ইসলামের বসন্তকাল রবিউল আউয়াল

Image result for মদিনা শরীফ
রবিউল আউয়াল মাসের আগমনে ইমানের জগতে বসন্ত শুরু হয়। রবিউন শব্দের অর্থ বসন্ত। মাঝে মধ্যে মনে হয় রসুল (সা.)-এর আগমন এ মাসে হবে সে জন্য বোধহয় আল্লাহতায়ালা যারা মাসের নামগুলো নির্ধারণ করেছেন তাদের অন্তরে এ মাসের নাম রবিউন রাখার জন্য পূর্ব থেকেই প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছিলেন। রবিউল আউয়াল মাস ঘুরে আসার সময় হলেই বিভিন্ন কবিতার চরণ মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। তেমনি চরণের মধ্যে একটি চরণ হলো মক্কায় নবী এলো মা আমেনার ঘরে, হাসিলে হাজার মানিক কাঁদিলে মুক্তা ঝরে। ইসলামের ইতিহাসে রবিউল আউয়াল হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। যেহেতু অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে এ মাসেই আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুনিয়ার বুকে আগমন ঘটেছে। ফলে এ মাস যখন আসে মুসলমানদের অন্তরে স্বাভাবিকভাবে রসুল প্রেমের জোয়ারের ঢেউ নতুনভাবে সৃষ্টি হয়। রসুল প্রেমে অন্তর নতুনভাবে আন্দোলিত হয়। বছরের চাকা ঘুরেই রবিউল আউয়াল মাস প্রতি বছর আমাদের কাছে আসে। কিন্তু কী শিক্ষা আমাদের জন্য নিয়ে আসে। আমাদের কী করণীয়? রসুলেপাক (সা.)-এর দুনিয়াতে আসার মুহূর্তে যেসব অলৌকিকত্ব ঘটেছিল তা আমাদের বলে দেয় রসুল (সা.)-এর আগমনের উদ্দেশ্য কী? সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আমাদের করণীয় কী? ঐতিহাসিক মতামত অনুযায়ী দেখা যায় যেদিন মা আমেনার ঘরে সুবহে সাদেকের সময় আল্ল­াহর রসুলের আগমন ঘটবে কয়েকজন মহিলা তার ঘরের মধ্যে উপবিষ্ট ছিলেন। তারা হঠাৎ করে দেখলেন আকাশ থেকে সরাসরি যেন এক আলো পুরো ঘরকে আচ্ছাদিত করে ফেলেছে। আলোয় ঝলমল করে উঠল পুরো ঘর। মহিলারা অবাক হলো দুনিয়াতে প্রতিদিন কত শিশুর, কত সন্তানের আগমন ঘটছে, এমন তো আর কোনো দিন দেখা যায়নি। তারা হঠাৎ আকাশের দিকে তাকাল, তাদের কাছে মনে হলো আকাশের তারাগুলো যেন ঝুঁকে পড়ছে আর ঘরটা যেন আলোর বন্যায় ভাসছে।
অন্যদিকে আল্ল­াহর নবী যেদিন দুনিয়ার বুকে আসেন পারস্যের সাম্রাজ্য যা বিশাল এক সাম্রাজ্য, একটি পরাশক্তি, তাদের সম্রাট থাকার যে বিশাল প্রাচীন প্রাসাদ হঠাৎ করে নড়েচড়ে উঠল এবং ১২টি পাথর সে প্রাসাদ থেকে খসে পড়ল। তারা অবাক হলো। দৈবক্রমে এ ঘটনা ঘটেছে এরকম ব্যাখ্যার সুযোগটাও বন্ধ হয়ে গেল যখন পারস্যের সম্রাট সেই রাতেই স্বপ্ন দেখেন আরব মরুভূমি থেকে কিছু উট এবং সামনে একটি ঘোড়া