Posts

মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের সিনেটে ইতিহাস গড়লেন মুসলিম নারী জয়নাব মোহাম্মদ

Image
  প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং সর্বকনিষ্ঠ মহিলা হিসেবে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের সিনেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী মুসলিম নারী জয়নাব মোহাম্মদ। তিনি ক্যাম্পেইন ঘোষণার আগে এক সাক্ষাতকারে বলেন, “আমি গত দেড় বছর ধরে সিনেটের হলগুলোতে বিল আদায়ের জন্য হেঁটেছি, এবং আমি সেখানে কখনোই নিজেকে দেখিনি। সেখানে একজনও কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা নেই। সিনেটে আমাদের কোনো প্রতিনিধি নেই।" দ্য কাউন্সিল অন এমেরিকান ইসলামিক রিলেশন, মিনোসেটা (CAIR-MN) এর কমিউনিটি এডভোকেট জয়নাব মোহাম্মদ অবসরপ্রাপ্ত সিনেটর প্যাট্রিসিয়া টরেস রে-কে প্রতিস্থাপন করার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০০৬ সালে প্রথম ল্যাটিনা হিসেবে মিনেসোটা সিনেটে কাজ করার জন্য রে ইতিহাস গড়েন। জয়নাব তার প্রথম অনুমোদন পেয়েছিলেন গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক এবং ওয়ার্ড ২-এ আগত মিনিয়াপলিস সিটি কাউন্সিলের প্রতিনিধি রবিন ওয়ানসলি ওয়ারলোবাহ এর কাছ থেকে। ওয়ানসলি ওয়ারলোবাহ একটি ট

কদর রাত্রির প্রার্থনা কবিতা

Image
  আল মাহমুদের কবিতা "কদর রাত্রির প্রার্থনা" হে আল্লাহ হে সমস্ত উদয়দিগন্ত ও অস্তাচলগামী আলোকরশ্মির মালিক আজকের এই পবিত্র মহাযামিনীর সব রকম বরকত আমাকে দাও। আমাকে দাও সেই উত্তেজক মুহূর্তের স্বর্গীয় পুলক যাতে একটি সামান্য গুহার প্রস্তুরীভূত শিলাসহ কেঁপে উঠেছিলেন       মহানবী মোহাম্মদ (সাঃ) না, আমি তো পড়তে পারছি না এই অন্ধকারের অন্তস্তলে বিদ্যুতের ঝলকানি কোন্ অক্ষর আর ইঙ্গিতময় বাণী ক্রমাগত লিখে যাচ্ছে  শুধু আমার মাতৃভূমিকে পেঁচিয়ে আবর্তিত হচ্ছে       এক কুটিল অন্ধকার।   অন্ধকার, যেন শয়তানের নিঃশ্বাসের উষ্ণ কালো ধোঁয়ার আবর্তিত  কুণ্ডলী, আর বহুস্তর অন্ধকারের ওপর চাবুকের দাগের মতো ঝলসে উঠছে অক্ষরের পর অক্ষর। ইঙ্গিতময় বাক্যের পর বাক্য। আমি পড়তে না পারলেও শব্দের ত্বরিত গুঞ্জনের         নিগূঢ় তত্ত্ব আমি জানি। আমি জানি আমার চোখ ও হৃদয়কে তুমি সৌন্দর্যের জারকে চুবিয়ে                 কেন নির্মাণ করেছিলে।   কেন আমি কবি? কেন প্রত

জালাল উদ্দীন রুমীর কবিতা

Image
  যখন মৃত্যু আমাকে আলিঙ্গন করবে  যখন নিয়ে যাওয়া হবে আমার কফিন তুমি কখনোই এরকম ভেবো না যে- আমি এই পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাচ্ছি...   প্রবাহিত কোরো না ক্রন্দনের অশ্রু শোকার্ত চিত্কার কোরো না অথবা- ব্যথাতুর হয়ো না...   আমি ভয়ানক কিছুর সম্মুখীন হতে যাচ্ছি না! যখন তুমি আমাকে নিয়ে যেতে দেখবে আমার চলে যাওয়া দেখে কান্না কোরো না আমি চলে যাচ্ছি না... আমি পৌঁছে যাচ্ছি প্রকৃত প্রেমের নিকটে...   তুমি যখন আমাকে কবরে রেখে আসবে বোলো না বিদায়ের সম্ভাষণ স্মরণ রাখবে' কবর তো- শুধুই একটি পর্দা যার অপর পাশে আছে স্বর্গ! তুমি শুধু আমার কবরের শয্যাটাকেই দেখতে পাচ্ছো কিন্তু তুমি সূর্যের দিকে তাকিয়ে দেখো- দেখো! কীভাবে সূর্য তার সমাপ্তির কাছে চলে যায় অস্তাচলের পর কীভাবে চন্দ্রের আবির্ভাব ঘটে।   এটিকে সমাপ্তির অনুরূপ মনে হয় মনে হয় যেন- এটি সূর্যাস্ত ছাড়া আর কিছুই নয় অথচ বাস্তবে এটি হচ্ছে ভোরের আগমন যখন তোমাকে কবরের মধ্যে বন

