Posts

দুর্নীতির দায়ে স্যামসাং প্রধানের আড়াই বছরের জেল

Image
  আমার বাংলা আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং কোম্পানীর (কার্যত:) প্রধানকে সোমবার আড়াই বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইয়নহুপের খবরে এ কথা বলা হয়। বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন ও মেমোরি চিফ তৈরির কোম্পানী স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের ভাইস চেয়ারম্যান লী জায়ে ইয়ং ঘুষ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে এ সাজা দেয়া হয়।

যেসব পাপ নীরবে আমল নষ্ট করে

Image
অ-   অ   অ+ নেক আমল পরকালীন জীবনের মূলধন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের বড় মাধ্যম। তাই আখিরাতে শান্তি ও সফলতা লাভে বান্দার কবুলযোগ্য আমলের বিকল্প নেই। কিন্তু জীবন চলার পথে নিজের ইচ্ছা ও অনিচ্ছায় এমন কিছু বদ আমল সংঘটিত হয়, যা খাঁটি ও কবুল হওয়া আমলগুলো নষ্ট করে দেয়। এখানে আমল বিনষ্টকারী সেই বদ আমলগুলো তুলে ধরা হলো—   রিয়া বা লৌকিকতা মানুষের নিয়তনির্ভর আমলের ওপর আখিরাতের প্রতিদান নির্ধারিত হয়। তাই আমল হতে হবে একনিষ্ঠভাবে। লৌকিকতাপূর্ণ আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। মাহমুদ ইবনে লাবিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের ওপর যা ভয় করি তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে শিরকে আসগর (ছোট শিরক)। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল, শিরকে আসগর কী? তিনি বলেন, রিয়া (লোক-দেখানো আমল), আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তাদের (রিয়াকারীদের) বলবেন, যখন মানুষকে তাদের আমলের বিনিময় দেওয়া হবে তোমরা তাদের কাছে যাও যাদের তোমরা দুনিয়ায় দেখাতে, দেখো তাদের কাছে কোনো প্রতিদান পাও কি না।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৬৩৬)   গোপনে হারাম কাজে লিপ্ত হওয়া আল্লাহ তাআলা যেসব কাজ হারাম করেছেন, তা থেকে বেঁচে থাকা একজন মুমিনের একা

সেনা অভ্যুত্থানের পর থমথমে মিয়ানমার

Image
    অ-   অ   অ+ সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় মিয়ানমারে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থার জন্যও এই পরিস্থিতি ব্যাপক চ্যালেঞ্জের। মিয়ানমারের জনগণের মনে হঠাৎ করেই আতঙ্ক ভর করেছে সেনা অভ্যুত্থান, জরুরি অবস্থা জারি ও শীর্ষ নেতাদের আটকের ঘটনায়। ইয়াঙ্গুনের ব্যবসায়ী মা নান বিবিসিকে বলেন, আমি ভয়ে আছি যে, নিত্যপণের নাম বেড়ে যেতে পারে। আমার ভয়ের আরেকটা কারণ হলো যে, আমার মেয়ের এখনো স্কুলের পড়াশোনা শেষ হয়নি। আরো অর্ধেক পথ বাকি তার। তার ওপর এটা মহামারির সময়। ইয়াঙ্গুনের একজন গৃহবধূ থান থান নান্ট; তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে। মানুষ এ নিয়ে বিদ্রোহ করতে পারে। আমার বিশ্বাস, অং সান সু চি এবং অন্য নেতাদের শিগগিরই হোক আর কিছুটা দেরিতেই হোক- ছেড়ে দেওয়া হবে। অনেকেই মনে করছে, সেনাবাহিনী এক বছর পর নির্বাচন দেওয়ার কথা বলে ক্ষমতা গ্রহণ করলেও তা দীর্ঘমেয়াদি হবে। আর ১৯৯০ এর দশক থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সে দেশের মানুষের যে জীবনমান ছিল, তা ফিরে আসার শঙ্কা জনগণকে পেয়ে বসেছে।

পাকিস্তানে বিরোধীজোট ঐক্যবদ্ধ: পিডিএম প্রধান রেহমান

Image
  অ-   অ   অ+ পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান গত শনিবার বলেছেন, মতবিরোধ থাকলেও বিরোধীজোট ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।  জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বর্তমান সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়ে পরামর্শ দেয় পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এরপর পিডিএম প্রধান এই বিবৃতি দিলেন। যদিও এ পরামর্শ পছন্দ করেনি পিএমএল-এন। পেশোয়ারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পিডিএম প্রধান বলেন, ইমরান খানের নের্তৃত্বাধীন সরকারের উদযাপন করার মতো কোনো উপলক্ষ নেই। পিডিএম ঐক্যবদ্ধ আছে এবং নিজেদের সুবিধা অনুসারে আমাদের কার্ড দেখাবো। তিনি আরো বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং একটি কার্যকর কৌশলে এগোচ্ছি। তিনি মনে করেন, ক্ষমতাসীনরা বোকা এবং তারা নিজেরা আরো বোকা হতে থাকবে। রেহমান বলেছেন, সিন্ধু বিধানসভা ভেঙে যাওয়ার পরেও ইলেক্টরাল কলেজ অক্ষত রয়েছে। সে কারণে বিরোধী দলগুলো উপ-নির্বাচন এবং সিনেট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তে গেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা প্রত্যেক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। রেহমান আরো যোগ করে বলেন, ঐতিহাসিকভাবে উপ-নির্বাচনে প্রকৃত জনমত সবসময় উঠে এসেছে। যদি

বাইডেনের প্রথম আন্তর্জাতিক পরীক্ষা

Image
  যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছবি: এএফপি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখনো তাঁর প্রশাসন গুছিয়ে উঠতে পারেননি। ঠিক এমন সময়ে তাঁর প্রশাসন প্রথম কোনো বড় আন্তর্জাতিক সংকটের মুখোমুখি হলো। মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের ঘটনা বাইডেনের সামনে প্রথম আন্তর্জাতিক পরীক্ষা হিসেবে হাজির হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশ্লেষণে এ কথা বলা হয়। গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় বসেন বাইডেন। গতকাল ১ ফেব্রুয়ারি ছিল তাঁর ক্ষমতার ১৩তম দিন। ঠিক এদিনই মিয়ানমারে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান করে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছে। সেনা কর্তৃপক্ষ দেশটিতে এক বছরের জন্য জারি করেছে জরুরি অবস্থা। একই সঙ্গে তারা সু চিসহ এনএলডির শীর্ষ নেতাদের অন্তরীণ করে রেখেছে। মিয়ানমারে এই ঘটনার পরই বাইডেন প্রশাসন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখায়। হোয়াইট হাউস বিবৃতি দিয়ে মিয়ানমারের সেনা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, সু চিসহ আটক নেতাদের মুক্তি না দিলে মিয়ানমারের দায়ী কর্তৃ

বাংলাদেশকে যাদের সঙ্গে কৌশলগত সমঝোতা করতে হবে

Image
  মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছবি এএফপি মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান বিষয়ে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘নিকট প্রতিবেশী মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আর সাংবিধানিক পন্থা সমুন্নত থাকার প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ, আর বন্ধুপ্রতিম দেশ হয়ে বাংলাদেশ সে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন একটি প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘ক্ষমতায় যে-ই থাক, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যেন না পেছায়’ (আল-জাজিরা)। এই প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আকাঙ্ক্ষা, মিয়ানমারের মানুষের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক নির্বাচন-পরবর্তী প্রত্যাশা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়ায় আসিয়ানভুক্ত ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর হতাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তবে খুব ভালো বিষয় যে বাংলাদেশ তার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের স্বতঃপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দিয়ে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারে জান্তাকে ক্ষমতায় রেখে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আদৌ সম্ভব কি না, সেটা এক বড় প্রশ্ন। কেননা, রোহিঙ্গা উচ্ছেদের মূল হোতাই হচ্ছে সামরিক জান্তা। তারা রোহিঙ্গাদের মিয়

ইসরায়েলের সাহায্যে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারই লক্ষ্য আমিরাতের

Image
  সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস উদ্বোধন করেছে ইসরায়েল। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে চারটি আরব দেশ অর্থাৎ সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুদান, বাহরাইন ও মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে সমঝোতা পত্রে সই করেছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতই প্রথম দেশ যে কিনা গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে চুক্তিতে সই করেছিল। সেপ্টেম্বরে সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকেই আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হয় এবং দু'পক্ষের বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদের সফর বিনিময় অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হাজার হাজার পর্যটক সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছে। ইসরায়েল আবুধাবিতে দূতাবাস স্থাপন করা ছাড়াও দুবাইতে কনস্যুলেট স্থাপনের চেষ্টা করছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সর্বাত্মক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিস্তারের এই পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে তারা সম্পর্ক আরও গভীর করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্