কুরআনের সংখ্যাগত বিশ্লেষণ


বলতে কুরআনের বিভিন্ন সংখ্যার পুন:পৌণিক ও তাৎপর্যময় উপস্থিতি ও বিভিন্ন আয়াতের শব্দবিন্যাসের ব্যকরণগত ও গাণিতিক বিশ্লেষণ ।  সর্বসমক্ষে কুরআনের সাংখ্যিক তাৎপর্যের এই দাবীটি সর্বপ্রথম করেন রাশাদ খালিফা নামে পরিচিত একজন মিশরীয় ধর্মসংস্কারক ।  তিনি প্রধানত: ১৯ সংখ্যাটির কৌতূহলোদ্দীপক পুন:পৌণিক উপস্থিতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ১৯ ছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি সংখ্যার প্রধান্যের বিষয়েও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।  

১৯ সংখ্যা

কুরআনের আদি তাফসীরকারকগণ এই উনিশ সংখ্যা সম্পর্কে অনেক সুন্দর সুন্দর ধারণা করেছিলেন। কেউ বলেছিলেন এই উনিশ হচ্ছে দোযখ নিয়ন্ত্রণকারী উনিশ জন ফেরেশতা।  এবং অনেকে ইসলামের ঊনিশটি প্রধান স্তম্ভ বলে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন। কিন্তু তাফসির কারক গন এই বলে তাদের কথা শেষ করেছেন যে এই সম্পর্কে আল্লাহ্‌ তায়ালাই ভাল জানেন। অর্থাৎ তারা ১৯ সংখ্যা দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেননি। কারণ ইসলামের নবী(সা) এই উনিশ সংখ্যা সম্পর্কে আসল অবস্থা বর্ণনা করেননি।  বলা হয়ে থাকে এই উনিশ সংখ্যাটির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা কুরআন শরীফের আসল রচয়িতা যে তিনি তা প্রকাশ করেছেন। কেননা যদি মুহাম্মদ(সা) নিজে কুরআন রচনা করতেন তাহলে তিনি এই উনিশ সংখ্যা দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে তা ব্যাখ্যা করে যেতেন।
কুরআন নাযিল হওয়ার ধারাবাহীকতা থেকে আমরা দেখতে পাই সূরা মুদ্‌দাসসির এর ৩০ নং আয়াতটি চতুর্থ বারের সময় মুহাম্মদ(সা) এর নিকট নাযিল হয়।
ইহার উপর আছে উনিশ
সূরা মুদ্‌দাসসির এর ৩০ নং আয়াত নাযীল করে জিব্রাইল কিছুক্ষণ নীরব থাকেন এবং এই সুরার বাকী ১৪ টি আয়াত নাযিল না করে তিনি চলে যান সেই সুরা আল-আলাকে, যার ১ম ৫টি আয়াত সর্বপ্রথম নাযিল করা হয়েছিল। সুরা আল-আলাকে বাকী ১৪টি আয়াত এই সময় নাযিল করা হয়, তাহলে প্রথমে নাযিল করা সুরাটিতে আয়াত সংখ্যা হল (৫+১৪=১৯) ।
  • মুহাম্মদ (সা) এর ওপর প্রথম নাযিল হয় আল-আলাকের ১ম ৫টি আয়াত গণনায় দেখা যাবে যে তার শব্দ সংখ্যা ১৯।
  • ১৯ টি শব্দের অক্ষর গুলোর যোগফল ৭৬ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
  • সুরা আল-আলাক কুরআন শরীফের পিছন দিক দিয়ে ১৯ নং সুরা।
  • মুহাম্মদ (সা) এর ওপর সর্বশেষ নাযিল হওয়া সুরা নাসর যার শব্দ সংখ্যা ১৯।
  • কুরআন শরীফের মোট সুরা সংখ্যা ১১৪ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
  • কুরআন শরীফের ১ম বাক্য বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম যাতে মোট অক্ষর সংখ্যা ১৯।
  • "বিসমি" কুরআনে মোট ১৯ বার উল্লেখ করা আছে।
  • পরবর্তি শব্দ "আল্লাহ" উল্লেখ আছে ২৬৯৮ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। এতে ভুল রয়েছে আসলে আল্লাহ শব্দটি আছে ২৬৯৯ যার ১৯ দিয়ে ভাগ করলে ভাগশেষ এক থাকে
  • কুরাআনে রব শব্দ ৯৭০ বার আছে যা ১৯ দারা ভাগ করলে ১ অবশিষ্ট থাকে।  
  • কুরআনে ইলাহ শব্দ ৯৬ বার আছে যা ১৯ দারা ভাগ করলেও ১ অবশিষ্ট থাকে।
  • পরের শব্দ "রাহমান" আছে ৫৭ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য
  • পরের শব্দ "রাহীম" আছে মোট ১১৪ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। এটাও ভুল প্রমানিত হয়েছে রাহিম শব্দ ১১৫ বার আছে যা ১৯ দিয়ে ভাগ করলেও ১ অবশিষ্ট থাকে।
  • সুরা ফাতিহা পড়লে ঠেট ১৯ বার এক জায়গায় হয় ।

সাততেতৈয়া

শরিয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারফত কাকে বলে? বিস্তারিত?

পবিত্র কুরআন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।

হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-বড় পীর এর জীবনী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

তাজবীদ

জামে মসজিদ নীতিমালা