ধেয়ে আসছে, শক্তিশালী একটি ঘোড়া আরবের কিছু উটকে টেনে মরুভূমি থেকে নিয়ে আসছে, ফোরাত নদী পার হয়ে পারস্যের বিভিন্ন সাম্রাজ্যে তারা ছড়িয়ে পড়ছে। তাদের সাম্রাজ্য বেদখল হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে হাজার বছর ধরে প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ড নিভে গেছে। সব দৈবক্রমে বা কাল্পনিক স্বপ্ন বলে মনকে মানানো যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে স্বপ্নের ব্যাখ্যাকারক ও খ্রিস্টান ধর্মের বড় পাদ্রিদের ডাকা হলো। তখন তারা বললেন, শেষ নবী হিসেবে একজন নবী আসার সময়ই এ ধরনের নিদর্শন প্রকাশ হবে বলে আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। তা হলে কি সেই নবীর আগমন ঘটেছে? সে নবীর নেতৃত্বে পুরো মানব জাতি ঐক্যবদ্ধ হবে। তাঁর পয়গাম সারা বিশ্বে পৌঁছে যাবে। আল্ল­াহতায়ালা বলেন সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত। আর মিথ্যা অপসৃত হতে বাধ্য। সূরা বনি-ইসরাইল। মক্কার পাশেই ইহুদির এক বড় আলেম বসবাস করতেন। তিনি বললেন, আমার মনে হচ্ছে আজ আরব জগতে কোনো একজন বিশেষ শিশুর জম্ম  হয়েছে। লোকজন জিজ্ঞেস করল আপনি কী করে বুঝলেন আজকে আরবের মধ্যে এক বিশেষ শিশুর জম্ম  হয়েছে। ইহুদি বললেন, আমি রাতের বেলায় তারাগুলোকে ঝুঁকে পড়তে এবং আকাশ থেকে আরবের ওপর আলোর বিচ্ছুরণ হতে দেখেছি। খবর নিয়ে দেখা গেল, সেই রাতে আবদুল মুত্তালিবের ঘরে এক শিশুর জম্ম  হয়েছে। সবাই মনে করছে শিশুটি অন্য দশ শিশুর মতো। ইহুদি আস্তে করে শিশুটির দুই ঘাড়ের মাঝখানে পিঠে নজর দিলেন। পিঠে দেখতে পেলেন মোহরে নবুয়াত ‘এক ধরনের বিশেষ চিহ্ন’। শেষ নবীর আলামত হিসেবে পূর্ববর্তী কিতাবে চিহ্নটির উল্লেখ রয়েছে। ইহুদি দেখেই বেহুঁশ হয়ে গেলেন। হুঁশ ফিরে এলে লোকেরা তার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন বেহুঁশ হয়েছি খুশি এবং দুঃখে। খুশি এ জন্য যে, অন্ধকারাচ্ছন্ন, জাহেলিয়াত প্লাবিত বর্বরতাপূর্ণ এই পৃথিবীর বুকে আলোর মশাল নিয়ে শেষ নবীর আগমন ঘটেছে। আল্ল­াহতায়ালা বলেন আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে আলো তথা মুহাম্মদ (সা.) ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে। সূরা মায়েদা। দুঃখ এ জন্য যে ইহুদি, খ্রিস্টানদের সব নবী ইয়াকুব (আ.)-এর বংশধর, তথা বনি ইসরাইল গোত্রের। আমরা প্রত্যাশায় ছিলাম যে, সর্বশেষ নবীর আগমন ঘটবে ইসরাইল গোত্রে। এখন তার আগমন হয়েছে ইসমাইল (আ.)