বার কোডের মতো পবিত্র কুরআন শরীফের কোড হচ্ছে এই ১৪ টি হরফ


১.الف  ২.ح    ৩.ر  ৪.س  ৫.ص  ৬.ط  ৭. ع  ৮. ق  ৯. ك  ১০. ل  ১১. م  ১২. ن  ১৩. ه  ১৪. ى 

সুরা আল-বাক্বারা কোরানের সবচেয়ে বড় সুরা। এতে ২৮৬টি আয়াত রয়েছে। রসুল সঃ এর মদীনা জীবনে অবতীর্ণ বলে একে মাদানী সুরা বলাহয়। স্মরণ করা যেতে পারে, রসুল সঃ এর আবাসের উপর ভিত্তি করে, কোরানের সুরাগুলিকে মক্কি ও মাদানী নামে বিশেষীত করা হয়েছে। যদিও এ নিয়মের কিছু ব্যাতিক্রম ও আছে। যেমন, ৪৮ নং আয়াতটি দশম হীজরীতে বিদায় হজ্জের সময় আরাফাতের ময়দানে রসুলের অবস্থান কালে অবতীর্ণ হয়, শেষের বিখ্যাত দোয়ার আয়াত দুটি (২৮৫,২৮৬) মেরাজের রাতে রসুল সঃ আসমানে ভ্রমন কালে পেয়েছিলেন বলে বলা হয়েছে। রসুল সঃ বলেছেন;- “লে কুল্লে শাইঈন সানামুন” অর্থাৎ প্রতিটি জিনিষের একটি শিখর বা শ্রেষ্ঠাংশ রয়েছে। সুরা বাক্বারা, কোরানের সেই শিখর। বিখ্যাত আয়াতুল কূরসী আয়াতটি এ সুরাতেই অবস্থিত। এই সুরায় ৪০টি রুকু আছে। আলোচনার বিষয় বস্তুর ভিত্তিতে সুরাটিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমাংশে ১৮ রুকু, আয়াত সংখ্যা ১৫২। এই অংশে সাবেকা উম্মত মোহাম্মদী সঃ অর্থাৎ মোহাম্মদ সঃ এর পূর্ববর্ত্তী উম্মতগনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আবার উক্ত ১৮ রুকুকে তিন ভাগ করা হয়েছে,যথা;-৪+১০+৪। প্রথম চার রুকুতে রসুল সঃ এর মক্কাজীবনে অবতীর্ণ, মক্কী কোরানের সারাংশ বর্ণনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য ১২/১৩ বছরের মক্কাবাসে পবিত্র কোরানের ২/৩ অংশ নাজিল হয়েগিয়েছিল। পরবর্ত্তী ১০ রুকুতে সাবেকা উম্মত, ইহুদী-নাসারা গনের প্রতি আল্লার বদান্নতা ও তার প্রতিদানের আলোচনা করা হয়েছে। প্রথম রুকুতে আল্লাহ অতি নরম সুরে, মোহাম্মদের সঃ উপর ইমান আনার আহবান করেছেন ও পরের ৯ রুকুতে কঠোর স্বরে আল্লাহর অবদানের প্রতি অকৃতজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। অবশিষ্ট ৪ রুকুতে, নূতন উম্মত, উম্মতে মোহাম্মীদর সঃ স্বীকৃতি দান ও আলামত স্বরূপ বাইতুল মোকাদ্দসের বদলে ক্বাবাকে কেবলার ঘোষনা করা হয়েছে। দ্বতীয়াংশে ২২ রুকু, আয়াত ১৩৪। প্রথম অংশে রুকু কম,আয়াত বেশী। দ্বতীয় অংশে, রুকু বেশী আয়াত কম। এ ভাবেই সমতা বজায় রাখা হয়েছে।
সুরা বাক্বারার প্রথম আয়াতটি তিনটি হরফেই সম্পন্ন হয়েছে। এই হরফ গুলোকে হরফে মোকাত্তায়াত বলাহয়। আরবী বর্ণমালায় ২৯টি মতভেদে ২৮টি হরফ রয়েছে। আবার পবিত্র কোরানের ১১৪টি সুরার মধ্যে ২৯টি সুরায় হরফে মোকত্তায়াত রয়েছে। বর্ণ মালার হরফগুলির তিন ভাগের প্রথম ভাগ হতে অল্প সংখ্যক হরফ মোকাত্তায়াতে ব্যবহৃত হয়েছে। মধ্যম ভাগের নোকতা বিহীন কিছু ও শেষ ভাগের প্রায় সব হরফ গুলোই মোকাত্তায়াত রূপে ব্যবহার করা হয়েছে। কোন কোন সুরায় মাত্র একটি আবার কোন সুরায় ৫টি হরফ ও হরফে মোকাত্তায়াত রূপে দেখা যায়। হরফে মোকাত্তায়াত হরকত বিহীন পড়তে হয়। এ গুলির অর্থ, তথ্য বা মাহাত্ব একমাত্র আল্লাহ ও তার রসুলই জানেন। হরফে মোকাত্তায়াত বিশিষ্ট আয়াতগুলি আয়াতে মোতাশাবেহাতের অন্তর্ভুক্ত। সুরা বাক্বারার হরফে মোকাত্তায়াত-ত আলিফ লাম মীম, এর ব্যাপারে, সাহাবী হজরত আব্দুল্লা ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, এটা আনাল্লাহু আ-লামো