খাগড়াছড়িতে অবৈধ ইটভাটা ও শতাধিক তামাক চুল্লিসহ পরিবেশ বিপর্যয়কর কর্মকাণ্ড চলছে
কঠোর তদারকি নেই। তাই পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে পরিবেশ ধ্বংসের কোন কাজই ঠেকানো যাচ্ছেনা। আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে চলছে চল্লিশটিরও বেশি অবৈধ ইটভাটা ও শতাধিক তামাক চুল্লিসহ পরিবেশের জন্য বিপর্যয়কর নানা কর্মকান্ড।
অবারিত সবুজের হাতছানিতে পাহাড়ি জনপদ সবসময়ই বন ও বণ্যপ্রানীর এক নিরাপদ আশ্রয়। তাই দেশে বিদ্যমান বন ও পরিবেশ আইনের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের জীববৈচিত্রের সুরক্ষায় প্রণীত হয়েছে আলাদা নানা বিধি প্রবিধি।
কিন্তু বিস্ময়কর হচ্ছে পাহাড়ে নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম। পাশাপাশি শান্তিচুক্তির আলোকে গঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতায়ন না হওয়ায় খাগড়াছড়িতে অবাধে ধংস হচ্ছে পরিবেশ। ছাড়পত্র ছাড়াই এখানে গড়ে উঠেছে ৪০টিরও বেশী ইটভাটা। যার অধিকাংশেরই জ্বালানী বনের কাঠ। এছাড়া কাঠ পুড়িয়ে তামাক চুল্লি, অবৈধ স'মিল, ভূগর্ভ থেকে বালু ও পাথর উত্তোলনসহ বনজ সম্পদ পাচারের ঘটনা নিত্যদিনকার।
১৯৮৫ সালের জরিপ অনুসারে ৮ হাজর ৩শ ৫৮ একর বনভূমির একটি হিসাব থাকলেও; খাগড়াছড়ি জেলায় বাস্তবে এখন মাঠপর্যায়ের চিত্র কি তা নেই বনবিভাগের কাছে। বনজ সম্পদ রক্ষায় আছে নানা সীমাবদ্ধতা।
খাগড়াছড়ি জেলায় গত এক বছরে বন আইনে মামলা হয়েছে মাত্র ২৭টি।