তারাবি

Image
  পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের দুর্লভ কবিতা তারাবি নামাজ পড়িতে যাইব মোল্লাবাড়িতে আজ, মেনাজদ্দীন, কলিমদ্দীন, আয় তোরা করি সাজ। চালের বাতায় গোঁজা ছিল সেই পুরাতন জুতা জোড়া, ধুলাবালু আর রোদ লেগে তাহা হইয়াছে পাঁচ মোড়া। তাহারি মধ্যে অবাধ্য এই চরণ দুখানি ঠেলে, চল দেখি ভাই খলিলদ্দীন, লুন্ঠন-বাতি জ্বেলে। ঢৈলারে ডাক, লস্কর কোথা, কিনুরে খবর দাও। মোল্লাবাড়িতে একত্র হব মিলি আজ সারা গাঁও।   গইজদ্দীন গরু ছেড়ে দিয়ে খাওয়ায়েছে মোর ধান, ইচ্ছা করিছে থাপপড় মারি, ধরি তার দুটো কান। তবু তার পাশে বসিয়া নামাজ পড়িতে আজিকে হবে, আল্লার ঘরে ছোটোখাটো কথা কেবা মনে রাখে কবে! মৈজদ্দীন মামলায় মোরে করিয়াছে ছারেখার, টুটি টিপে তারে মারিতাম পেলে পথে কভু দেখা তার। আজকে জামাতে নির্ভয়ে সে যে বসিবে আমার পাশে, তাহারো ভালর তরে মোনাজাত করিব যে উচ্ছাসে। মাহে রমজান আসিয়াছে বাঁকা রোজার চাঁদের ন্যায়, কাইজা ফেসাদ সব ভুলে যাব আজি তার মহিমায়। ভুমুরদি কোথা, কাছা

মেঘের উপরে অবস্থিত মসজিদ

Image
  তুরস্কের পর্যটক আকর্ষণ তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলের বাইবুর্ত ও ত্রাবজন প্রদেশের মধ্যে অবস্থিত সোয়ানলি পাহাড়ের চূড়ার কির্কলার মসজিদটি এঅঞ্চলের একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটক আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। মূলত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই মসজিদটির নিচের পাহাড়ী রাস্তা সবসময় মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং মসজিদটিও অনেকসময় মেঘের আড়ালে ঢেকে যায়। চমৎকার এই প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করার জন্য অনেক পর্যটকই এখন এখানে আসেন। মসজিদে যাওয়ার পথটি গাড়ী চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় পর্যটকদের পায়ে হেঁটেই এই মসজিদে আসতে হয়। রাতে মসজিদটিতে থাকতে ইচ্ছুক পর্যটকদের জন্য বেডরুম এবং রান্নাঘরেরও ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটনের পাশাপাশি মসজিদটি আধ্যাত্মিকতা চর্চারও একটি জনপ্রিয় স্থানে পরিণত হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের ১০টি দুর্লভ ছবি

Image
  ফরাসি আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় ট্রাকে একজন মুক্তিযোদ্ধার পাশে অ্যান ডি হেনিং, ৮ এপ্রিল ১৯৭১ নেপালে বসেই খবরটা পান অ্যান ডি হেনিং। জানলেন, নিরীহ বাঙালির ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে পাকিস্তানি সৈন্যরা। দ্রুত কলকাতায় চলে এলেন ফরাসি এ আলোকচিত্রী। সেখানে তিন সহকর্মী আলোকচিত্রী মিশেল লেন্ট, অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) সংবাদদাতা ডেনিস নিল্ড এবং কলম্বিয়া ব্রডকাস্টিং সিস্টেম (সিবিএস) সংবাদদাতা প্যাট্রিক ফরেস্টের সঙ্গে দেখা করলেন। তারপর তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরলেন পাঁচ দিন। দেখলেন সাধারণ মানুষের যুদ্ধের প্রস্তুতি, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়িছাড়া মানুষের ঢল, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ। সেসবই নিজের ক্যামেরায় ধারণ করলেন তরুণ এ আলোকচিত্রী। মুক্তিযুদ্ধের সময় শুধু নয়, পরে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশেও এসেছিলেন অ্যান ডি হেনিং। তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বেশ কিছু ছবি, যা এখন ইতিহাসের অনন্য দলিল। অ্যান ডি হেনিংয়ের দুর্লভ সেসব ছবি নিয়েই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ও সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন

পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া উচিত, বললেন দেশটির

Image
   পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ঢাকায় শেষ হওয়া দুই দিনের আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন হোসেন হাক্কানি। পাকিস্তানের সাবেক কূটনীতিক হোসেন হাক্কানি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে একাত্তরের অপকর্মের জন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার দাবিকে সমর্থন করতেন। রোববার ঢাকায় শেষ হওয়া দুই দিনের আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হোসেন হাক্কানি বলেন, ‘পাকিস্তানে আমার মতো অনেকে মনে করেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ওপর বিয়োগান্তক ঘটনা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমার ধারণা, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এই ধারণাকে তিনি সমর্থন করতেন। অতীতের ক্ষত এবং অপকর্ম সারাতে সামস্টিক ক্ষমার প্রতি যাদের বিশ্বাস রয়েছে, তাদের সবাই এটা সমর্থন করবে।’ হোসেন হাক্কানির মতে, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ন্যায়বিচার নিশ্চিতের পূর্বশর্ত। এটি ভবিষ্যতে এ ধর