বাক্যটির সংক্ষেপীত রূপ। প্রথম শব্দ-আনা’র প্রথম হরফ আলিফ, মাঝের শব্দ আল্লাহ’র মাঝের হরফ লাম ও শেষের শব্দ আ-লামো’র শেষের হরফ মীম। সংক্ষেপে আলিফ লাম মীম। বাক্যটির অর্থ;- “আমি আল্লাহ অধিক জানি”। যদিও উক্ত সাহাবীকে হীবরুল উম্মত বলা হয়, কিন্তু তাঁর এ মত গ্রহন যোগ্যতা পায় নাই। বাস্তবিকই আল্লাহই অধিক জানেন। আমরা জেনেছি রসুল সঃ কোরানকে সাতটি মঞ্জিলে ভাগ করেছেন। সুরা বাক্বারার সাথে পবিত্র কোরানের প্রথম মঞ্জিল শুরু হল। সেই সঙ্গে শুরুহল মক্কী ও মাদানী সুরার মিলিত গ্রুপ। প্রথম মঞ্জিলে তিনটি সুরা এবং প্রথম গ্রুপে চারটি মাদানী ও একটি মক্কী সুরা (আল ফাতেহা )রয়েছে। বিষয়ের সামঞ্জস্যতার পরিপ্রেক্ষিতে পবিত্র কোরানের সুরাগুলি জোড়ায় জোড়ায় পরিলক্ষিত হয়।
সুরা আলবাক্বারা ও সুরা আল ইমরান প্রথম জো
ড়া। এ জোড়াটিকে রসুল সঃ ‘আজজাহরাওয়াইন’ ,জ্যোতিস্মান সুরাদ্বয় নামে আখ্যায়ীত করেছেন।
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
১/
الم অর্থাৎ;-(হরফে মুকাত্তায়াত অর্থ অজানা)
ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
অর্থাৎ; এই সেই কিতাব(গ্রন্থ) যাতে কোন সন্দেহ নেই এতে রয়েছ মুত্তাকীগনের পথ নির্দেশনা। জালিকা শব্দ দ্বারা দূরবর্ত্তী কিছুকে নির্দেশ করা হয়। এখানে দুইটি বিষয়ের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করা হচ্ছে, প্রথমতঃ সুরা ফাতেহায় প্র্রার্থীত সীরাতাল মুস্তাকীমই এই কিতাব এতে কোন সন্দেহ নেই। দ্বিতীয়তঃ-এই সেই কিতাব,যার বর্ণনা তাওরাত ও ইঞ্জীলে রয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। মুত্তাকীগনকে এই কিতাব পথ দেখাবে। মুত্তাকী একটি চারিত্রীক বৈশিষ্ট। যার ব্যাখ্যা পরের আয়াতগুলোতে দেওয়া হয়েছে। কোরানের অনেক আয়াতের ব্যাখ্যা অন্য আয়াতে করা হয়ে থাকে।
৩/
الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ
৪/
والَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِالآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ
৫/
والَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِالآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ
অর্থাৎ;- যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, নামাজ কায়েম করে, আর আমার দেওয়া রিজিক্ব হতে খরচ করে। আর যারা বিশ্বাস করে আপনার উপর যা নাজিল করা হয়েছে ও আপনার পুর্ববর্ত্তীগনের উপর যা নাজিল করা হয়েছে, এবং আখেরাতের উপর দৃঢ় বিশ্বাস করে। তারাই আছে রব প্রদত্ত হেদায়েতের উপর আর তারাই হল সফলকাম। অন্তরে আল্লার ভয় ভীতি সহকারে সমস্ত অন্যায় ও গর্হীত কাজকে পাশকাটিয়ে চলাই তাকওয়া। মুত্তাকী তিনিই যার তাকওয়া আছে, যিনি অদৃশ্যে বিশ্বাস বা ইমান রাখেন, (পঞ্চ ইন্দ্রীয় গ্রাহ্য বস্তুর উপর বিশ্বাস করাকে ইমান বলেনা অদৃশ্য বস্তুতে বিশ্বাসই প্রকৃত ইমান। ইমান অন্তরে আরম্ভ হয়, আমলে পৌঁছে তা পূর্ণতা লাভ করে। অপর পক্ষে ইসলাম আমল থেকে আরম্ভ হয়ে, অন্তরে পৌঁছে তা পূর্ণতা লাভ করে। ইমান আমলে প্রকাশ নাহলে গ্রহন যোগ্য হয়না তেমনই ইসলাম বা আনুগত্য বিশ্বাস বিহীন হলে গ্রহন যোগ্য হয়না)। যিনি যথা নিয়মে, সঠিক ভাবে নামাজ আদায় করেন ও নামাজের ধারা ভংগ করেন না। আল্লার দেওয়া ধন সম্পদ হতে খরচ করেন। এখানে ইনফাক শব্দ দ্বারা অতিরিক্ত বা নফল খরচের কথা বলা হয়েছে। আবার মিম্মা শব্দ দ্বারা নিঃস্য না হওয়ার ইঙ্গীত করা হয়েছে।