আইএস কাদের সৃষ্টি


নাদিয়া মুরাদ: যৌনদাসী থেকে নোবেল বিজয়ী
প্রথম ইরাকি হিসেবে নোবেল পাওয়া ২৫ বছর বয়সী নাদিয়া মুরাদের পথটি মোটেও সহজ ছিল না। ছবি: এএফপি।
প্রথম ইরাকি হিসেবে নোবেল পাওয়া ২৫ বছর বয়সী নাদিয়ার পথটি মোটেও সহজ ছিল না
নাদিয়া মুরাদ, একজন বিশ্বনন্দিত নোবেলজয়ী নারীর নাম। নোবেল জয় করে গোটা বিশ্বকে বিস্মিত করেছেন ইরাকের এই ইয়াজিদি মানবাধিকারকর্মী। বাস্তবতার কঠিন নির্যাতনের জাল থেকে বেরিয়ে এসে ঘুরে দাঁড়িয়ে কীভাবে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এ পুরস্কারটি অর্জন করলেন তিনি, তা নিয়ে অবাক পুরো বিশ্ব।
প্রথম ইরাকি হিসেবে নোবেল পাওয়া ২৫ বছর বয়সী নাদিয়ার পথটি মোটেও সহজ ছিল না। ইরাকের সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন পৃথিবী নির্মমতম জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বর্বরতা। শিকার হয়েছেন অবর্ণনীয় নির্যাতনের। পার করেছেন ইতিহাসের নিকৃষ্টতম কিছু সময়।
আইএস'র অত্যাচারে ভয়াবহতম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করা এই সাহসী নারী একসময় উত্তর ইরাকের সিঞ্জারের পাহাড়ি এলাকায় নিজ গ্রামে শান্তিময় জীবন অতিবাহিত করেছেন। তথাকথিত ইসলামিক স্টেট জিহাদি জঙ্গিরা ২০১৪ সালে যখন সিরিয়া এবং ইরাকে ত্রাসের রাজত্ব শুরু করে তখন থেকেই তার দুঃস্বপ্নের শুরু। 
ঐ বছরের আগস্টের এক দুঃস্বপ্নময় দিনে আইএস জিহাদিদের কালো পতাকা বহনকারী একটি গাড়ি নাদিয়ার গ্রামে প্রবেশ করে। এরপর আইএস জঙ্গিরা পুরুষদের হত্যা করে, শিশুদের জঙ্গি বানানোর উদ্দেশ্য বন্দী করে এবং নারীদের জোরপূর্বক শ্রম ও যৌনদাসী হতে বাধ্য করে।আইএসের একটি পক্ষের কাছে যৌনদাসী হিসেবে মুরাদকে বিক্রি করে দেয় আরেকটি পক্ষ।
জাতিসংঘে তিনি বলেছিলেন, "আমাদের যখন বন্দি করা হলো, তখন ওদের যৌন নির্যাতনের বিষয়ে শোনা কথাগুলো স্মরণ করে মনে-প্রাণে চাইছিলাম, এমন পাশবিক লালসার শিকার হওয়ার আগে যেনো আমাদের মেরে ফেলা হয়। কিন্তু, ওরা আমাদের যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করে দিলো তাদেরই আরেকটি পক্ষের কাছে। এরপর কী যে যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে! প্রতিটা মুহূর্তে মনে হয়েছে, আমাদের মেরে ফেলা হয় না কেনো, কেনো আমাদের এভাবে তিলে তিলে নির্যাতন করা হচ্ছে?"
নাদিয়া সেই বক্তব্যে জানিয়েছিলেন, "তিন হাজারেরও বেশি নারী আইএসের হাতে যৌনদাসী হিসেবে বন্দি রয়েছে। আইএস এই হতভাগ্যদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করছে! ইচ্ছেমতো জায়গায় বিক্রি করছে নারীদের"।
জিহাদি জঙ্গিরা নারী ও বন্দীদের দাস হিসেবে বিক্রি করার জন্য ক্রীতদাস বাজার গড়ে তুলেছিল এবং একই সাথে ইয়াজিদি নারীদের ধর্ম ত্যাগ করার জন্য বাধ্য করেছিল। উল্লেখ্য, জিহাদিদের তথাকথিত পৌত্তলিক ইসলামিক ধ্যান ধারণায় ইয়াজিদিদের কাফির বলে গণ্য করা হয়। কুর্দি ভাষাভাষী এই সম্প্রদায়টি একটি প্রাচীন ধর্মকে অনুসরণ করে এবং একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করে যা তারা একটি প্রতীকী ময়ূরের মাধ্যমে উপস্থাপন করে থাকে।
সহিংসতায় হতভম্ব, মুরাদ পালানোর জন্য চেষ্টা শুরু করেন এবং মসুল থেকে একটি মুসলিম পরিবারের সহায়তায় পালিয়ে আসতে সক্ষম হন  এসময় তিনি মিথ্যা পরিচয়পত্র নিয়ে ক্যাম্পের অন্যান্য বিচ্ছিন্ন ইয়াজিদিদের সাথে মিশে গিয়ে ইরাকি কুর্দিস্তানের দীর্ঘপথ অতিক্রম করেন। এখানেই, তিনি জানতে পারেন, তার মা-সহ ছয় ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে।
পরে ইয়াজিদিদের মিত্র একটি সংগঠনের মাধ্যমে তিনি জার্মানিতে তার বোনের কাছের চলে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। তারপর থেকেই তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন, তার ভাষায় "আমার জনগণের যুদ্ধে"। এরপর থেকেই তিনি তার সাথে ঘটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠেন এবং অত্যাচারিত গণমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে তার যুদ্ধ শুরু করেন। এখনও তিনি নিখোঁজ ও নির্যাতিত ইয়াজিদিদের জন্য তার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়া ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধেও তিনি কঠিন ভূমিকা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। যা তাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করলো। ০৫ অক্টোবর ওসলোতে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী দু’জনের নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান কমিটি। তার একজন নাদিয়া।
আইএস কাদের সৃষ্টি??