-এর বংশধর থেকে। সেই দুঃখে বেহুঁশ হয়েছি। যদিও সে ইহুদি সংকীর্ণতার কারণে একচ্ছত্র আনন্দ প্রকাশ করতে অক্ষম ছিল। আল্লাহতায়ালা সে নবীর আগমনে নিরঙ্কুশ আনন্দ প্রকাশ করার লক্ষ্যে বলেন হে নবী বলে দিন তারা যেন আল্লাহর দান তথা কোরআন ও আল্ল­াহর রহমত তথা আপনার জন্য আনন্দ প্রকাশ করে। এটা তাদের জন্য সঞ্চয়ের মধ্যে উত্তম সঞ্চয়। সূরা ইউনুস-৫৮নং আয়াত। মহানবীর আগমনে একজন মুসলমান সবসময় কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আনন্দিত থাকবে, আনন্দ প্রকাশ করবে এটা তার ওপর ফরজ। তবে যুগে যুগে প্রতি বছর যখনই আল্লাহর নবীর আগমনের এ মাস আসে তখন আল্লাহর নবীপ্রেমিকদের মাঝে আনন্দ প্রকাশ, নতুন উদ্দীপনা শুরু হয় এবং আনন্দ প্রকাশের ধরন ও কাল পাত্রভেদে বিভিন্ন রূপে রূপান্তরিত হয়। আনন্দ প্রকাশের বাহ্যিক রূপ হলো মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সভা-সমিতি।  আর তার আধ্যাত্মিক রূপ হলো রসুলেপাক (সা.)-এর মেসেজ, পয়গামকে ধারণ করা এবং পয়গামকে বাস্তবায়ন করার জন্য জান-মাল দিয়ে  প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
রবিউল আউয়াল আরবি হিজরি চান্দ্রবর্ষের তৃতীয় মাস। রবি অর্থ বসন্তকাল, আউয়াল অর্থ প্রথম; রবিউল আউয়াল অর্থ প্রথম বসন্ত। রবিউস সানি মানে দ্বিতীয় বসন্ত বা বসন্তের দ্বিতীয় মাস। সেকালে আরব দেশে রবিউল আউয়াল ও রবিউস সানি—এই দুই মাস মিলে ছিল বসন্তকাল। বসন্ত ঋতু হলো পত্রপল্লবে সুশোভিত ঋতুরাজ।
রবিউল আউয়াল ( ربيع الأول ) ইসলামিক বর্ষপঞ্জির তৃতীয় মাস।সৈয়দ ইবনে তাউস তার “আল ইকবাল” নামক গ্রন্থে রবিউল আওয়াল মাসের ফযিল সম্পর্কে এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, উক্ত মাসটি হচ্ছে খুবই গুরুপূর্ণ একটি মাস। কেননা এ মাসে রাসুল (সা.) এ মাসে মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে হিজরত করেছিলেন।
শেইখ মুফিদ (রহ.)এর বর্ণনা করেছেন যে, এ দিনে রোজা রাখা হচ্ছে মুস্তাহাব। কেননা এ দিনে রাসুল (সা.) মক্কার মুশরিকদের হাত থেকে নিস্তার লাভ করেন। (ইকবালুল আমাল, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১০৫)
মরহুম জাওয়াদ মালিক তাবরিযি তার “আল মুরাকেবাত” নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, উক্ত মাসের নাম থেকেই স্পষ্ট যে মাসটি হচ্ছে বসন্তের ন্যায়। কেননা আরবি ভাষায় “ربیع”এর অর্থ হচ্ছে বসন্ত। এ মাসে আল্লাহর প্রেরিত পবিত্র নূরি ব্যাক্তি হজরত মোহাম্মাদ (সা.) জন্মগ্রহণের মাধ্যেমে এই ধরণির মুখকে উজ্জল করে। (আল মুরাকেবাতের অনুবাদ, পৃষ্ঠা ৬৫)

১লা রবিউল আওয়াল:

১লা রবিউল আওয়াল তারিখের রাতটি ইসলামের ইতিহাসে “লাইলাতুল মাবিত” নামে সুপরিচিত। রাসুল (সা.)এর বেসাতের ১৩ তম বর্ষে হিজরতের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি সংঘটিত হয়। রাসুল (সা.) এ রাতে মদিনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং পথিমধ্যে “সউর” নামক গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। অপর দিকে হজরত আলি (আ.) শত্রুদেরকে বিস্মিত করার লক্ষ্যে রাসুল (সা.)এর বিছানায় নিদ্রা যান। তখন তাঁর সম্পর্কে সুরা বাকারা’এর ২০৭ নং আয়াত নাযিল হয়। আর এ কারণে রবিউল আওয়াল মাসের ১লা তারিখে রোজা রাখা হচ্ছে মুস্তাহাব। 
উক্ত দিনে রাসুল (সা.) এবং হজরত আলি (আ.)এর যিয়ারত পাঠ করা হচ্ছে উত্তম।

৮ই রবিউল আওয়াল:

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী ২০৬ হিজরির ৮ই রবিউল আওয়াল তারিখে ইমাম হাসান আসকারি (আ.)এর শাহাদত বরণ করেন এবং সেই দিনটি হচ্ছে মুসলমানদের প্রতিক্ষিত ইমাম মাহদি (আ.)এর ইমামতের প্রথম দিন। উক্ত দিনে উত্তম হচ্ছে ইমাম হাসান আসকারি (আ.)এর যিয়ারত পাঠ করা। 

৯ রবিউল আওয়াল (ঈদুল বাকর):


৯ রবিউল আওয়ালকে মুমিনরা বিভিন্ন নামে নামে ঈদ উৎযাপন করে থাকেন। তন্মধ্যে প্রসিদ্ধ ঈদে বাকর হচ্ছে প্রসিদ্ধ। উক্ত দিনে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করা, মুমিনদেরকে পোষাক এবং খাদ্য প্রদান করা হচ্ছে মুস্তাহাব। কেননা উক্ত দিনটি হচ্ছে ইমাম মাহদি (আ.) এর ইমামতের প্রথম দিন।

১০ই রবিউল আওয়াল:


উক্ত তারিখে রাসুল (সা.)এর সাথে হজরত খাদিজা (সা.আ.)এর বিবাহ সংঘটিত হয়।
১২ই রবিউল আওয়াল:
উক্ত তারিখে রাসুল (সা.) মদিনাতে পৌছান। এই দিনে বণি মারওয়ানের শাষন ক্ষমতার পতন ঘটে।
উক্ত দিনের বিশেষ আমল সমূহ হচ্ছে:
রোজা রাখা।
দুই রাকাত নামা আদায় করা। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ৩ বার সুরা কাফেরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা ইখলাস। 

১৭ ই রবিউল আওয়াল: 

বিশ্বস্ত হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী ১৭ই রবিউল আওয়াল তারিখে রাসুল (সা.) এই ধরাতে জন্মগ্রহণ করেন। উক্ত তারিখে বিভিন্ন আমল রয়েছে। আমল সমূহ হচ্ছে নিন্মরূপ: 
উক্ত দিনের নিয়ত করে গোসল করা।
রোজা রাখা।
ইমাম (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, উক্ত দিনে রোযা রাখবে আল্লাহ তায়ালা  তাকে এক বছরের রোজা রাখার সমপরিমাণ সওয়াব প্রদান করবেন। 
সাদকা প্রদান করা। মুমিনদেরকে উপহার প্রদান করা এবং মাসুমিন (আ.)দের কবর যিয়ারত করা।
রাসুল (সা.)এর যিয়ারত করা। রাসুল (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে আমার ইন্তেকালের পরে যে কেউ দূর অথবা নিকট থেকে আমার যিয়ারত পাঠ করবে তাহলে তার অবস্থা এমন হবে যে সে আমার জিবিত অবস্থায় আমার যিয়ারত করলো।

রাসুল (সা.)এর যিয়ারত নিন্মরূপ:

ইবনে আবি নাসর ইমাম রেযা (আ.) কে জিজ্ঞাসা করে কিভাবে নামাজের পরে রাসুল (সা.) এর যিয়ারত করবো? ইমাম(আ.) বলেন: নামাজের পরে নিন্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করো। দোয়াটি হচ্ছে নিন্মরূপ:

السَّلامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَ رَحْمَةُ اللَّهِ وَ بَرَكَاتُهُ السَّلامُ عَلَيْكَ يَا مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ السَّلامُ عَلَيْكَ يَا خِيَرَةَ اللَّهِ السَّلامُ عَلَيْكَ يَا حَبِيبَ اللَّهِ السَّلامُ عَلَيْكَ يَا صِفْوَةَ اللَّهِ السَّلامُ عَلَيْكَ يَا أَمِينَ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ وَ أَشْهَدُ أَنَّكَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَ أَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ نَصَحْتَ لِأُمَّتِكَ وَ جَاهَدْتَ فِي سَبِيلِ رَبِّكَ وَ عَبَدْتَهُ حَتَّى أَتَاكَ الْيَقِينُ فَجَزَاكَ اللَّهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفْضَلَ مَا جَزَى نَبِيّا عَنْ أُمَّتِهِ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ أَفْضَلَ مَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَ آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ.