(কোরানে আবশ্যিক খরচের কথা জাকাত শব্দ দ্বারা বলা হয়েছে)।যিনি হজরত মোহাম্মদ সঃ এর উপর নাজিলকৃত কিতাব বা কোরানের উপর বিশ্বাস করেন, সাথে সাথে পূর্বের নবী রসুলগনের উপর নাজিলকৃত কিতাব বা যবুর, তাওরাত ইনজীলের উপরেও বিশ্বাস করেন। স্মরণ যোগ্য যে পূর্ব বর্ত্তী কিতাব সমুহের যে সব হুকুম আহকাম পবিত্র কোরান দ্বারা রহিত বা মনসূখ হয়েছে তা বাদ দিতে হবে। মনে রাখা দরকার পবিত্র কোরানে যে সমস্ত নবী রসুল গনের উল্লেখ আছে, তার পরম্পরা কোরানে নেই, তাওরাতে তা বিদ্যমান। যিনি আখেরাত বা পরবর্ত্তী জীবনের উপর দৃঢ় বিশ্বাস করেন। বিশ্বাসের অন্যান্ন বিষয় গুলি ইমান শব্দ দ্বারা ও আখেরাতের কথা ইক্বান শব্দ দ্বারা বলা হয়েছে। রসুল সঃ বলেছেন;- “আদদুনিয়ায়ু খুলেকা লাকুম অ আনতুম লিল আখেরাহ। অর্থাৎ;-তোমাদের জন্য দুনিয়া বানানো হয়েছে, আর তোমাদের বানানো হয়েছে আখেরাতের জন্য। চরিত্রের এই সমস্ত গুনাবলী যাদের আছে, তারাই মুত্তাকী। পঞ্চম আয়াত দ্বারা আল্লাহ এদেরই সফলকাম বলে ঘোষনা দিয়েছেন। ওসুলে সওয়াব বা ইসালে সওয়াবের নিমিত্ত কোরান পঠন বা যত্ন সহকারে ঘরে কোরান রক্ষন করলেই কোরানের হেদায়েত পাওয়া যায়না। কোরানের হেদায়েত প্রাপ্তির জন্য কোরানের প্রদর্শিত নীতি জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগ করতেই হবে। উপরোক্ত পাঁচটি আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর কথা স্মরন করিয়ে দিচ্ছেন, যারা মক্কায় সমূহ সংকটময় অবস্থায় অবস্থান করেও দ্বিধাহীন চিত্তে আল্লাহ ও তার রসুলের উপর ইমান এনেছেন, অত্যাচারীত হয়েও অটল থেকেছেন, সহায় সম্পদ, আত্মীয় সজ্বন, প্রীয়জন ছেড়ে মদীনায় হীজরত করতে বাধ্য হয়েছেন। এরাই শাজারায়ে কোরানের (কোরান বৃক্ষ) চাক্ষুষ ফল ফসল। আবু বকর, ওসমান, ওমর, আলী হায়দর, বিলাল, মোসহাফ। রাজি আল্লাহু আনহুম।


আপনি জানেন কি?
আমাদের পবিত্র কোরআন অকল্পনীয় জটিল গাণিতিক প্যাটার্ন
সহকারে সৃষ্টি! যার একটি হলো ১৯ এর প্রকৌশল।
এই ১৯ এর প্রকৌশল এর দিকে নজর দিলে হতভম্ব হয়ে যাবার মত কথাবার্তা সামনে আসবে।যার দরুণ মানব মস্তিষ্ক কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে যায় এবং হৃদয়ের অজান্তে বলে উঠে যে, এই কিতাব...এই কুরআন কোন মানুষের বাণী নয় বরং ইহা রহমান, রহিম, এই দুনিয়ার মালিকের বাণী। কিছু ব্যাখ্যা পেশ করা হলো -
মহান আল্লাহ্ সুরা মুদ্দাসসিরে উল্লেখ করেছেন, জাহান্নামে পাহারাদার আছে ১৯ জন।
আবার গবেষনা করে দেখা যাচ্ছে, কুর’আন শরিফে ঘুরে ফিরে বিভিন্ন
হিসাব নিকাশে রহস্যজনকভাবে বার বার ১৯ সংখ্যাটি চলে আসছে। সেই হিসাবটাই দেখানো হবে।
সূরা ১১৪টি। ১৯ X ৬ = ১১৪ ( অর্থাৎ ১১৪ সংখ্যাটি ১৯ এর গুনিতক বা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য)
সবগুলো সূরার নম্বর
যোগ করলে ( ১+২+৩+৪+
+১১৪)
দাঁড়ায় ৬৫৫৫। ১৯X৩৪৫ = ৬৫৫৫
( অর্থাৎ ৬৫৫৫ সংখ্যাটিও ১৯ দ্বারা বিভাজ্য)
আল্লাহ
শব্দটি কুর’আনে আছে ২৬৯৮
বার। ১৯X১৪২= ২৬৯৮ ( অর্থাৎ ২৬৯৮ সংখ্যাটিও ১৯ দ্বারা বিভাজ্য)
(কী? অবাক হচ্ছেন? মনের মদ্ধে শয়তান কি কিছু বলতে চাচ্ছে? কাকতালীও? আজকে শয়তান পালানোর রাস্তাই পাবে না। ইনশাআল্লাহ। সবে তো সুরু!)
১ম যে সূরাটি নাযিল
হয়েছিল সেটি ছিল ৯৬
নম্বর সূরা, সূরা আলাক।
শেষের দিক
থেকে গুনলে এটি ১৯ নম্বর
সূরা।
প্রথম নাযিল হয়েছিল
সূরা আলাকের ১-৫ আয়াত।
প্রথম ৫টি আয়াতে মোট
শব্দ ১৯টি। ১ম
৫টি আয়াতে মোট অক্ষর
৭৬টি (১৯X৪= ৭৬).
সূরা আলাক-এ মোট আয়াত
১৯টি আর মোট শব্দ ২৮৫ টি।
১৯X১৫=২৮৫
শেষ সূরা নাযিল
হয়েছে সূরা আন-নাস্র।
মোট শব্দ ১৯টি। সূরা নাস্র এর প্রথম
আয়াতে আল্লাহর
সাহায্যের
কথা বলা হয়েছে।
আয়াতে মোট অক্ষর ১৯টি।
বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহীম লিখতে মোট ১৯ টা অক্ষর লাগে।
শব্দ লাগে ৪টি:
প্রতিটি শব্দ যতবার আল কুরআনে এসেছে তা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য ।
প্রথম শব্দ অর্থাৎ "বিসমি" আল কুরআনে ১৯ বার এসেছে।
দ্বিতীয় শব্দ "আল্লাহ" আল কুরআনে ২৬৯৮ বার এসেছে। যা ১৯ দ্বারা পুরোপুরি বিভাজ্য:
(ভাগের উদাহরণ ২৬৯৮ ÷ ১৯ = ১৪২)
তৃতীয় শব্দ
ﺍﻟﺮ ﺣﻤﻦ ৫৭ বার এসেছে যা ১৯ দ্বারা পূর্ণভাবে বিভাজ্য।( ভাগের উদাহরণ ৫৭ ÷ ১৯ = ৩)
চতুর্থ শব্দ
ﺍﻟﺮ ﺣﻤﻦ ১১৪ বার এসেছে, যা ১৯ দ্বারা পুরোপুরি বিভাজ্য।
(ভাগের উদাহরণ ১১৪ ÷ ১৯ = ৬)
(গুনের উদাহরণ ১৯ × ৬ = ১১৪)
চিন্তা করুন চার শব্দের সংখ্যাই ১৯ দ্বারা পুরোপুরি বিভাজ্য। এ ধরনের হওয়া কোনো সাধারণ বিষয় নয় । এবং "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" পুরা আয়াতটিও সম্পুর্ণ কোরআনে ১১৪ বার এসেছে। ( আল্লাহু আকবার। আল্লাহু আকবার। আমিই ভাষা হারিয়ে ফেলছি!)
