ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে পদযাত্রার ঘোষণা শিয়া নেতা মুখতাদির

Image result for শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদরইরাকের শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদর দেশ থেকে মার্কিন বাহিনী বিতাড়িত করার ঘোষণা দিয়েছেন। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের বিশাল এক পদযাত্রারও ঘোষণা দিয়েছেন এ শিয়া নেতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে মুক্তাদা আল সদর ওই পদযাত্রার ঘোষণা দেন।
ইরাকে মার্কিন সেনা উপস্থিতির তীব্র সমালোচনা করে টুইটারের ওই পোস্টে সদর বলেন, প্রতিদিন দখলকারী সেনাদের মাধ্যমে ইরাকের আকাশ, ভূমি ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাদের অযাচিত উপস্থিতির নিন্দা জানাতে দেশবাসীকে একতাবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ওই পদযাত্রায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান সদর। তবে ঠিক কবে, কোথায় ওই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে, তা নির্দিষ্ট করে জানাননি এ নেতা। এরই মাঝে সদরের পদযাত্রায় অংশ নেয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়েছে দেশটির শিয়া গোষ্ঠীগুলো।
ইরাকের পার্লামেন্টে বিদেশী সেনা প্রত্যাহারবিষয়ক একটি বিল পাস হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সদর এ পদযাত্রার ঘোষণা দিলেন। ইরাকে মার্কিন সেনা উপস্থিতির কট্টর সমালোচক মুক্তাদা আল সদর। সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে ইরাকি পার্লামেন্টে পাস হওয়া সাম্প্রতিক বিলকে ‘দুর্বল’ পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছেন তিনি। বিল পাসের পরপর পার্লামেন্টকে দেয়া এক চিঠিতে সদর আরো বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে আছেÑ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্রুত নিরাপত্তাসংক্রান্ত চুক্তি বাতিল, ইরাকে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া এবং ‘লাঞ্ছিত’ করে মার্কিন সেনাদের ইরাক থেকে বের করে দেয়া।
বিদেশী সেনা প্রত্যাহারে জার্মানির সাথে আলোচনা ইরাকের
এ দিকে ডয়চে ভেলে জানায়, বিদেশী সেনা প্রত্যাহারে জার্মানির সাথে আলোচনা শুরু করেছে ইরাক। গত মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে জার্মান সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেছেন ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি।
আদিল আবদুল মাহদির আমন্ত্রণে তার দফতরে এ-সংক্রান্ত বৈঠকে অংশ নেন জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক পরিচালক ফিলিপ অ্যাকারমান এবং ইরাকে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলে দিহ। ইরাক সরকারের এক বিবৃতিতে এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা, উত্তেজনা হ্রাস এবং যুদ্ধের হুমকি মোকাবেলায় সহযোগিতার উপায় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং এ অঞ্চলের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে এ মাসের গোড়ার দিকে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস জানান, ইরাকে সামরিক উপস্থিতি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। ইরানি কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি নিহতের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি। জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। ইরাকের পার্লামেন্টে বিদেশী সেনাদের বহিষ্কারের বিল পাস হওয়ার পর দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় বার্লিন। এ ক্ষেত্রে একসাথে সব সেনা প্রত্যাহার না করে ধীরে ধীরে এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, ইরাকের সার্বভৌম সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি বার্লিন সম্মান জানায়। এ জন্যই দেশটি থেকে আমাদের সেনাদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহার করা হলে সেখানে আবার আইএসের মতো সংগঠনগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এ বিষয়টির দিকেও নজর দেয়া দরকার। মধ্যপ্রাচ্যে আইএসবিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনীতে জার্মান বাহিনীর ৪১৫ জন সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে ইরাকে মোতায়েন করা রয়েছে ১২০ জন। এই ১২০ জনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে অন্তত ৩০ জনকে সরিয়ে নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

সাততেতৈয়া

শরিয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারফত কাকে বলে? বিস্তারিত?

পবিত্র কুরআন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।

হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-বড় পীর এর জীবনী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

তাজবীদ

জামে মসজিদ নীতিমালা