অতঃপর দুই দুই রাকাত করে চার রাকাত নামাজ পড়তে হবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে যেকোন সুরা পড়তে হবে। দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে যেকোন সুরা পড়তে হবে। নামাজান্তে তসবিহে ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) পড়তে হবে।

হজরত আলি (আ.)এর যিয়ারত নিন্মরূপ:

اَلسَّلامُ عَلَیْکَ یا رَسُولَ اللَّهِ اَلسَّلامُ عَلَیْکَ یا صَفْوَهَ اللَّهِ اَلسَّلامُ عَلَیْکَ یا اَمینَ اللَّهِ اَلسَّلامُ عَلى مَنِ اصْطَفاهُ اللَّهُ وَاخْتَصَّهُ وَاخْتارَهُ مِنْ بَرِیَّتِهِ اَلسَّلامُ عَلَیْکَ یا خَلیلَ اللَّهِ ما دَجَى اللَّیْلُ وَغَسَقَ وَاَضآءَ النَّهارُ وَاَشْرَقَ اَلسَّلامُ عَلَیْکَ ما صَمَتَ صامِتٌ وَنَطَقَ ناطِقٌ وَذَرَّ شارِقٌ وَرَحْمَهُ اللَّهِ وَبَرَکاتُهُ اَلسَّلامُ عَلى مَوْلانا اَمیرِ الْمُؤْمِنینَ عَلِىِّ بْنِ اَبیطالِبٍ صاحِبِ السَّوابِقِ وَالْمَناقِبِ وَالنَّجْدَهِ وَمُبیدِ الْکَتائِبِ الشَّدیدِ الْبَاْسِ الْعَظیمِ الْمِراسِ الْمَکینِ الاَساسِ ساقِى الْمُؤْمِنینَ بِالْکَاْسِ مِنْ حَوْضِ الرَّسُولِ الْمَکینِ الاَْمینِ اَلسَّلامُ عَلى صاحِبِ النُّهْى وَالْفَضْلِ وَالطَّوائِلِ وَالْمَکْرُماتِ وَالنَّوائِلِ اَلسَّلامُ عَلى فارِسِ الْمُؤْمِنینَ وَلَیْثِ الْمُوَحِّدینَ وَقاتِلِ الْمُشْرِکینَ وَوَصِىِّ رَسُولِ رَبِّ الْعالَمینَ وَرَحْمَهُ اللَّهِ وَبَرَکاتُهُ اَلسَّلامُ عَلى مَنْ اَیَّدَهُ اللَّهُ بِجَبْرَئیلَ وَاَعانَهُ بِمیکائیلَ وَاَزْلَفَهُ فِى الدّارَیْنِ وَحَباهُ بِکُلِّ ما تَقِرُّ بِهِ الْعَیْنُ وَصَلَّى اللَّهُ عَلَیْهِ وَعَلى آلِهِ الطّاهِرینَ وَعَلى اَوْلادِهِ الْمُنْتَجَبینَ وَعَلَى الاَئِمَّهِ الرّاشِدینَ الَّذینَ اَمَروُا بِالْمَعْرُوفِ وَنَهَوْا عَنِ الْمُنْکَرِ وَفَرَضُوا عَلَیْنَا الصَّلَواتِ وَاَمَروُا بِایتآءِ الزَّکوهِ وَعَرَّفُونا صِیامَ شَهْرِ رَمَضانَ وَقِرائَهَ الْقُرْآنِ اَلسَّلامُ عَلَیْکَ یا اَمیرَ الْمُؤْمِنینَ وَیَعْسُوبَ الدّینِ وَقآئِدَ الْغُرِّ الْمُحَجَّلینَ اَلسَّلامُ عَلَیْکَ یا بابَ اللَّهِ اَلسَّلامُ عَلَیْکَ یا عَیْنَ اللَّهِ النّاظِرَهَ وَیَدَهُ الباسِطَهَ وَاُذُنَهُ الْواعِیَهَ وَحِکْمَتَهُ الْبالِغَهَ وَنِعْمَتَهُ السّابِغَهَ وَنِقْمَتَهُ الدّامِغَهَ اَلسَّلامُ عَلى قَسیمِ الْجَنَّهِ وَالنّارِ اَلسَّلامُ عَلى نِعْمَهِ اللَّهِ عَلَى الاَبْرارِ وَنِقْمَتِهِ عَلَى الْفُجّارِ اَلسَّلامُ عَلى سَیِّدِ الْمُتَّقینَ الاَخْیارِ اَلسَّلامُ عَلى اَخى رَسُولِ اللَّهِ وَابْنِ عَمِّهِ وَزَوْجِ ابْنَتِهِ وَالْمَخْلُوقِ مِنْ طینَتِهِ اَلسَّلامُ عَلَى الاَصْلِ الْقَدیمِ وَالْفَرْعِ الْکَریمِ اَلسَّلامُ عَلَى الثَّمَرِ الْجَنِىِّ اَلسَّلامُ عَلى اَبِى الْحَسَنِ عَلِىٍّ اَلسَّلامُ عَلى شَجَرَهِ طُوبى وَسِدْرَهِ الْمُنْتَهى اَلسَّلامُ عَلى آدَمَ صَفْوَهِ اللَّهِ وَنُوحٍ نَبِىِّ اللَّهِ وَاِبْراهیمَ خَلیلِ اللَّهِ وَمُوسى کَلیمِ اللَّهِ وَعیسى رُوحِ اللَّهِ وَمُحَمَّدٍ حَبیبِ اللَّهِ وَمَنْ بَیْنَهُمْ مِنَ النَّبِیّینَ وَالصِّدّیقینَ وَالشُّهَدآءِ وَالصّالِحینَ وَحَسُنَ اُولَّئِکَ رَفیقاً اَلسَّلامُ عَلى نُورِ الاَنْوارِ وَسَلیلِ الاَطْهارِ وَعَناصِرِ الاَخْیارِ اَلسَّلامُ عَلى والِدِ الاَئِمَّهِ الاَبْرارِ اَلسَّلامُ عَلى حَبْلِ اللَّهِ الْمَتینِ وَجَنْبِهِ الْمَکینِ وَرَحْمَهُ اللَّهِ وَبَرَکاتُهُ اَلسَّلامُ عَلى اَمینِ اللَّهِ فى اَرْضِهِ وَخَلیفَتِهِ وَالْحاکِمِ بِاَمْرِهِ وَالْقَیِّمِ بِدینِهِ وَالنّاطِقِ بِحِکْمَتِهِ وَالْعامِلِ بِکِتابِهِ اَخِ الرَّسُولِ وَزَوْجِ الْبَتُولِ وَسَیْفِ اللَّهِ الْمَسْلُولِ اَلسَّلامُ عَلى صاحِبِ الدَّلالاتِ وَالاْ یاتِ الْباهِراتِ وَالْمُعْجِزاتِ الْقاهِراتِ وَالْمُنْجى مِنَ الْهَلَکاتِ الَّذى ذَکَرَهُ اللَّهُ فى مُحْکَمِ الاْ یاتِ فَقالَ تَعالى وَاِنَّهُ فى اُمِّ الْکِتابِ لَدَیْنا لَعَلِىُّ حَکیمٌ اَلسَّلامُ عَلَى اسْمِ اللَّهِ الرَّضى وَوَجْهِهِ الْمُضیَّىِ وَجَنْبِهِ الْعَلِىِّ وَرَحْمَهُ اللَّهِ وَبَرَکاتُهُ اَلسَّلامُ عَلى حُجَجِ اللَّهِ وَاَوْصِیآئِهِ وَخآصَّهِ اللَّهِ وَاَصْفِیآئِهِ وَخالِصَتِهِ وَاُمَنآئِهِ وَرَحْمَهُ اللَّهِ وَبَرَکاتُهُ قَصَدْتُکَ یا مَوْلاىَ یا اَمینَ اللَّهِ وَحُجَّتَهُ زائِراً عارِفاً بِحَقِّکَ مُوالِیاً لاَوْلِیآئِکَ مُعادِیاً لِاَعْدآئِکَ مُتَقَرِّباً اِلَى اللَّهِ بِزِیارَتِکَ فَاشْفَعْ لى عِنْدَاللَّهِ رَبّى وَرَبِّکَ فى خَلاصِ رَقَبَتى مِنَ النّارِ وَقَضآءِ حَوآئِجى حَوآئِجِ الدُّنْیا وَالاْخِرَهِ.

এমনি এক মোহনীয় সময়ে জগদ্বাসীর জন্য প্রশান্তির বারতা নিয়ে পৃথিবীতে শুভাগমন করলেন রহমাতুল লিল আলামিন তথা সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত ও করুণার আকর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। সঙ্গে নিয়ে এলেন সভ্যতার বসন্তকাল।
সেদিন ছিল সোমবার। আজও মদিনাবাসী সপ্তাহে সোমবারে রোজা পালন করেন, শরিফে মসজিদে নববিতে করা হয় ইফতারের বিশেষ আয়োজন। নবী করিম (সা.) সোমবার রোজা পালন করতেন। সাহাবিগণ জানতে চাইলেন, হুজুর, আপনি কেন প্রতি সোমবার রোজা পালন করেন? নবীজি (সা.) উত্তরে বললেন, সোমবারেই আমার জন্ম হয়েছিল; তাই এই দিনটিতে আমি রোজা পালন করে আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া জ্ঞাপন করি।
৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ এপ্রিল, আজ থেকে প্রায় ১৪৪৪ সৌরবর্ষ পূর্বে হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই ধরাধামে আগমন করেন। তখন চলছিল আইয়ামে জাহিলিয়াত, মানে অন্ধকার যুগ। অজ্ঞানতা, মূর্খতা, কুসংস্কার ও দুর্নীতি, পাপাচারে লিপ্ত ছিল জাজিরাতুল আরব বা আরব উপদ্বীপবাসী। এ সময় জ্ঞানের আলো নিয়ে, মুক্তির বাণী নিয়ে স্বর্গ থেকে মর্তে্য নেমে এলেন মানবতার মহান বন্ধু হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘কাদ জাআকুম মিনাল্লাহি নূরুঁ ওয়া কিতাবুম মুবিন’ অর্থাৎ ‘তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে আলোকজ্যোতি ও মহাগ্রন্থ এসেছে’। (আল–কোরআন, পারা: ৬, পৃষ্ঠা: ১১১/৯ হা., সূরা-৫ আল মায়িদাহ, আয়াত: ১৫)। সে মহাগ্রন্থ আল কোরআন এবং আল–কোরআনের বাস্তব রূপ হলেন আল্লাহর হাবিব মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)।
তিনি এলেন শুক্লপক্ষে, রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে। পুণ্যময় পূর্ণিমা শশীর পূর্ণ আলোয় আলোকিত করতে বিশ্বজগৎকে। এসেছেন তিনি প্রভাতে। সেই বর্বর যুগের পশুসুলভ জীবনাচার ও জুলুম-নির্যাতন এবং সামাজিক অন্যায়-অবিচারের তমসা হতে মানবতাকে সভ্যতার আলোর দিকে এগিয়ে নিতে; তিনি ভোরের সমীরণ প্রবাহ সঙ্গে নিয়ে, প্রভাত রবির রক্তিম আভায়, উষার আকাশে উদিত হলেন মুক্তির দূত রূপে।
তাঁর শত–সহস্র গুণবাচক নামের একটি হলো মুআল্লিম অর্থাৎ শিক্ষক। সত্যিই তিনি ছিলেন বিশ্বশিক্ষক। তিনি শিখিয়েছেন ভালোবাসা, শিখিয়েছেন ভ্রাতৃত্ব ও সাম্য, শিখিয়েছেন মানুষের প্রতি মানুষের অধিকার ও কর্তব্য। সর্বোপরি আরও শিখিয়েছেন ‘সৃষ্টির সেবা ও স্রষ্টার ইবাদত’। সেই মহামানবের আগমন বার্তা কোরআন কারিমে ঘোষণা করা হয়েছে এভাবে, ‘অবশ্যই তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের নিকট এক রাসুল এসেছেন। তোমাদিগকে যাহা বিপন্ন করে উহা তাঁর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি তিনি দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু। অতঃপর উহারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে আপনি বলুন, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ নেই। আমি তাঁরই ওপর নির্ভর করি এবং তিনি মহা আরশের অধিপতি।’ (আল–কোরআন, পারা: ১১, পৃষ্ঠা: ২০৮/৬ হা., সূরা-৯ তাওবা, আয়াত: ১২৮-১২৯)।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘মুহাম্মদ (সা.) একজন রাসুল; তাঁর পূর্বে বহু রাসুল গত হয়েছেন। সুতরাং যদি তিনি ইন্তেকাল করেন অথবা শাহাদত বরণ করেন, তবে তোমরা কি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে? এবং কেহ পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলে সে কখনো আল্লাহর ক্ষতি করবে না; বরং আল্লাহ শীঘ্রই কৃতজ্ঞদিগকে পুরস্কৃত করবেন।’ (আল–কোরআন, পারা: ৪, পৃষ্ঠা: ৬৯/৭ হা., সূরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ১৪৪)। ‘মুহাম্মদ (সা.) তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নহেন; বরং তিনি আল্লাহর রাসুল এবং সর্বশেষ নবী। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ।’ (আল–কোরআন, পারা: ২২, পৃষ্ঠা: ৪২৪/২ হা., সূরা-৩৩ আহযাব, আয়াত: ৪০)। ‘মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাহাদিগকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবেন। তাদের লক্ষণ তাদের মুখমণ্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তাওরাতে তাদের বর্ণনা এইরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এইরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারাগাছ, যা হতে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কাণ্ডের ওপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে, যা চাষির জন্য আনন্দদায়ক। এইভাবে আল্লাহ মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন। যারা ইমান আনে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাহাদিগকে প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের।’ (আল–কোরআন, পারা: ২৬, পৃষ্ঠা: ৫১৬/১৪ হা., সূরা-৪৮ ফাৎহ, আয়াত: ২৯)। ‘যারা ইমান আনে, সৎকর্ম করে এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাস করে, আর উহাই তাদের প্রতিপালক হতে প্রেরিত সত্য, তিনি তাদের মন্দ কর্মগুলো বিদূরিত করবেন এবং তাদের অবস্থা ভালো করবেন।’ (আল–কোরআন, পারা: ২৬, পৃষ্ঠা: ৫০৮/৬ হা., সূরা-৪৭ মুহাম্মদ, আয়াত: ২)।
তিনি মহান প্রভুর সর্বাধিক প্রশংসাকারী ‘আহমাদ’। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্মরণ করো, মারইয়াম তনয় ঈসা (আ.) বলেছিল, “হে বনি ইসরাইল! আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসুল এবং আমার পূর্ব হতে তোমাদের নিকট যে তাওরাত রয়েছে, আমি তার সর্বাধিক সমর্থক এবং আমার পরে আহমাদ নামে যে রসুল আসবেন, আমি তাঁর সুসংবাদদাতা।”’ (আল–কোরআন, পারা: ২৮, পৃষ্ঠা: ৫৫৩/১১ হা., সূরা-৬১ সফ, আয়াত: ৬)।
তিনি কামলিওয়ালা। প্রিয় বন্ধু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর মহান বন্ধু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নানান অভিধায় অভিহিত করেছেন, বিভিন্ন বিশেষণে বিভূষিত করেছেন, বিবিধ সম্ভাষণে সম্বোধন করেছেন। আহ্বান করেছেন কখনো ‘তহা’, আবার কখনো ‘ইয়ািসন’। (আল–কোরআন, পারা: ১৬, পৃষ্ঠা: ৩১৩/১১ হা., সূরা-২০ তহা, আয়াত: ১; পারা: ২২, পৃষ্ঠা: ৪৪১/১৯ হা., সূরা-৩৬ ইয়ািসন, আয়াত: ১)। এসবের মাঝে পরিচিত তিনি ‘কামলিওয়ালা’ নবী তথা ‘মুযযাম্মিল’ ও ‘মুদ্দাছছির’। (আল–কোরআন, পারা: ২৯, পৃষ্ঠা: ৫৭৭ ও ৫৭৯/ ১৫ ও ১৭ হা., সূরা-৭৩ মুযযাম্মিল, আয়াত: ১ ও সূরা-৭৪ মুদ্দাছছির, আয়াত: ১)।

সাততেতৈয়া

শরিয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারফত কাকে বলে? বিস্তারিত?

পবিত্র কুরআন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।

হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-বড় পীর এর জীবনী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

তাজবীদ

জামে মসজিদ নীতিমালা