. আল কুরআনে ২৯টি সূরার শুরু হরফ দ্বারা হয়েছে অর্থাৎ হরুফে মুকাত্তায়াত দ্বারা হয়েছে। যেমন ইয়া-সিন, আলিফ-লাম-মিম, হা-মিম ইত্যাদি। যেগুলোর অর্থ হযরত মুহাম্মাদ (স) ও আমাদের বলে যান নি। তবে ১৯ এর প্রকৌশলে সুরাগুলোতে এই হরফগুলার ভুমিকা জানলে আপনি হতভম্ভ হবেন।
যে সকল সূরার সুরুতে এক অক্ষরের হরফে মুকাত্তায়াত ( যেমনঃ কাফ, নুন ইত্যাদি)। এ সূরা গুলোর মধ্যে সংশ্লিষ্ট অক্ষরটি ১৯ এর গুনিতক সংখ্যক রয়েছে।
যেমনঃ
(ক)হরফে মুকাত্তায়াত এর মধ্যে
নিন। এই হরফ দুই সূরার প্রথমে এসেছে, অর্থাৎ সূরা `কাফ' এবং সূরা শুরা ﺣﻤﻌﺴﻖ এর আকারে। এগুলোর প্রতিটি সূরায় হরফটি ৫৭ বার এসেছে, যা ১৯ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য ।
ভাগের উদাহরণ : ৫৭ ÷ ১৯ = ৩
সূরা `কাফ' ও
হরফটি ৫৭বার এসেছে এবং ﺣﻢ ﻋﺼﻖ সূরার মধ্যেও হরফটি ৫৭ বার এসেছে, যদিও শেষোক্ত সুরাটি অনেক দীর্ঘ ।
(খ) সূরা আল কলম এর শুরুতে
হরফ এসেছে এ সূরায় হরফটি ১৩৩ বার এসেছে। যা ১৯ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য।
ভাগের উদাহরণ : ১৩৩ ÷ ১৯ = ৭
যে সকল সূরার প্রারম্ভে দুই অক্ষরের হরফে মুকাত্তায়াত দ্বারা হয়। এ সূরা গুলোর মধ্যে প্রতিটি হরফ পৃথক পৃথক জমা করা যায়, তাহলে এর সমষ্টি ১৯ দ্বারা নিঃশেষে ভাগ হবে। যেমনঃ
(ক) সূরা ইয়াসিনে
এবং দিয়ে শুরু। সুরায় আছে ২৩৭ বার এবং আছে ৪৮ বার এবং উভয়ের সমষ্টি ২৮৫ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য ।
ভাগের উদাহরণ : ২৮৫ ÷ ১৯ = ১৫
(খ) সূরা
ﻃﻪ ? এর মধ্যে দু হরফ এবং আছে। এ সূরায় অক্ষরটি ২৮বার এবং ৩১৪ বার এসেছে এবং উভয়ের সমষ্টি ৩৪২ যা ১৯ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য ।
ভাগের উদাহরণ : ৩৪২ ÷ ১৯ = ১৮
(আপনি Google এ কোরআনে ১৯ এর প্রকোশল লিখে সার্চ করে শিখে নেবেন কষ্ট করে।
সমার্থক আর বিপরীত শব্দঃ
পুরো কুর’আনে আল্লাহ্ বিশেষ
বিশেষ কতগুলো শব্দ রীপিট
করেছেন।
মাঝে মাঝে বিপরীত শব্দ
ব্যবহার করেছেন। আসুন একটু
হিসাব করে দেখা যাক।
দিন ( Yawm)
শব্দটি কুর’আনে আছে ৩৬৫ বার।
দিনের বহুবচন হচ্ছে Ayyam আর
Yawmayn. বহুবচন দুটি মোট
এসেছে ৩০ বার। মাস
শব্দটি ( Shahar) এসেছে ১২
বার। কোন মিল পাচ্ছেন ?
একবচন, বহুবচন ও সব
মিলিয়ে “দিন”
কথাটি এসেছে মোট ৪৭৫ বার।
১৯X২৫= ৪৭৫.
আরো একটি ব্যাপার লক্ষনীয়
যে, সূর্য নিজের অক্ষের উপর
একবার পুরো ঘুরতে সময় নেয় ২৫
দিন।
পৃথিবী ( Dunya) আর পরকাল
( akhirah) দুটি শব্দ আছে ১১৫
বার করে।
সাত আসমান ( Seven heavens/
Sab’a Samawati) এর
কথা বলা আছে ঠিক ৭ বার।
বিশ্বাস ( Imaan) আর
অবিশ্বাস ( Kuf’r) দুইটি শব্দই
এসেছে ২৫ বার করে।
জান্নাত আর জাহান্নাম
দুটি শব্দ এসেছে ৭৭ বার করে।
শয়তান শব্দটি এসেছে ৮৮
বার।
বিপরীতে ফেরেশতা( মালা’ইকা)
এসেছে ৮৮ বার।
পুরুষ ও নারী দুটি শব্দই
কুর’আনে এসেছে ২৩ বার
করে। মানুষের ক্রোমোজম
সংখ্যা হচ্ছে ৪৬. বাবা ও
মা উভয়ের কাছ থেকে ২৩
টি করে ক্রোমোজম
নিয়ে একটি সন্তান তৈরী হয়।
সূর্য ( শামস) আর আলো (নূর)
দুটি শব্দ এসেছে ৩৩ বার করে।
পূন্যবান ( আল-আবরার)
এসেছে ৬ বার।
পাপী ( ফুজ্জার) এসেছে ৩
বার। আল্লাহ সব সময় শাস্তির
তুলনায় পুরস্কারের পরিমান
দ্বিগুণ করে দিবেন বলেছেন।
ঠিক একইভাবে ‘আযাব’
শব্দটি যতবার এসেছে, ‘সওয়াব”
তার দ্বিগুণ এসেছে। অর্থাৎ
আযাব ১১৭ বার, সওয়াব ২৩৪ বার।
যেমন কাজ করা হয়, তেমন ফল
পাওয়া যায়। আল্লাহ্
এইগুলোকেও সমান সমান
করে বলেছেন। যাকাত
দিলে বরকত হয়। তাই যাকাত
শব্দটি এসেছে ৩২ বার, বরকত
এসেছে ৩২ বার। “গাছের
চারা উৎপাদন” করলে “গাছ” হয়,
তাই দুটি শব্দ এসেছে ২৬ বার
করে। কোন মানুষ হেদায়াত
পেলে তার প্রতি রহমত বর্ষিত
হয়, তাই এ দুটো শব্দ এসেছে ৭৯
বার করে।
আব্দ মানে দাসত্ব, আর আবীদ
মানে দাস। দাসের কাজ
দাসত্ব করা, তাই দুটি শব্দই
এসেছে ১৫২ বার করে।
“নেশা” করলে “মাতাল” হয়,
তাই দুটি শব্দই এসেছে ৬ বার
করে।
সূরা আ’রাফের একটি আয়াত
হল
“যারা আমার সুস্পষ্ট
আয়াতসমূহকে অস্বীকার
করে তাদের উদাহরন
হচ্ছে কুকুরের মতন” ।
“”যারা আমার সুস্পষ্ট
আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে”
এই বাক্যটি কুর’আনে আছে ৫
বার। যেহেতু তাদের উদাহরন
কুকুরের সাথে, তাই কুকুর “আল
কালব” কথাটিও এসেছে ৫ বার।
“মানুষ’ ( Insaan)
কথাটি এসেছে ৬৫ বার। আর
মানুষ বানানোর
উপকরনগুলো আলাদা আলাদা করে বিভিন্ন
সূরায় বলা হয়েছে। মানুষ
বানানোর
উপকরনগুলো আলাদা আলাদা করে যদি দেখা হয়
যে কোনটি কতবার এসেছে-
Soil (turab) = 17
Drop of Sperm (nutfah)= 12
Embryo (‘alaq) =6
A half formed lump of flesh
(mudghah)= 3
Bone (‘idham) =15
Flesh (lahm) =12
সবগুলো যোগ করলে আসে ঠিক
৬৫।
এটা একটু কঠিন। কুর’আনে "ভুমি"
কথাটি এসেছে ১৩ বার। " সমুদ্র"
কথাটি এসেছে ৩২ বার। যোগ
করলে হয় ৪৫। এখন যদি সংখ্যা দুটির অনুপাত বের করি।
{(১৩X১০০) /৪৫ } = ২৮.৮৮৮৮৮৮৮৮৮৮৮৯ %
( এগারটি ৮, একটি ৯ )
আবার,
{(৩২X১০০) / ৪৫}= ৭১.১১১১১১১১১১১১ ( বারটি ১)
আপনি বুঝতে পারছেন ২৮.৮৮ এবং ৭১.১১ সংখ্যা দুটি
কী বোঝাচ্ছে? নিজেকে শান্ত রাখুন।
এটা বর্তমান পৃথিবীতে জল ও
স্থলের শতকরা অনুপাতের হুবহু এই একই। (আল্লাহু আকবার। আল্লাহু আকবার।আল্লাহু আকবার)
নবী ঈসা(আ) ও নবী আদম (আ)
এর তুলনা-
সূরা আলে ইমরান। আয়াত ৫৯.
আল্লাহ বলেছেন- “আল্লাহর
কাছে ঈসার
তুলনা হচ্ছে আদমের মতো” ।
আসুন ব্যাখ্যা করি। নবী ঈসা(আ)
ও নবী আদম(আ) কেউই মানুষের
মাধ্যমে জন্ম নেননি । আদম (আ)
কে আল্লাহ্ বাবা-
মা ছাড়া তৈরী করেছিলেন,
ঈসা (আ)
কে বাবা ছাড়া তৈরী করেছিলেন।
কুর’আনে “আদম” ও “ঈসা”
দুইটি নাম এসেছে ২৫ বার
করে। যেহেতু আল্লাহ
বলেছেন, এনাদের তুলনা তাঁর
কাছে একই রকম, তাই এদের
নামের সংখ্যাও এক
রাখা হয়েছে।
এখানেই শেষ হয়নি,
আরো আছে।
সুরা ইমরান, আয়াত ৫৯ একমাত্র
আয়াত
যেখানে তাঁদের দুইজনের
নাম একিসাথে উল্লেখ
করা হয়েছে। প্রথম
থেকে গোনা হলে এই
আয়াতটিতে ৭ম বার এই
নামদুটি ব্যবহার করা হচ্ছে। নিচ
থেকে গোনা হলে এই
আয়াতটিতে ১৯ তম বার এই
নামদুটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
আবারো সেই ১৯.
আপনি গুনে দেখতে পারেন।
এখনো শেষ হয়নি। উপর
থেকে আবার গোনা হলে এই
নামদুটি ১৯ তম বার ব্যবহার
হয়েছে সূরা নম্বর ১৯ এ
( সূরা মারইয়াম,) . এই
সূরায় “ঈসা”
নামটি এসেছে আয়াত ৩৪ এ,
আর “আদম”
নামটি এসেছে আয়াত ৫৮ তে।
আয়াত ৩৪ থেকে গোনা শুরু
করলে আয়াত ৫৮ হচ্ছে ২৫ তম
আয়াত। আর এদের দুইজনের নাম
কুর’আন এ এসেছে ঠিক ২৫ বার
করে। সেকারনেই ঈসা(আ) এর
তুলনা হচ্ছে আদম(আ) এর মতন।
কুর’আনে ৭০ বার “That
day” ( Yawma Izin)
বাক্যাংশটি এসেছে। সেই
দিনটি হচ্ছে কেয়ামতের দিন,
তাই “The day of
ressurection” ( Yawmal Qiyama)
কথাটিও এসেছে ৭০ বার।
সালাহ ( Salah)
হচ্ছে নামাজের একবচন।
সালাহ শব্দটি এসেছে ৮৩ বার।
নামাজের বহুবচন
হচ্ছে “সালাওয়াত” ( Salawat).
দিনে নামাজ পড়তে হয় ৫ বার।
তাই সালাওয়াত শব্দটিও
পুরো কুর’আনে এসেছে ঠিক ৫
বার।
জিহবা ( Tongue)
দিয়ে উপদেশ ( Advice)
দেওয়া হয়। দুটি শব্দই
এসেছে ২৫ বার করে।
*****(পর্ব-৩)*****
সূরার সাথে আয়াত এবং শব্দের
সম্পর্কঃ
সূরা আল- কাহফ,
সুরা নম্বর ১৮. এই সুরাটির
নামই হচ্ছে “গুহা” .
এখানে কয়েকজন যুবকের
একটা ঘটনা আছে।
ঘটনাটা এরকম যে, কয়েকজন
বিশ্বাসী যুবক পাহাড়ের
গুহায় আশ্রয় নেয় ও
আল্লাহর কাছে সাহায্য
চায়। আল্লাহ
তাদেরকে ৩০৯ বছরের জন্য
ঘুম পাড়িয়ে রাখেন।
এখানে ৯ নম্বর আয়াত
থেকে গুহাবাসীদের
ঘটনাটা শুরু
হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ২৫
নম্বর আয়াতে।
আয়াত ৯-
আপনি কি ধারণা করেন যে,
গুহা ও গর্তের
অধিবাসীরা আমার
নিদর্শনাবলীর
মধ্যে বিস্ময়কর ছিল ?
আয়াত ২৫- তারা তাদের
গুহায় অবস্থান করেছিল
৩০০ বছর, সাথে আরো ৯ বছর।
আসুন এবার দেখা যাক।
আয়াত ৯ থেকে আয়াত ২৫
পর্যন্ত প্রত্যেকটি শব্দ
সিলেক্ট
করে যদি গোনা হয়,
দেখা যায় এখানে ঠিক ৩০৯
টি শব্দই আছে।
কুর’আনের অনেক সূরার
শুরুতেই কয়েকটি করে শব্দ
আছে, যেমন- আলিফ লাম
মীম, ইয়া সীন
ইত্যাদি।
আসুন দেখা যাক এদের
মধ্যে কোন প্যাটার্ন
আছে কিনা।
সূরা আন- নামল। ২৭ নম্বর
সূরা। মোট আয়াত আছে ৯৩
টি । এই সূরাটি শুরু
হয়েছে দুটী শব্দ দিয়ে

ত্ব, সীন (
) । এই সূরাটির
বৈশিষ্ট্য হল এটার
সবগুলো আয়াত ও শব্দের
মধ্যে-
ত্ব (
) আছে- ২৭ বার
সীন (
) আছে ৯৩ বার।
এবার চিন্তা করুন। ২৭
নম্বর সূরা। আয়াত ৯৩ টি।
শুরু
হয়েছে যে দুটি অক্ষর
দিয়ে সে দুটি অক্ষর
এসেছে ২৭ বার ও ৯৩ বার।
সূরা ইয়া-সীন। প্রথম
আয়াত হচ্ছে “ইয়া-সীন”. এই
সূরায় ইয়া অক্ষর আছে ২৩৭
বার, সীন ৪৮ বার। যোগ
করলে হয় ২৮৫ বার। ১৯X১৫ =
২৮৫. আবার সেই ১৯।
সূরা বাকারা। ২ নম্বর
সূরা। মোট আয়াত ২৮৬.
আমরা এর ১৪৩ নম্বর
আয়াতটি দেখব।
আয়াত ১৪৩( অংশবিশেষ)

And thus We have made you a
MIDDLE nation
অনুবাদ-
এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায়
করেছি
এটা খেয়াল করলেই
বোঝা যায় যে, ২৮৬ আয়াত
বিশিষ্ট সূরার ঠিক
মাঝখানের
আয়াতটি হচ্ছে এই ১৪৩
নম্বর আয়াত। ২৮৬/২= ১৪৩ .
মনে রাখতে হবে কুর’আন
নাযিল হয়েছিল মৌখিক
ফর্ম এ, এটা কেউ
লিখে রাখত না। আর
সূরা গুলো ছোট ছোট
অংশে নাযিল হোত।
কিভাবে আগে থেকে না লিখে রেখে অনুমান
করা সম্ভব কোন
আয়াতটি হবে সূরার একদম
MIDDLE আয়াত ??
[ ] সূরা নূহ। সূরা নম্বর ৭১ .
মোট আয়াত ২৮.
কয়েকটি হিসাব করা যাক।
আল্লাহ্ কিভাবে নম্বর
প্যাটার্ন সাজান আসুন
দেখি।
* পুরা কুর’আনে “নূহ”
শব্দটি আছে ৪৩ বার।
* ৭১-২৮= ৪৩ ( সূরা নূহ এর
সূরা নম্বর থেকে আয়াত
নম্বর বিয়োগ করলাম)
* “নূহ”
নামটি এসেছে ২৮টি আলাদা আলাদা সূরায়।
* সূরা নূহ ( সূরা ৭১) এর
আগের যে কয়টি সুরায় “নূহ”
শব্দটি নেই, তাদের
সংখ্যা হচ্ছে ৪৩. আর
সূরা নূহ এর পরের
যে কয়টি সুরায় “নূহ”
শব্দটি নেই, তাদের
সংখ্যাও হচ্ছে ৪৩ . আর
নূহ
শব্দটি কুর’আনে এসেছে ঠিক
৪৩ বার।
*****(পর্ব-৪)*****
বৈজ্ঞানিক তথ্যঃ
ভাগ্যিস বিজ্ঞান এতসব আবিষ্কার করেছিল! নইলে জানাই যেত না যে পবিত্র কোরআনে এতকিছু বলা আছে!!!
বিজ্ঞান কিছুদিন আগে জেনেছে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। সূরা ফুরক্বানের ৬১ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
মহাকাশে এরকম স্থান আছে, যেখানে তারকা পতিত হয়। এটা মাত্র কিছুদিন আগে আবিষ্কার করা হয়েছে। এই জায়গাগুলোর নাম দেয়া হয়েছে ব্লাক হোলস। এগুলোতে শুধু নক্ষত্র নয়, যে কোন কিছুই এর কাছাকাছি এলে, এখানে পতিত হতে বাধ্য। সুবহানাল্লহ, এটা এসেছে সূরা ওয়াক্বিয়া আয়াত ৭৬।
বিজ্ঞান মাত্র দুশো বছর আগে জেনেছে
চন্দ্র এবং সূর্য কক্ষ পথে ভেসে চলে... সূরা
আম্বিয়া ৩৩ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে।
সূরা কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪ নং আয়াতে ১৪০০ বছর আগেই জানানো হয়েছে; মানুষের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে মানুষকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। যা আজ প্রমাণিত।
‘ বিগ ব্যাং’ থিওরি আবিষ্কার হয় মাত্র
চল্লিশ বছর আগে। সূরা আম্বিয়া ৩০ নং আয়াতটিতে আল্লাহ বলেছেন ১৪০০ বছর আগে। ৪০ বছর আগেও নাস্তিকরা আয়াতটি গ্রহণ
করতে পারেনি।
পবিত্র কোরআনে অন্তত ১০০০ টি বৈজ্ঞানিক তথ্যমুলক আয়াত
রয়েছে। যা আজকের এবং আগামির বিজ্ঞানিদের চিন্তার খোরাক যোগাবে। আপনি যদি কিছুটা বিজ্ঞানমনা হয়ে থাকেন তাহলে পড়ে ফেলতে পারেন ইসলামিক ফাউন্ডেসন থেকে রচিত " আল-কুরআনে বিজ্ঞান" নামক মহামুল্যবান বইটি। এছাড়াও পড়তে পারেন, ড. মরিস বুকাইলি রচিত নামক ঐতিহাসিক বই "বাইবেল, কোরআন ও বিজ্ঞান"।
আমি সবগুলো গাণিতিক
উদাহরন ও বৈজ্ঞানিক তথ্য এখানে দিতে পারিনি।
কিছু কিছু আছে অত্যান্ত
জটিল। । আমার
কাছে যেগুলো মনে হয়েছে সবাই
বুঝতে পারবে সেগুলো তুলে ধরার
চেষ্টা করেছি মাত্র।
আপনি চাইলে নিজেই
শিখে নিতে পারবেন।
আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা আমাদের ই  

সাততেতৈয়া

শরিয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারফত কাকে বলে? বিস্তারিত?

পবিত্র কুরআন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।

হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-বড় পীর এর জীবনী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

তাজবীদ

জামে মসজিদ নীতিমালা