বন্দিনীদের যৌন দাসী বানাতে ফতোয়া আইএস-এর
আইএস
অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্দি করে নিয়ে আসা মহিলাদের সঙ্গে ঠিক কী রকম আচরণ
করা হবে, তা নিয়ে বহু দিন ধরেই চর্চা চলছে আইএস-এ। সেই সব বন্দিনীদের উপর নিয়মিত
যৌন নির্যাতন চালায় আইএস জঙ্গিরা, এমন অভিযোগও বহু বার উঠেছে। আইএস-এর হাত থেকে
পালিয়ে এসেছেন যে সব মহিলা, তাঁরাই বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন সে
কথা।
সম্প্রতি
আইএস-এর কিছু গোপন নথিপত্র হাতে এসেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্সের হাতে। সেখান থেকেই
জানা গিয়েছে যে, কখন এবং কী ভাবে বন্দিনীদের যৌন দাসী বানানো উচিত তার বিস্তারিত
ধর্মীয় ব্যাখ্যা দিয়ে একটি ফতোয়া জারি করা হয়েছে আইএস-এর নীতি-নির্ধারকদের পক্ষ
থেকে।
নানা
রকম বিকৃত যুক্তি ও ইতিহাস উদ্ধৃত করে সেখানে বলা রয়েছে কেন বন্দিনীদের সঙ্গে জোর
করে শারীরিক সংসর্গ করা উচিত জিহাদিদের। যেমন, বলা হয়েছে যে, কোনও বন্দিনী দাসীর
যদি দু’জন মালিক থাকে, তবে দু’জনেই তাকে যৌনতার জন্য ব্যবহার করতে পারে। তবে
একাধিক বিধি-নিষেধের ভড়ংও রয়েছে ওই নির্দেশনামায়।
বলা
হয়েছে যে, বাবা এবং ছেলে একই দাসীর সঙ্গে যৌন সংসর্গ করতে পারবে না। আবার মা ও
মেয়ে দু’জনেরই মালিক যদি হয়ে থাকে একজন, তবে সে একসঙ্গে দু’জনকেই যৌনদাসী বানাতে
পারবে না।