 আইএস মোসাদের সৃষ্টি
আইএস মোসাদের সৃষ্টি
যুগান্তর ডেস্ক |  
বৈঠক শেষে তোলা ছবিতে ম্যাককেইনের সঙ্গে আবুবকর বাগদাদি ও আইএসের আরেক শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ নূর (গোল চিহ্নিত) -সংগৃহীত
দুনিয়াব্যাপী ‘ইসলামী খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার যুদ্ধের স্বঘোষিত খলিফা ও সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতা খলিফা আবুবকর আল বাগদাদি মুসলমান নন। তিনি একজন ইহুদি। তার আসল নাম আকা ইলিয়ট শিমন। এর চেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী ‘ইসলামী শাসনব্যবস্থা’ কায়েমের আদর্শে মত্ত আইএস ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সৃষ্টি। এ জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের প্রত্যেকেই মোসাদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। মোসাদের প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতেই আইএস জঙ্গিদের ‘যুদ্ধকৌশল’ শেখানো হয়।
সুসংগঠিত এ জঙ্গিগোষ্ঠীটি ‘ইসলামিক স্টেট’ নামে আত্মপ্রকাশের আগে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের সিনিয়র সিনেটর ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জন ম্যাককেইনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে। গোড়ার দিকের ওই গোপন বৈঠকগুলোতে মোসাদের বেশ কয়েকজন সদস্য ও আইএসপ্রধান বাগদাদি উপস্থিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম ও গবেষণা প্রতিবেদন ঘেঁটে বিশ্বব্যাপী আতংক সৃষ্টি করা ইসলামিক স্টেট ও এর প্রধান খলিফা আবুবকর আল বাগদাদির পরিচয় নিয়ে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) গোপন নথিতেও এ ব্যাপারে উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছে ‘আমেরিকান ফ্রি প্রেস’ নামের ওয়েবসাইট। সন্ত্রাসবাদের ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী সংগঠন বলে পরিচিত আইএসের উত্থান হয় গত বছরের যুক্তরাষ্ট্রের বুস্কা কারাগারে ছিলেন তিনি। পলিটিসাইট ডটকমের তথ্যানুযায়ী, সিআইএ’র তত্ত্বাবধানেও বাগদাদি সামরিক প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
এরপর বুঝতে বাকি থাকে না আইএস কাদের সৃষ্টি
 বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে আতংকের নাম আইএস। মুক্তিপণ আদায়, শিরশ্ছেদ করে ভিডিও প্রকাশ, নারী পাচার ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত কথিত এ ইসলামী জঙ্গি সংগঠনটিকে নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ এসব কাজের কোনোটিই ইসলাম সমর্থন করে না। তাহলে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক- কেন তারা ইসলামিক নাম ধারণ করেছে? কী তাদের মূল উদ্দেশ্য? অর্থ ও অস্ত্রের জোগানই বা আসে কোত্থেকে? আরেক জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা গোপন স্থান থেকে মাঝে মধ্যে তাদের খবরাখবর উপস্থাপন করলেও ইসলামের নামে ইহুদি এ সংগঠনটি প্রতিনিয়ত তাদের বীভৎস কর্মকাণ্ডের খবরাখবর পৃথিবীর শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে অবলীলায় উপস্থাপন করে যাচ্ছে! আর এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। এ ধরনের প্রচার কার্যক্রম আর মার্কিন জোটের বারবার পরিচালিত আইএসের বিরুদ্ধে পরিচালিত নিষ্ফল আক্রমণ বহু প্রশ্নের জন্ম দেয়। এগুলোর মধ্যে প্রথম প্রশ্ন হল, আইএস কাদের সৃষ্টি?
এ ব্যাপারে বলা হচ্ছে, আইএস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সৃষ্টি। আর এটাকে পরোক্ষভাবে মদদ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রো স্পষ্ট করেই বলেছেন, আইএসের উত্থানের পেছনে স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল দায়ী। আবার গত কয়েকদিনে আমেরিকান ফ্রি প্রেসে যেসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তাতে আইএসকে মোসাদের সৃষ্টি বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফ্রি প্রেসের ভাষ্য মতে, আইএসের খলিফার দাবিদার বোগদাদিকে দীর্ঘ সময় ধরে মোসাদের তত্ত্বাবধানে যাবতীয় সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
ইরাক কিংবা আফগানিস্তানে ইঙ্গ-মার্কিন হামলার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল, এসব দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করা এবং শাসন ক্ষমতায় পুতুল সরকার বসিয়ে নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন, সর্বোপরি মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলি শক্তি আরও বৃদ্ধি করা। কিন্তু পুতুল সরকার বসিয়েও ইঙ্গ-মার্কিন যখন তাদের সব এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও প্রাকৃতিক সম্পদ পুরোপুরি গ্রাস করে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোকে ভিক্ষুকে পরিণত করতে পারেনি, তখন যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ অস্ত্র-অর্থ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সহযোগে সবচেয়ে শক্তিশালী ও সম্পদশালী জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আইএসকে সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, আইএস যে ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করছে, তা ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধে এবং আমেরিকা আফগান যুদ্ধে ব্যবহার করেছে। অন্যান্য যেসব অস্ত্র আইএসের হাতে রয়েছে, তা কেবল আমেরিকা কিংবা ইসরাইলের কাছেই রয়েছে। সুতরাং এ থেকে বোঝা যায়, আইএস আমেরিকার ও ইসরাইলের সৃষ্টি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করতে পারে, তা আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ২১ পৃষ্ঠার চিঠিতে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তাকে হত্যার পর পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের বাসভবনে এ চিঠিটি পাওয়া যায়। চিঠিতে তিনি আইএস ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ব্যাপারে আল কায়দাকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
আইএসের অন্যতম উদ্দেশ্য হল, তেল সম্পদ আত্মসাৎ করে আরব বিশ্বকে ভিক্ষুকে পরিণত করা। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আইএস এগিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তারা সফল হতে ইরাক ও সিরিয়ার যেসব অঞ্চলে তেলকূপ ও শোধনাগার রয়েছে, সেসব অঞ্চল দখল করে সেখানকার তেল মিত্রদের কাছে বিক্রি করছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, আইএস সিরিয়া ও ইরাকের মোট ১৪টি তেলকূপ ও শোধনাগার দখল করেছে। দখল করা এসব তেলকূপ থেকে প্রতিদিন উৎপাদিত হয় ৫২ হাজার ব্যারেল তেল। প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ১০০ ডলারের বেশি হলেও এসব তেল তারা বিক্রি করছে মাত্র ২৫-৫০ ডলারে! তারপরও তেল বিক্রি থেকে আইএসের দৈনিক আয় প্রায় তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে প্রাপ্ত সাহায্যের পরিমাণ অন্তত ১ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া নারী পাচার ও ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়ার প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ বিক্রি করে তারা প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। এসব অর্থ দিয়ে সাধারণ মানুষকে লোভে ফেলে দলে টানে আইএস। সম্প্রতি প্যারিস হামলার সঙ্গে জড়িত তিনজনের একজন আর্থিক লোভে আইএসে যোগদানের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
এ বছরের অক্টোবরের শুরুর দিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট আইএস দমনে সিরিয়ায় ১৩০ বারেরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আইএসের লক্ষ্যবস্তুতেই তারা আঘাত করতে পারেনি। যে উদ্দেশ্যে অর্থাৎ আইএসকে দুর্বল করার জন্য হামলা চালানো হলেও বরং এ থেকে আইএস শক্তিশালী হয়েছে। তারা আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করতে পারেনি মানে হামলা করেনি। অন্যদিকে রাশিয়া নেতৃত্বাধীন জোট মাত্র ২-৩টি হামলায় আইএসের লক্ষ্যবস্তু ও তাদের ঘাঁটিতে হামলা করতে সমর্থ হয়। এ থেকে কি প্রমাণ হয় না, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আতংক সৃষ্টিকারী জঙ্গি সংগঠন আইএস আমেরিকার সৃষ্টি?
আইএস দমনে রাশিয়া বারবার স্থল অভিযান চালানোর আহ্বান জানালেও তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সায় দেয়নি। এমন কী গত ১৮ অক্টোবর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তাব দিলে তাতেও তিনি রাজি হননি! কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য আইএস দমন নয়, বরং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে নিঃশেষ করা। একইসঙ্গে সমগ্র সিরিয়ার অবকাঠামো ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করে পরনির্ভরশীল বানানো।

আইএস কি যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সর্বশেষ ‘মিথ’?

মুসলমান মানেই সন্ত্রাসী প্রথমেই ধারনা দিতে তৈরি করা হল আল কায়দা। স্বাদও মিটল না সার্থকতাও এলো না। এরপরে শুধু সন্ত্রাসী না ভয়ঙ্কর অত্যাচারী, নৃশংস আর মানবতা বিরোধী রূপে তৈরি করা হল আই এস। শুধু তৈরি করলে তো হবে না। তাদের নৃশংসতার সচিত্র প্রতিবেদন তৈরি করে তা প্রচার করা হল বিশ্বব্যাপী। তারা অজেয় এটা প্রমাণের জন্য বছরের পর বছর ধরে বিমান হামলা চালানো হল। ব্যস বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়ে গেল যে মুসলমানরা সন্ত্রাসী। শুধু কি সন্ত্রাসী? তারা সব ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী। শান্তির ধর্ম ইসলাম রাতারাতি হয়ে গেল সন্ত্রাসী আদর্শ!
আইএস মার্কিনিদের সৃষ্টি!
বর্তমান বিশ্বে সবচাইতে আতঙ্কের নাম আইএস। আর কাউকে ধরে নিয়ে আটক করে মুক্তিপণ আদায় করা, শিরñেদ করে ভিডিও প্রকাশ, নারীদের জোর করে নিয়ে নিজের প্রবৃত্তির চাহিদা মোটানো এবং নারী পাচার করে যৌন জীবনে বাধ্য করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়া, যখন আইএসের প্রকৃতি তখনই কথিত এই ইসলামধারী জঙ্গি সংগঠনটিকে নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয় কেননা, এসব প্রকৃতির কোনোটিই ইসলাম সমর্থন করে না। ইতোপূর্বে ইসলামিক যেসব যোদ্ধা আর দলের নাম ইসলামিক ইতিহাসে এসেছে এদের কেউ এদের প্রকৃতির আওতাভুক্ত ছিল না। তাই স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে এসব অপকর্ম করে কেন ইসলামিক বলে নামধারণ করেছে? আবার কারাই বা এর পেছনে দায়ী? কি বা তাদের মূল উদ্দেশ্য? অর্থ আর অস্ত্রের জোগানই বা আসে কোথা থেকে? যেখানে আলকায়েদার মতো সংগঠন গোপনে বহুদিন পরে অজ্ঞাত কোনো স্থান থেকে মাঝেমধ্যে তাদের খবরাখবর উপস্থাপন করত আর সেখানে কথিত এই ইসলামের নামে এই সংগঠনটি প্রতিনিয়ত তাদের বীভৎস কৃতকর্ম পৃথিবীর শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে অবলীলায় উপস্থাপন করে যাচ্ছে! আর এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে সেই পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। তবে এই প্রচার আর মার্কিন জোটের বারংবার পরিচালিত আইএসের বিরুদ্ধে পরিচালিত নিস্ফল আক্রমণ বহু প্রশ্ন মানব বিবেকে উত্থাপিত হয়। যার প্রথম প্রশ্নই হলো আইএস কাদের সৃষ্টি?
আইএসের সৃষ্টি সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায় আইএস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সৃষ্টি। আর এতে প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষভাবে মদদ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রে স্পষ্ট করেই বলেছেন আইএসের উত্থানের পেছনে স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরায়েলই দায়ী। আবার গত কয়েকদিন ধরে আমেরিকান ফ্রি প্রেসে যে তথ্য বেরিয়ে এসছে তাতে আইএসকে মোসাদের সৃষ্টি বলে উপস্থাপন করা হয়েছে। যে উদ্দেশ্যে ইঙ্গ-মার্কিন ইরাকে হামলা করেছে সেই একই উদ্দেশ্যকে আরো বিস্তৃত করে পুরো ইসলামকে বিশ্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ আর জঙ্গি হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করতে এক ধরনের কৌশলী পদক্ষেপ হাতে নেয় এই গোষ্ঠী। ইরাক কিংবা আফগানিস্তানে হামলার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল এসব দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ তথা তৈলকে আহরণ করা এবং নিজেদের বানানো পুতুল বসিয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা সর্বোপরি মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি শক্তি আরো বৃদ্ধি করা। কিন্তু যখন পুতুল বসিয়েও তাদের সব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং প্রাকৃতিক সম্পদকে পুরোপুরি গ্রাস করে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশসমূহকে ভিক্ষুকে পরিণত করতে পারেনি তখনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ তাদের যাবতীয় অস্ত্র আর সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি করল আজকের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সম্পদশালী জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে।
আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় দেখা যায় আইএস যে ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করছে তা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে ও আমেরিকা-আফগান যুদ্ধে ব্যবহার করেছে এবং অন্যান্য যেসব অস্ত্র তাদের হাতে রয়েছে তা কেবল আমেরিকা কিংবা ইসরায়েলের কাছেই রয়েছে সুতরাং এসব লক্ষণ থেকে বুঝা যায় যে আইএস আমেরিকার ও ইসরায়েলের সৃষ্টি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করতে পারে তা আলকায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ২১ পৃষ্ঠার চিঠিতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় তাকে হত্যার পর পাকিস্তানের এবোটাবাদের বাসভবনে এই চিঠিটি পাওয়া যায়। যাতে তিনি এইএস ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সম্পর্কে আলকায়েদাকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
আইএসের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো আরব বিশ্বের প্রাকৃতিক সম্পদ তেলকে পুরোপুরি আরোহণ করে আরব বিশ্বকে ভিক্ষুকে পরিণত করা এই উদ্দেশ্য আইএস ঠিকই এগিয়ে যাচ্ছে কেননা তারা এই উদ্দেশ্য সফল করতে প্রথমত ইরাক ও সিরিয়ার যেসব অঞ্চলে তেলের কপ ও শোধনাগার রয়েছে সেসব অঞ্চলকে তারা প্রথমেই দখল করে সেখানকার তেলকে তাদের মিত্রদের কাছে বিক্রি করত এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে আইএস সিরিয়া ও ইরাকের মোট ১৪টি তেল কপ ও শোধনাগার দখল করেছে দখল করা এসব তেলের কপ থেকে প্রতিদিন উৎপাদিত হয় ৫২ হাজার ব্যারেল তেল! আর ব্যারেল প্রতি দাম ১০০ ডলারেরও বেশি কিন্তু তারা এসব তেল বিক্রি করছে মাত্র ২৫-৫০ ডলারে! আর এই হিসাবে আইএসের তেল বিক্রি থেকে দৈনিক আয় প্রায় তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অন্যান্য দেশ থেকে প্রাপ্ত সাহায্য প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার। বিভিন্নভাবে নারীদের সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন দেশে যৌন জীবনে বাধ্য করার জন্য পাচার করে দৈনিক অর্থ আয় করে প্রচুর। এছাড়া ইরাক আফগানিস্তান ও সিরিয়ার প্রতœতাত্তি¡ক বিভিন্ন নির্দশাবলী বিক্রি করে তারা প্রচুর পরিমাণ টাকা উপার্জন করেও চলছে। এসব অর্থ দিয়ে সাধারণ মানুষকে লোভে ফেলে তাদের দলে ভিড়ায় এই আইএস। সম্প্রতি প্যারিস হামলার তিনজনের একজন এ ধরনের আর্থিক লোভের বিষয়টির মাধ্যমেই আইএসে যোগদান করার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
এই বছরের অক্টোবরের শুরুর দিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট আইএস দমনে সিরিয়া ১৩০ বারেরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে কিন্তু আইএসের লক্ষ্যবস্তুতেই তারা আঘাত করতে পারেনি, যে উদ্দেশ্যে অর্থাৎ আইএসকে দুর্বল করার জন্য হামলা চালালেও উপরন্তু আইএস শক্তিশালীই হয়েছে অর্থাৎ তারা আইএসের লক্ষ্যবস্তুতেই হামলা করতে পারেনি আর পারবেই বা কিভাবে কারণ তাদের এই হামলা তো কেবল লোক দেখানো ছিল। রাশিয়া আইএস দমনে বারবার স্থল অভিযান চালানোর আহ্বান জানালেও তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সায় দেয়নি এমনকি গত ১৮ অক্টোবর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পুনরায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তাব দিলে তাতেও তিনি রাজি হননি! কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য আইএস দমন নয় বরং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে নিঃশেষ করা একই সঙ্গে পুরো সিরিয়ার অবকাঠামো ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করে তাদের ওপর নির্ভরশীল বানানো। আমেরিকার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ইসলামকে বিশ্ববাসীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করে আমেরিকা ও ইউরোপে মুসলমানদের বৃদ্ধি রোধ করা এ হিসেবে ওবামা তার দেশে মসজিদ নির্মাণ নিষিদ্ধ করেছেন এবং সব মসজিদ বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। অন্যদিকে ফ্রান্সকেও মসজিদগুলো বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন।
আমেরিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন ইসরায়েলের একনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে সমাদৃত সম্প্রতি এবিসি টিভি ও সিএনএনের একটি ভিডির স্নাপশটে তার সঙ্গে কথিত খলিফার যে বৈঠকের চিত্র দেখা গেছে তাতে আইএসের উত্থানের পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ভূমিকার যে কথা ফিদেল কাস্ত্রে ও মাহমুদ কাইয়ুম বলেছেন তা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো। তবে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রকৃতি ইতোমধ্যে বিশ্ববাসী দেখেছে তাতে মনে হয় এই আইএস দমনে তারাও সহায়তা করবে কারণ তারা আজ যার বন্ধু কাল তার শত্রু! ওসামা বিন লাদেন, গাদ্দাফি, সাদ্দাম হোসেন এর জ্বলন্ত উদাহরণ। এসব রাষ্ট্রনায়ক যুক্তরাষ্ট্রেরই বন্ধু ছিল কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব নেতা যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ডা বাস্তবায়ন না করার কারণে তাদের রক্তচক্ষুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং এদের নিঃশেষ করতে তারা আরবে আরব বসন্তের নামে গুটি বসন্ত রেখে আসছে আবার আর আফগানদের বন্ধু সেজে গিয়ে তাদের পঙ্গু বানিয়ে রেখে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের এসব প্রকৃতি দেখে মানুষ প্রবাদ তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র যার বন্ধু হয় তার আর শত্রুর দরকার পড়ে না! মার্কিন-আইএসের নিগূঢ় সম্পর্ক স্পষ্ট হলেও বর্তমানে ফ্রান্স সবাইকে আইএস বিরোধী জোট গঠন করার যে আহ্বান জানাচ্ছেন প্রত্যেক মুসলিম ও মানবতাবাদী দেশগুলোর উচিত ফ্রান্সের ডাকে সাড়া দেয়া। সন্ত্রাস লালনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পুরো বিশ্বকে যুদ্ধবাজ আর সন্ত্রাসবাদী দেশসমূহকে মুক্ত করে বিশ্ববাসীকে শান্তিতে রাখা।
আইএস আসলে এন্টি ইসলামিক স্টেট
ইসলামকে বিশ্বের সবচেয়ে শান্তির ধর্ম বলে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক অঙ্গসংগঠন ‘ইউনেস্কো’। গত ৭ জুলাই এই ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে ইন্টারন্যাশনাল পিস ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে ইউনেস্কো যৌথভাবে বিশ্বের সবগুলো ধর্ম নিয়ে গবেষণা চালায়। ওই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্ম কোন্টি তা খতিয়ে বের করা। এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল পিস ফাউন্ডেশনের তুলনামূলক গবেষণা বিষয়ের প্রধান রবার্ট ম্যাকগি বলেন, ছয় মাসব্যাপী গভীর গবেষণা ও বিশ্লেষণের পর আমরা এই উপসংহারে উপনীত হয়েছি যে, ইসলামই বিশ্বের সবচেয়ে শান্তির ধর্ম। সম্প্রতি ঢাকা ও বাগদাদে সন্ত্রাসী হামলাসহ ইসলামের নামে চালানো সন্ত্রাসী হামলাগুলোর সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোন যোগসূত্র নেই বলেও মন্তব্য করেছেন ইউনেস্কো কর্মকর্তারা। তারা আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদের কোন ধর্ম নেই। ইসলামের অর্থ শান্তি। এদিকে বিশ্বের বড় বড় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা ইউনেস্কোর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিব্বতের ধর্মীয় নেতা দালাইলামাও অন্য ধর্মগুলোকে ইসলামের কাছ থেকে শান্তির শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছেন।
সৈয়দ আফজাল বাকের: বর্তমানে সারা বিশ্বে আইএস এর নির্মম সন্ত্রাসে সাধারণ মানুষ হরহামেশায় প্রাণ হারাচ্ছে। ইহুদী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ অনেক বছর আগে থেকে সারাবিশ্বে সন্ত্রাসী অপকর্ম চালিয়ে আসছে। তারা উচ্চ শিক্ষিত তরুণদের বিভিন্ন ধরণের হতাশাকে পুজি করে দেশের নামি-দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়েছে। তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে মাদকসহ নানা রকম নেশার ওষুধের মাধ্যমে নেশাগ্রস্ত করে রাখা হয়। ফেসবুক টুইটার স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে জাল বিস্তার করে রিক্রুট করা হয় এইসব তরুণদেরকে। এই সব অপকর্ম তারা ইসলাম ধর্মকে ধ্বংস করার উদ্দেশেই দীর্ঘদিন থেকে চালিয়ে আসছে। জঙ্গি কর্মকান্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে ভয়ংকর নেশাজাতীয় ড্রাগ।

 মোসাদ ও বিদেশী অপশক্তি চায় যেখানে মুসলমান যেখানে ইসলাম সেখানে আল্লাহর নির্দেশে পাচঁ ওয়াক্ত সিজদা সেখানেই এই ষড়যন্ত্র করে ইসলাম ধর্মকে বিভ্রান্তি করা। এই গোয়েন্দা সংস্থা মানুষ খুন করাচ্ছে। স্থাপনা ধ্বংস করছে এমন কি মুসলিম রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে। বাংলাদেশে বর্তমানে মুসাদের শক্ত ঘাঁটি স্থাপন করে আছে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কি কোন উপায় নেই? তারা আরও অপকৌশল করে নিরীহ মানুষকে হত্যা করাবে। ইসলামিক  লেবাসে ইহুদিদের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ তরুণ এবং যুবকদের ইসলামিক পোষাক পড়িয়ে আইএস সৃষ্টি করেছে। এই আই এস মানে কি ইসলামিক এষ্টেট? নাকি ইহুদের ইসরাইল এষ্টেট।


ইহুদি দুষ্টচক্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা আইএস দমনের নামে একটি মাত্র মিশন পরিচালনা করছে-তাহলো, মুসলিম বিশ্বকে ধ্বংস করে দেয়া। আমাদের দেশে এ চক্রটিকে দমন করতে হলে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। অন্যথায়
  এই ইহুদি চক্র বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য যা করার তাই করবে। মহাপবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা যদি সেই নির্দেশ অনুসরণ করি, কোনো সন্ত্রাসীচক্র আমাদের প্রাণের বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্তে সফল হবেনা ।

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে আতংকের নাম আইএস। মুক্তিপণ আদায়, শিরচ্ছেদ করে ভিডিও প্রকাশ, নারী পাচার ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত কথিত এ ইসলামী জঙ্গি সংগঠনটিকে নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ এসব কাজের কোনোটিই ইসলাম সমর্থন করেনা। তাহলে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক- কেন তারা ইসলামিক নাম ধারণ করেছে? কী তাদের মূল উদ্দেশ্য? অর্থ ও অস্ত্রের জোগানই বা আসে কোথেকে? আরেক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা গোপন স্থান থেকে মাঝে মধ্যে তাদের খবরা খবর উপস্থাপন করলেও ইসলামের নামে ইহুদি এ সংগঠনটি প্রতিনিয়ত তাদের বীভৎস কর্মকান্ডের খবরা খবর পৃথিবীর শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে অবলীলায় উপস্থাপন করে যাচ্ছে! আর এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। এ ধরণের প্রচার কার্যক্রম আরমার্কিন জোটের বারবার পরিচালিত আইএসের বিরুদ্ধে পরিচালিত নিস্ফল আক্রমণ বহু প্রশ্নের জন্ম দেয়। এগুলোর মধ্যে প্রথম প্রশ্নহলো, আইএস কাদের সৃষ্টি? এ ব্যাপারে বলা হচ্ছে, আইএস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা
  সংস্থা সিআইএ এবং ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সৃষ্টি। আর একে পরোক্ষভাবে মদদ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রো স্পষ্ট করেই বলেছেন, আইএসের উত্থানের পেছনে স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল দায়ী। আবার গত কয়েকদিনে আমেরিকান ফ্রি প্রেসে যেসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তাতে আইএসকে মোসাদের সৃষ্টি বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফ্রি প্রেসের ভাষ্য মতে, আইএসের খলিফার দাবিদার বোগদাদিকে দীর্ঘ সময় ধরে মোসাদের  তত্ত্ববধানে যাবতীয় সামরিক প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে।

আইএস এর ইতিহাস
আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র নীলনকশা। সিআইএ অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আইএস সৃষ্টি করেছে। যেমন অতীতে করেছিল
