Posts

ইসলামের বসন্তকাল রবিউল আউয়াল

Image
রবিউল আউয়াল মাসের আগমনে ইমানের জগতে বসন্ত শুরু হয়। রবিউন শব্দের অর্থ বসন্ত। মাঝে মধ্যে মনে হয় রসুল (সা.)-এর আগমন এ মাসে হবে সে জন্য বোধহয় আল্লাহতায়ালা যারা মাসের নামগুলো নির্ধারণ করেছেন তাদের অন্তরে এ মাসের নাম রবিউন রাখার জন্য পূর্ব থেকেই প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছিলেন। রবিউল আউয়াল মাস ঘুরে আসার সময় হলেই বিভিন্ন কবিতার চরণ মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। তেমনি চরণের মধ্যে একটি চরণ হলো মক্কায় নবী এলো মা আমেনার ঘরে, হাসিলে হাজার মানিক কাঁদিলে মুক্তা ঝরে। ইসলামের ইতিহাসে রবিউল আউয়াল হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। যেহেতু অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে এ মাসেই আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুনিয়ার বুকে আগমন ঘটেছে। ফলে এ মাস যখন আসে মুসলমানদের অন্তরে স্বাভাবিকভাবে রসুল প্রেমের জোয়ারের ঢেউ নতুনভাবে সৃষ্টি হয়। রসুল প্রেমে অন্তর নতুনভাবে আন্দোলিত হয়। বছরের চাকা ঘুরেই রবিউল আউয়াল মাস প্রতি বছর আমাদের কাছে আসে। কিন্তু কী শিক্ষা আমাদের জন্য নিয়ে আসে। আমাদের কী করণীয়? রসুলেপাক (সা.)-এর দুনিয়াতে আসার মুহূর্তে যেসব অলৌকিকত্ব ঘটেছিল তা আমাদের বলে দেয় রসুল (সা.)-এর আগমনের উদ্দেশ্য কী? সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন

সুন্নি আন্দোলন ফ্রান্সের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা

Image
ফ্রান্সের রিপাবলিক চত্বরে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন, ফ্রান্স শাখার উদ্যোগে আঁধার দিবস উপলক্ষ্যে প্যারিস’র মানবাধিকার চত্ত্বরে , মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । প্যারিসে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন ফ্রান্স শাখার আহবায়ক শাহ এনামুল হাসান মাওলার সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- গোলাম মোস্তফা হিমেল, মামুনুর রশিদ ,শরীয়াত উল্লাহ , জামিল আবেদ ,রিয়াজ হোসাইন, মো:সাকাওয়াত হোসেন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ | সমাবেশে বক্তাগণ আল আরবে ইসলাম ও মানবতা পরিপন্হী সৌদী গোত্রবাদী ওহাবীবাদ স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্হা পরিবর্তন করে ইসলামের প্রকৃত রাজনৈতিক দিকদর্শন দ্বীনী মুল্যবোধ ভিত্তিক সার্বজনীন মানবিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্হা ফিরিয়ে আনার দাবী জানান। বক্তাগণ আরো বলেন – দুনিয়াব্যাপী একক ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদ ও বস্তুবাদী জাতীয়তাবাদের পাশবিক অপরাজনীতির কারসাজিতে রাষ্ট্রসমূহ অপশক্তির কুক্ষিগত হয়ে একক গোষ্ঠিবাদী দানবীয় স্বৈরতান্ত্রিক হাতিয়ারে পরিণত হয়ে পড়েছে, যার ফলে সত্য রূদ্ধ ও মানবতা ভয়ংকর।

সুন্নি

Image
সুন্নি (ইসলাম) সুন্নি মুসলিমরা ইসলাম অনুসারীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্প্রদায়। সুন্নিরা আরো পরিচিত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'য়াত ( আরবি : اهل السنة والجماعة ‎‎ " ) সংক্ষেপে আহল আস-সুন্নাহ ( আরবি : أهل السنة ‎‎‎) নামে। সুন্নি শব্দের উৎপত্তি সুন্নাহ ( আরবি : سنة ‎‎) শব্দ থেকে যা দ্বারা ইসলামের নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী ও কর্মকে বুঝায়। নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবিত অবস্থায় সুন্নি বা শিয়া বা অন্য কোনো নামে কোনো সম্প্রদায় ছিল না। সুন্নিরা ইসলামের সেই অংশের প্রতিনিধিত্ব করে যারা নবি মুহাম্মদের মৃত্যুর পর সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচিত খলিফা আবু বকরকে মেনে নিয়েছিল। তাই প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় ( খিলাফত) নির্বাচন বা ‘শুরা’ সুন্নি ইসলামের একটা বড় বৈশিষ্ট্য। অধিকাংশ সুন্নি আইনজ্ঞরা নিজেদের সুন্নি আইনের চারটি ঘরানার ( হানাফি , মালিকি , শাফিয়ি , হানবালি ) যে কোনো একটির অনুসরণ করেন। এর বাইরেও কয়েকটি সংখ্যালঘু সুন্নি মাযহাব রয়েছে। জনসংখ্যা   সুন্নী ও শিয়া সম্প্রদায়ের আবাসস্থল দেখানো হয়েছে

