হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিনঅনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
Hussain M. Ershad - 2.JPG
দশম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
কাজের মেয়াদ
১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০
প্রধানমন্ত্রীআতাউর রহমান খান
মিজানুর রহমান চৌধুরী
মওদুদ আহমেদ
কাজী জাফর আহমেদ
পূর্বসূরীআহসান উদ্দিন চৌধুরী
উত্তরসূরীশাহাবুদ্দিন আহমেদ
সেনাবাহিনী প্রধান
কাজের মেয়াদ
২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ – ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৮৫[১]
রাষ্ট্রপতিজেনারেল জিয়াউর রহমান
পূর্বসূরীজেনারেল জিয়াউর রহমান
উত্তরসূরীজেনারেল আতিকুর রহমান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ (বয়স ৮৮)
দিনহাটাব্রিটিশ ভারত
(বর্তমানে ভারত)
রাজনৈতিক দলজাতীয় পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Command and Staff College
জীবিকামিলিটারি অফিসার (অবসরপ্রাপ্ত) , রাজনীতিবিদ
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্যপাকিস্তান
বাংলাদেশ
সার্ভিস/শাখাপাকিস্তান সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
কার্যকাল পাকিস্তান ১৯৫২–১৯৭১
 বাংলাদেশ ১৯৭৩–১৯৮৫
পদলেফট্যানেন্ট জেনারেল
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ (ফেব্রুয়ারি ১১৯৩০বাংলাদেশের সাবেক সেনা প্রধান, এককালীন প্রধান সামরিক প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি। তিনি জাতীয় পার্টি নামক রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বর্তমানে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) উপদলের নেতা। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন হতে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।

জন্ম ও শৈশব[সম্পাদনা]

ফেব্রুয়ারি ১১৯৩০ তারিখে তিনি রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি রংপুর জেলায় শিক্ষাগ্রহণ করেন এবং ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।[৩]

পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে এরশাদ[সম্পাদনা]

১৯৫২ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯৬০ - ১৯৬২ সালে তিনি চট্টগ্রাম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কেন্দ্রে অ্যাডজুট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি কোয়েটার স্টাফ কলেজ থেকে স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি শিয়ালকোটে ৫৪ ব্রিগেডের মেজর ছিলেন। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি লাভের পর ১৯৬৯ - ১৯৭০ সালে ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর অধিনায়ক ও ১৯৭১ - ১৯৭২ সালে ৭ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় এরশাদ ছুটিতে রংপুর ছিলেন। কিন্তু, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে তিনি পাকিস্তান চলে যান[৪]। পাকিস্তান থেকে আটকে পড়া বাঙালিরা যখন ১৯৭৩ সালে দেশে ফিরে আসে তখন তিনিও প্রত্যাবর্তন করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর সময় আগ্রা ক্যান্টনমেন্টে স্টাফ কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এরশাদ[সম্পাদনা]

পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পর ১৯৭৩ সালে তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অ্যাডজুটান্ট জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১২ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালে তিনি কর্নেল ও ১৯৭৫ সালের জুন মাসে সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি পান। ১৯৭৫ সালের ২৪ অগাস্ট ভারতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় তিনি মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান ও উপসেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। ১৫ অগাস্ট সামরিক অভ্যুত্থানের পর এরশাদ বাংলাদেশের দিল্লি মিশনের মাধ্যমে দেশে ফেরার আকাঙ্ক্ষা জানিয়ে বার্তা পাঠান।[৫]

রাষ্ট্রপতি এরশাদ[সম্পাদনা]

৩০ মে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হবার পর, এরশাদের রাজনৈতিক অভিলাষ প্রকাশ হয়ে পড়ে। ২৪ মার্চ ১৯৮২ সালে এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ সাল নাগাদ তিনি প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেন। ঐ দিন তিনি দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ.এফ.এম আহসানুদ্দিন চৌধুরীর কাছ থেকে নিজের অধিকারে নেন। এরশাদ দেশে উপজেলা পদ্ধতি চালু করেন এবং ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই দলের মনোনয়ন নিয়ে ১৯৮৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জামায়াত এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে যদিও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই নির্বাচন বয়কট করে। সাধারণ নির্বাচনে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে। বিরোধী দলের আন্দোলনের মুখে রাষ্ট্রপতি ৭ ডিসেম্বর ১৯৮৭ সালে এই সংসদ বাতিল করেন। ১৯৮৮ সালের সাধারণ নির্বাচন সকল দল বয়কট করে। এরশাদের স্বৈরাচারের বিরূদ্ধে দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে সকল বিরোধী দল সম্মিলিতভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ১৯৮৬[সম্পাদনা]

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন , ১৯৮৬ (অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ ১৫ অক্টোবর,১৯৮৬) জয়লাভ করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। এ নির্বাচনে ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বাছাই –এ কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাদ না পড়ায় বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ জন। ৪জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১২ জন ছিল।
১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ১২জন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেনঃ ১। জনাব অলিউল ইসলাম চৌধুরী (সুক্কু মিয়া) ২। আলহাজ্ব মাওলানা খায়রুল ইসলাম যশোরী ৩। আলহাজ্ব মেজর (অব) আফসার উদ্দিন ৪। জনাব মুহাম্মদ আনছার আলী ৫। জনাব মওলানা মোহাম্মদুল্লাহ (হাফেজ্জী হুজুর) ৬। জনাব মোহাম্মদ খলিলুর রহমান মজুমদার ৭। জনাব মোঃ আব্দুস সামাদ ৮। জনাব মোঃ জহির খান ৯। লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবঃ) সৈয়দ ফারুক রহমান ১০। সৈয়দ মুনিরুল হুদা চৌধুরী ১১। স্কোঃ লিঃ (অবঃ) মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ১২। জনাব হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ

নব্বইয়ের পরে এরশাদ[সম্পাদনা]

ক্ষমতা হারানোর পর এরশাদ গ্রেফতার হন এবং ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না-আসা পর্যন্ত কারারূদ্ধ থাকেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি কারাগার থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং রংপুরের পাঁচটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। বি.এন.পি সরকার তার বিরুদ্ধে কয়েকটি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। তার মধ্যে কয়েকটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং সাজাপ্রাপ্ত হন। ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনেও তিনি পাঁচটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। ছয় বছর আবরুদ্ধ থাকার পর ৯ জানুয়ারি ১৯৯৭ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান। তার প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি ২০০০ সালে তিনভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে, যার মধ্যে মূল ধারার তিনি চেয়ারম্যান। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর জাতীয় নির্বাচনে তার সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং তার স্ত্রী রওশন এরশাদ প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা হন।

গ্রেফতার[সম্পাদনা]

এরশাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর অবিরাম আন্দোলন চলতে থাকে এবং প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৯৯১ সালে জেনারেল এরশাদ গ্রেপ্তার হন এবং তাঁকে কারাবন্দি করে রাখা হয়।[৭] ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে জেলে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় এরশাদ রংপুরের পাঁচটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। বিএনপি সরকার তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে এবং কোনো কোনোটিতে দোষী প্রমাণিত হয়ে তিনি কারাদন্ডে দন্ডিত হন। ১৯৯৬-এর সাধারণ নির্বাচনেও এরশাদ সংসদে পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন। ছয় বছর জেলে থাকার পর ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্ত হন। তবে আদালতের রায়ে দন্ডিত হওয়ার কারণে সংসদে তাঁর আসন বাতিল হয়ে যায়।

১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে নির্বাচিত সরকারের অধীনে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন কালে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং সামরিক শাসন জারীর মাধ্যমে দেশ শাসন করেন। দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুন:প্রবর্তনের উদ্দেশ্য ঘোষণা করে তিনি ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে সংসদীয় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেন। এই নির্বাচনে তিনি স্বপ্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির ভোটপ্রার্থী হিসাবে অংশ গ্রহণ করেন এবং পরে ৫ (পাঁচ) বৎসরের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে গণবিক্ষোভের চাপে এবং সেনাবাহিনীর সমর্থনের অভাবে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।কটি হাসি দেশকে অস্থিতিশীল করেছে: এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
 
আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৫৬
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ফাইল ছবিহুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ফাইল ছবিপ্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, একটি হাসি গোটা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। তারা আজ মানুষ মরলে হাসে। তাদের কাছে মানুষের কোনো মূল্য নেই।
আজ শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সমালোচনা করে এরশাদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, কোমলমতি শিশুরা রাজনীতি বোঝে না। তারা বাঁচতে চায়। তারপরও তাদের ওপর ছাত্রলীগ যেভাবে হামলা করল, তা দুঃখজনক।
এরশাদ বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকদের কাছে আজ আমরা জিম্মি। বাস চলুক আর না চলুক সরকারকে অনুরোধ করব, তাদের সঙ্গে কোনো আপস নয়। আইন সবাইকে মানতে হবে।’
এরশাদ আরও বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের এখন কোনো সম্মান নেই। সে জন্য নিজেকে সৈনিক পরিচয় দিই। বর্তমান সংসদে ১৫৪ জন এমপি বিনা ভোটে নির্বাচিত। তাঁদের রাজনীতিবিদ বলিই বা কী করে।’
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অংশীদার জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। গত কয়েক বছর অনেক বঞ্চনার শিকার হয়েছি। আর হতে চাই না। ভেবেচিন্তেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেব।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, ‘এক-এগারোর আগে তারেক আমার বাসায় এসে আমাকে হাওয়া ভবনে যেতে বললেন। বললেন, “আপনি আমাদের সঙ্গে জোট করবেন, আপনাকে ১৮টি আসন দেওয়া হবে। না হলে আপনাকে দেশ ছাড়তে হবে।” আমি ওর পিতৃসমতুল্য, সে আমার সঙ্গে এ ভাষায় কথা বলতে পারে, ভাবতেও অবাক লাগে। তারপর আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু কী পেলাম? তারা আমার প্রতি অবিচার করল। দল ভাঙল, আমাকে জেলে নিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য করল।’
এরশাদ দাবি করেন, তাঁর মতো নির্যাতিত রাজনীতিবিদ আর দেখেননি। তিনি বলেন, ‘১৪ বছর ৯ মাস পর মঞ্জুর হত্যা মামলা করা হলো আমার বিরুদ্ধে। জিয়া হত্যার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত মঞ্জুর। অথচ তারা জিয়া হত্যার বিচার চায় না। যখনই মঞ্জুর হত্যার রায় ঘোষণার সময় হয়, তখনই জজ পরিবর্তন করা হয়। এ পর্যন্ত সাতজন জজ পরিবর্তন করা হয়েছে।’
আইনজীবী ফেডারেশনের সভাপতি শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাপা কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, আওয়ামী লীগের নেতা ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ।

আরও সংবাদ

মানুষ আ.লীগ ও বিএনপির মধ্যে আর ক্ষমতার পালাবদল চায় না: এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ
 
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩৭
সুনামগঞ্জে জনসভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। ছবি: প্রথম আলোসুনামগঞ্জে জনসভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। ছবি: প্রথম আলোজাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ‘প্রতিদিন কত মানুষ মারা যায়, খুন হয়, গুম হয়, তার হিসাব নেই। সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ক্ষমতার পালাবদল হয়, কিন্তু মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে আর ক্ষমতার পালাবদল চায় না। মানুষ শান্তি চায়, জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।’
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সরকারি জুবিলি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আজ রোববার দুপুরে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ  এসব কথা বলেন।
সমাবেশে এরশাদ সুনামগঞ্জ-৪ আসনে (সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহকে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন।
নিজের বয়স হয়েছে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘আমি সারা জীবন মানুষের জন্য রাজনীতি করেছি। এখন আমার বয়স হয়েছে, কিন্তু মানুষ দেখলে আমার বয়স কমে যায়। প্রখর রোদের মধ্যে আপনারা ছুটে এসেছেন। মিসবাহ বলেছিল, সম্মেলনে ৫০ হাজার লোক হবে। এখন দেখছি, মানুষ আরও বেশি হয়েছে। আমি নিজের জন্য কিছু চাই না। মানুষের মুক্তি চাই, মানুষের অধিকার চাই।’
আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমদের কথা উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘তোফায়েল আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতে ক্ষমতায় না যেতে পারলে দেশে এক লাখ লোক মারা যাবে। আপনারা জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দিন। আমি বলছি, একজন লোকও মারা যাবে না। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। আমরা পরিবর্তন চাই। এই পরিবর্তন জাতীয় পার্টি আনতে পারে।’
জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর সভাপতিত্বে সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের মহাসচিব এ বি এম রহুল আমিন হাওলাদার। এ ছাড়া দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সাংসদ ইয়াহহিয়া চৌধুরী, দলের নেতা ও সাবেক সাংসদ আবদুল মজিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে বলে সমাবেশে ঘোষণা দেন এ বি এম রহুল আমিন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘কঠিন সময় চলছে, ইচ্ছে করলেই সবকিছু বলা যাবে না। সরকার আসে সরকার যায়, মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। লাঙলে ভোট দিন, আমরা শান্তি দেব, শান্তির নীড় উপহার দেব।’

নিজের চেয়ে স্ত্রীর নামেই বেশি সম্পদ গড়েছেন এরশাদ !

সময়ের কণ্ঠস্বর:  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জানিয়েছেন তাঁর মাসিক আয় ৯ লাখ ৩ হাজার ৫১৭ টাকা। এবং ব্যাংকে ঋণ ২ কোটি ৩২ লাখ ৪ হাজার ৬৩৫ টাকা।  তিনি রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসন থেকে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। পেশার বিবরণীতে তিনি নিজেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, বিশেষ দূতের সম্মানী ১৯ লাখ ৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, সংসদ সদস্যের সম্মানী ১২ লাখ ৬০ হাজার, ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সম্মানী ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ১০ টাকা বছরে আয় করেন। তার মাসি আয় ৯ লাখ ৩ হাজার ৫১৭ টাকা ১৭ পয়সা।
অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নিজ হাতে নগদ ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ টাকা ও স্ত্রীর হাতে নগদ আছে ২৬ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ টাকা। স্ত্রীর নামে জমা আছে- সোনালী ব্যাংকে ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার ২২টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ২৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৯১ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার আছে নিজের নামে ৪৪ কোটি ১০ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকার।
এছাড়া নিজের নামে রয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ টাকার এফডিআর, ডিপিএস ৯ লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ২ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার এফডিআর, সেভিং সার্টিফিকেট ৬০ লাখ টাকা এবং বিনিয়োগ আছে ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার। স্ত্রীর ১০০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে।
নিজের নামে ৬০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক ও আসবাবপত্র রয়েছে। আর স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৫ লাখ টাকার।  নিজ নামে ব্যবসায় মূলধন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১৫৪ টাকা ও জমি বিক্রয় ২ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকার দেখিয়েছেন এরশাদ।
নিজের নামের কৃষি জমি না থাকলেও স্ত্রীর নামে রংপুরে ৩৩ লাখ টাকার ৫০ শতাংশ এবং ঢাকার পূর্বাচলে ১৮ লাখ টাকার সাড়ে ৭ কাঠা জমি আছে।
বনানীতে নিজের নামে শপিং কমপ্লেক্স রয়েছে, যার মূল্য ৭৭ লাখ টাকা। রাজধানীর বারিধারায় ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, বনানীতে ৪৯ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট এবং গুলশানে ৬২ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। আর স্ত্রীর নামে গুলশানে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট ও গুলশান মডেল টাউনে ৫ কোটি ৫০ লাখ জমি দেখানো হয়েছে হলফনামায়।
এছাড়া ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ঋণ আছে ২ কোটি ৩২ লাখ ৪ হাজার ৬৩৫ টাকা।
নিজের চেয়ে স্ত্রীর নামেই বেশি সম্পদ গড়েছেন তিনি। হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন বিএ পাস। পিতা-মকবুল হোসেন, মাতা- মজিদা খাতুন। স্থায়ী ঠিকানা নিউ সেনপাড়া, রংপুর সদর।

সাততেতৈয়া

শরিয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারফত কাকে বলে? বিস্তারিত?

পবিত্র কুরআন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।

হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-বড় পীর এর জীবনী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

তাজবীদ

জামে মসজিদ নীতিমালা