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে তালেবান।
সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করার ও তৎকালীন সোভিয়েত সমর্থিত কমরেড নজিবুল্লাহ সরকারকে উৎখাত করার জন্য আমেরিকা পাকিস্তানের শরাণার্থী শিবিরের
তরুণ ও যুবকদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। ওরা বেশিরভাগই ছিল মাদ্রাসার ছাত্র অর্থাৎ তালেব। ওই তালেব থেকেই তালেবান। যারা
মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে দুর্ধর্ষ বাহিনীতে পরিণত হয়ে অতি দ্রুত পুরো আফগানিস্তান দখল করে তালেবান শাসন কায়েম করে। একইভাবে আমেরিকা এবার দ্রুত ইরাক ও সিরিয়া দখলের জন্য আইএস সৃষ্টি করেছে। খোদ ইরাকের উপপ্রধানমন্ত্রী বাহা আল-অরাজী আনুষ্ঠানিক
সংবাদ সম্মেলন করে এটা স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরাক দখল করার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রই আইএস সৃষ্টি করেছে। একই কথা বলেছে ভেনিজুয়েলা, ইরান ও রাশিয়া। আইএস সৃষ্টি হচ্ছে আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্য দখলের চালাকি। এখন প্রশ্ন হলো আমেরিক যদি আইএস সৃষ্টিই করে, তাহলে ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা কেন? কেন বিমান হামলা? বাংলা ভাষায় বহুল প্রচারিত একটি প্রবাদ আছে, যত গর্জে তত বর্ষে না, আইএস জঙ্গিরা যখন একের পর এক ইরাকি জনপদ দখল করে রক্তের হোলি খেলা শুরু করে তখন আমেরিকা নীরব। সিরিয়ায় ঢুকে বিশাল ভূখণ্ড দখল করার পরও একবারে নিশ্চুপ। কিন্তু যখন বিশ্ব জনমত সোচ্চার
হয়েছে, তখন ওদের খুন, হত্যা, ধর্ষণে বিশ্ববাসী শিউরে উঠেছে। বিশেষ করে যখন আমেরিকা ও ব্রিটেনের সাংবাদিক ও পর্যটকদের ওরা কতল
করছে তখন আমেরিকা নড়েচড়ে বসে আইএস বিরোধী যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। তাও বলেছে, ওরা স্থলযুদ্ধ করবে না, শুধু বিমান হামলা করবে।
এই বিমান হামলায়ও কালক্ষেপণ করছে মিত্র সংগ্রহের অজুহাতে। ইতিমধ্যে আইএসের সুন্নি
জঙ্গিরা গোটা মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া-সুন্নি বিভেদ চূড়ান্ত করে পুরো আরব বিশ্বে রক্তপাতের ব্যাপক আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। যা ছিল আমেরিকার চাওয়া। আমেরিকার সেই চাওয়া পূরণ হওয়ার পরই শুরু করেছে বিমান হামলা। এখানেও লক্ষণীয় আমেরিকা তার দখলিকৃত ইরাকে যেখানে আইএসের মূল ঘাঁটি, মূল শক্তি সেখানে হামলা না করে অধিক মনোযোগী হয়েছে সিরিয়ায়। অগ্রাধিকারমূলক হামলা
করেছে সিরিয়ায় এবং জঙ্গী হত্যার নামে সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা ও তাদের ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ একটাই, তাহলো সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাত করা। আসলে আরব বসন্ত, সিরিয়ায় বিদ্রোহ গোষ্ঠী সৃষ্টি, লিবিয়ায় গাদ্দাফি সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল সবই এক সূত্রে গাঁথা। তাহলো মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদ। আর পারস্য উপসাগরে আধিপত্য বৃদ্ধি, ইরানের ওপর হুমকি সৃষ্টি, সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী
রাশিয়ার বিদায় নিশ্চিত করা। সিআইএ জানে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রাশিয়া বাধা সৃষ্টি
করতে পরে। রাশিয়াকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দূরে রাখতে খোদ রাশিয়ার সীমান্তেই রাশিয়াকে ব্যস্ত রাখতে ইউক্রেন সংকটের সৃষ্টি করেছে এবং এই সংকটকে জোরদার করতে যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিতের ঘটনা ঘটিয়েছে ইউক্রেনকে দিয়ে। যার দায়ভার রাশিয়ার ওপর চাপিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারে
নামা যায়। অথচ ৩০ হাজার ফুট
ওপরের কোনো কিছুকে গুলি করে নামানের মতো কোনো অস্ত্রই নেই বিদ্রোহীদের। শুধু তাই নয়,
বিমান ধ্বংস হওয়ার পর বলা হলো রাশিয়া ব্ল্যাক বক্স নিয়ে গেছে। কিন্তু দেখা গেল রাশিয়া সেখানে যাই-ইনি। যথারীতি ব্ল্যাক বক্স পাওয়া গেল এবং তা বিদ্রোহীরা মালয়েশিয়ার হাতে তুলেও দিল। শুধু তাই নয়, বিমান ধ্বংসের পর বলা হয় বিদ্রোহীরা লাশ
সরিয়ে ফেলেছে, অথচ দেখা গেল, বিদ্রোহীরা লাশ সংরক্ষণ করেছে ভালোভাবে এবং তা যথারীতি ফেরতও দিয়েছে। এইভাবে ইউক্রেন
সংকটকে তীব্র করে পাশ্চাত্য দুনিয়া
রাশিয়াকে তার সীমান্তেই ব্যস্ত রাখতে
চাইছে। রাশিয়া জানে পাশ্চাত্যকে ছাড় দিলে কী হয়? তাই চড়ের বদলে থাপ্পড় নীতি নিয়েছে রাশিয়া। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা। সব কিছু মিলে রাশিয়া তার আন্তর্জাতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে
মনোযোগী হয়েছে। ইতিমধ্যে তার ব্যবস্থাও গড়ে উঠছে ধীরে ধীরে। চীনের সঙ্গে মৈত্রী, ব্রিক গঠন করেছে।
বি দ্রঃ কেউ খারাপ কমেন্ড করবেন না। আমরা নিরপেক্ষ। আমরা আপনাদের বোঝাতে চাইছি,কিভাবে বিধর্মিরা আমাদের মুসলমানদের উপর শোষন করছে।
 
‘ইসলামিক স্টেট’ এর প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদীর সঙ্গে কী ঘটেছে?
২০১৪ সালে এক ভিডিওতে আবু বকর আল বাগদাদীকে মসুলের এক মসজিদে বক্তৃতা দিতে দেখা গেছে।
তিন বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের কথিত জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের এক প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদীর এক ভিডিও প্রকাশ পায়, যেখানে মসুল শহরের বিখ্যাত আল-নুরি মসজিদে খুৎবা দিতে দেখা যায়।
ইরাকের মসুল শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস তাদের 'খেলাফত' প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়।
আইএস সেইসময় অনেক বড় বড় অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় থেকেই এই জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াই শুরু হয় এবং আস্তে আস্তে তারা বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে।
কিন্তু আবু বকর আল-বাগদাদী নামে আইএস এর ওই নেতা, যার সন্ধান পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে রেখেছে-সেই ব্যক্তির এখন কোথায় বা কী করছে বা তার সঙ্গে কিছু ঘটেছে কিনা সে বিষয়টি এখনো রহস্যই রয়ে গেছে।
আবু বকর আল-বাগদাদীর শেষবারের মতো প্রকাশ্যে আসার তিন বছর পার হয়েছে, কিন্তু গত কয়েক বছরে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস তাদের কথিত খেলাফতের একটা বিরাট অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
রুশ এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের দ্বিমুখী আক্রমণের মুখে তারা এখন বেশি চাপের মধ্যে আছে।
২০১৪ সালের ওই ভিডিওর পরে আল-বাগদাদীর কোনো কথা শোনা যায়নি।
তবে গত বছর নভেম্বর মাসে যখন ইরাকি সেনাবাহিনী মসুল পুনর্দখলের লড়াই শুরু করে তখন আল-বাগদাদীর একটা অডিও বার্তা প্রকাশ করে আইএস। জঙ্গি গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয় আবু বকর আল-বাগদাদী অজ্ঞাত স্থান থেকে তাঁর অনুসারীদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন লড়াইয়ে পিছু না হটে।
আর এরই মধ্যে এই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই দাবিও করা হয় যে আইএস প্রধান আল-বাগদাদী হয়তো রাকায় চালানো রুশ বিমান হামলায় নিহত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, গত ২৮ শে মে রাকায় ইসলামিক স্টেটের এক কথিত গোপন সভাস্থল লক্ষ্য করে রুশ বিমান হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় তিনশো ত্রিশ জনের মতো ইসলামিক স্টেট যোদ্ধা নিহত হয়। এদের মধ্যে হয়তো আবু বকর আল বাগদাদীও ছিল এবং সেটা যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
আল বাগদাদীর মৃত্যু নিয়ে এরকম জল্পনা ওটাই প্রথম ছিলনা। এর আগেও কয়েকবার তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিল। তবে রাশিয়ার দিক থেকে আল-বাগদাদীর মৃত্যুর দাবি ওটাই ছিল প্রথম।
এর আগে গণমাধ্যমে বেশ কয়েকবার এরকম খবর বেরিয়েছিল যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন হামলায় বিমান হামলা বাগদাদী নিহত হয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা তখন জানিয়েছিলেন, বাগদাদী নিহত হয়েছেন কিনা সেটা তারা নিশ্চিত করতে পারছেন না।
এমনকি গত সপ্তাহে ইরানের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে তিনি নিশ্চিত আল-বাগদাদী নিহত হয়েছেন।
এর এই দাবি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
তালেবান নেতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবরটি তালেবান ও আল-কায়েদা প্রায় দুই বছর পর্যন্ত লুকিয়ে রেখেছিল।
আইএস এর কোনঠাসা পরিস্থিতিতে তাদের নেতা বাগদাদীর উপস্থিতি গোষ্ঠীটির অনুসারী ও বিরোধী বা শত্রু দুইপক্ষকেই ভাবিয়ে তুলেছে।
এক বিস্ফোরণে ইরাকের আল-নুরি মসজিদটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়
আবু বকর আল বাগদাদী কে?
আবু বকর আল বাগদাদীর আসল পরিচয় কী তা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। আল বাগদাদী তার আসল নাম নয় বলে মনে করা হয়।
ধারণা করা হয় ১৯৭১ সালে বাগদাদের উত্তরে সামারা এলাকায় আল বাগদাদীর জন্ম।
২০০৩ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে সামরিক অভিযান চলে, তখন আল বাগদাদী বাগদাদের কোন একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন বলে দাবি করা হয় কোন কোন রিপোর্টে।
অনেকের বিশ্বাস, সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলেই আল বাগদাদী জঙ্গি জিহাদীতে পরিণত হয়েছিল। তবে অন্য অনেকের ধারণা, যখন তাকে দক্ষিণ ইরাকে একটি মার্কিন সামরিক ক্যাম্পে চার বছর আটকে রাখা হয়েছিল তখনই আসলে আল বাগদাদী জঙ্গীবাদে দীক্ষা নেয়। এই ক্যাম্পে অনেক আল কায়েদা কমান্ডারকে বন্দী রাখা হয়েছিল।
আল বাগদাদী পরে ইরাকে আল কায়েদার নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়। পরে অবশ্য ইরাকের আল কায়েদা নিজেদেরকে ২০১০ সালে 'ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড লেভান্ট' বলে ঘোষণা করে।
২০১১ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র আল বাগদাদীকে সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করে। তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

সাততেতৈয়া

শরিয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারফত কাকে বলে? বিস্তারিত?

পবিত্র কুরআন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।

হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-বড় পীর এর জীবনী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

তাজবীদ

জামে মসজিদ নীতিমালা