হায়াতুন নাবী (ﷺ) | সমস্ত নবী (আঃ) কবরে জিবীত

Image
হায়াতুন নাবী (ﷺ) | সমস্ত নবী (আঃ) কবরে জিবীত এর সঠিক ব্যাখ্যা কী? আস্সালামু আলাইকুম বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম প্রীয় পাঠক আজ আকিদা বিষয়ক একটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যা হল,”হায়াতুন নবী (ﷺ)” বা ”জিন্দা নাবী (ﷺ)” আমরা সকলে জানি আমাদের নবী হজরত মোহাম্মাদ (ﷺ) ও সমস্ত নবী (আঃ) ইন্তেকাল করেছেন । তবে সমস্ত নবীগণ (আঃ) কবরে জিন্দা ও আমাদের নবীকে ”হায়াতুন নবী (ﷺ)” কেন বলা হয় এই বিষয়টি সঠিক ভাবে জানব । ”হায়াতুন নবী (ﷺ)” সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা জানতে নিম্নের সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ুন । নিম্নের সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ার পর  ”হায়াতুন নবী (ﷺ)” সম্পর্কে আপনার ধারনা পরিস্কার হবে । ইন শা অল্লাহ । আমরা সকলে জানি যাহারা আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যু বরণ করেন তাদের শহিদ বলা হয় । তাদের শাহাদাতের পর জানাজা পড়ে দাফন করা হয় । পরিবারের মানুষ ও সঙ্গী সাথীরা বলেন সে মৃত্যু বরণ করেছেন বা শাহাদত বরন করেছেন বা সে আর জীবিত নেই । মানুষ তাদের মৃত্যু বলে । অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেন “ আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার না।” (সুরা আল-বাকার

আইএসের উত্থান এবং বিশ্ব তেলবাণিজ্য

Image
প্রবন্ধটির শিরোনামেই আমি দুটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছি। একটি আইএস সংক্রান্ত এবং অপরটি তেলের বাজার বিষয়ক। একটি রাজনৈতিক অপরটি অর্থনৈতিক। আইএসের উত্থান নিয়ে বিশ^জুড়ে যেমন চলছে নানা আলোচনা, ঠিক তেমনি বিশ^বাজারে তেলের অব্যাহত দরপতন নিয়েও চলছে নানা ধরনের পর্যালোচনা। আইএসের উত্থানের কারণে অনেক দেশের রাষ্ট্রীয় ঐক্য যেমন ভেঙে পড়েছে, ঠিক তেমনি তেলের অব্যাহত দরপতনে অনেক দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। রাজনীতিবিদরা আইএস নিয়ে ব্যস্ত আর অর্থনীতিবিদরা তেল নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু কারো তৎপরতাই কোনো কাজে আসছে না। আইএসের উত্থান যেমন হচ্ছে, ঠিক তেমনি তেলের দরপতনও হচ্ছেই। বিষয় দুটি যেন একসূত্রে গাঁথা। মূলত বিষয়টা সেরকমই। রাজনীতি এবং অর্থনীতির মাঝে যেমন একটি যোগসূত্র আছে, ঠিক তেমনি আইএসের উত্থানের সাথে তেলের মূল্য পতনের একটি যোগসূত্র আছে। সুতরাং বিষয় দুটি নিয়ে একটি পর্যালোচনা করা যাক। প্রথমেই আইএসের বিষয়টি আলোচনা করা যাক। আইএস মানে হচ্ছে ইসলামিক স্টেট। দলটির নাম দেখেই বুঝা যায়, তারা সবাই মুসলমান এবং ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। দলটির অনুসারীরা তাদের দখলকৃত অঞ্চলে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার