব্যাপারে জানতে চান তিনি। বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাসে কেন প্রবেশ করল পুলিশ? শিক্ষার্থীদের ওপর লা’ঠিচার্য কেন করা হলো, সেসব জানতে চাওয়ার পরেও থেমে থাকেননি। পুলিশের বিরুদ্ধে উপাচার্য নিজেই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে এমন কঠোর পদক্ষেপ নেবে, সেটা হয়তো ভাবতেই পারেনি ভারতের পুলিশ। সেটাও আবার কোনো নারী ভাইস চ্যান্সেলর! এখন যুতসই কোনো জবাবও দিতে পারছে না পুলিশ।
আইপিএস কর্মকর্তারা একেকজন একেক কথা বলছেন। একজন গণমাধ্যমে বলেই ফেলেছেন, আসলে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে চায়নি, শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিতে গিয়ে দৌড়ে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে হঠাৎ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে।