Posts

চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল চীন, বিতর্কিত সেই ল্যাবের সঙ্গে জড়িত ফ্রান্সও

Image
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। মাত্র চার মাসে বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে আক্রান্ত হয়েছে (শনিবার সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত) ৪০ লাখ ১২ হাজার ৮৩৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ২১৬ জনের। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস চীনের উহান থেকে শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই মারণ ভাইরাস উহানের বিতর্কিত ল্যাব থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে; এমনটাই অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। যদিও বারবার চীনের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।  এই বিতর্কের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল চীন। উহানের ‘বিতর্কিত’ ল্যাবের সঙ্গে ফ্রান্সও যুক্ত রয়েছে। বেইজিংয়ের দাবি, ল্যাবটি চীন এবং ফ্রান্স যৌথভাবে চালায়।  এক ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেছেন, ‘উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি একটি চীন-ফরাসি সহযোগিতামূলক প্রকল্প। এর নকশা নির্মাণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা হয়। উহানের ল্যাবে কর্মীরাও সকলে ফ্রান্স থেকেই প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।’ চীন এই দাবি করলেও ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এখনও কিছু বলা হয়নি।  এদিকে আবার করোনার উৎপত্তি নিয়ে বিশ্

করোনাকে ঘিরে মুসলিমবিরোধী হামলা হয়েছে : গুতেরেস

Image
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, কভিড-১৯ ‘আমরা কে, কোথায় থাকি, কী বিশ্বাস করি কিংবা অন্য কোনো বৈশিষ্ট্যের; পরোয়া করে না। কাউকে ছাড়ছে না।’ তিনি গতকাল আরও বলেন, করোনার কারণে ‘ঘৃণা ও বিদেশিদের ভয় পাওয়া, কাউকে বলির পাঁঠা বানানো এবং আতঙ্ক ও গুজব ছড়ানোর সুনামি’ বয়ে চলছে। বিশ্বব্যাপী ‘হেটস্পিচ’ বন্ধ করতে সর্বাত্মক চেষ্টারও আহ্বান জানান তিনি। এক বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, ‘অনলাইনে ও রাস্তায় বিদেশিবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি বেড়েছে, ইহুদিবিরোধী ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছে এবং কভিড-১৯ সম্পর্কিত মুসলিমবিরোধী হামলার ঘটনা ঘটেছে।’ জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, অভিবাসী ও শরণার্থীদের ভাইরাসের সূত্র হিসেবে অপবাদ দেওয়া হয়েছে এবং তারপর তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। ‘সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন বয়স্করা। তাদের মেরে ফেলা যেতে পারে এমন  নিন্দনীয় মিথও দেখা গেছে,’ বলে জানান তিনি। ‘আর সাংবাদিক, হুইসেলব্লোয়ার, সংবাদকর্মী, ত্রাণ ও মানবাধিকার কর্মীরা তাদের কাজ করছেন বলে তাদেরও টার্গেট বানানো হচ্ছে,’ বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি সব মানুষের প্রতি সংহতি দেখাতে রাজনৈতিক নেতাদের আহ্বান জানান। এ ছাড়া বর্ণবাদী, নারীবিদ্বেষসহ অন্যান্য ক্ষতিকর কন্টেন্ট সরিয়

ইসলাম গ্রহণ করলো ইতালির এমপি-কন্যা

Image
ইতালির সাবেক পার্লামেন্ট সদস্যের কন্যার ইসলাম গ্রহণ নিয়ে ইউরোপজুড়ে চলছে ব্যাপক তোলপাড়। গোটা ইউরোপে যখন ইসলাম আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে তখন ইসলাম গ্রহণের হার কমেনি। সম্প্রতি ইউরোপে মানুষের ইসলাম সম্পর্কে জানার আগ্রহ বেড়েছে। বাড়ছে ইসলাম গ্রহণকারীর সংখ্যাও। এরই অনন্য নজির— ইতালির সাবেক এমপি ফ্রাংকো বারবাতোর মেয়ের ইসলাম গ্রহণ। ইসলাম গ্রহণের পর ইসলামের অনুশাসন মেনে তিনি এখন পূর্ণাঙ্গ ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারী। খ্রিস্টধর্ম থেকে তিনি ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন। ম্যানুয়েলা ফ্রাংকো বারবাতো নামের ওই তরুণীর নতুন নাম আয়েশা। ম্যানুয়েলার ইসলাম গ্রহণের ঘটনা এখন ইতালিতে আলোচনার বিষয়। শুধু ইতালিতেই নয়, গোটা ইউরোপেও এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। খ্রিস্টান উগ্রপন্থীরা কঠোরভাবে সমালোচনা করছেন তার। সমালোচনা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না নওমুসলিম ওই তরুণীর বাবাও। ফ্রাংকো বারবাতোকে হাফিংটন পোস্টের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনার মেয়ে তো মুসলমান হয়ে গেল, এখন আপনার কেমন লাগছে? তার উত্তর ছিল, ‘শুধু খারাপ না, খুবই খারাপ লাগছে। কারণ এটি একটি অত্যন্ত কঠোর ধর্ম, খুবই চরমপন্থী, একদম সেকেলে! এই ধর্মটি মৌলবাদী। আমার মেয়ে

শেষ সম্বল বাড়ির ৪ শতক জমি মসজিদের নামে দান করলেন ভিক্ষুক দম্পতি

Image
মসজিদে জমি দান করে সমাজে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এক ভিক্ষুক দম্পতি। এই ভিক্ষুক দম্পতির বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোপাল রায় গ্রামে। তারা হলেন বৃদ্ধ খইমুদ্দিন (৮০) ও হামিজোন বেগম (৬৫)। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এক নির্জন কুঁড়েঘরে তাদের বসবাস। প্রতিদিনের ভিক্ষার চালেই জ্বলে তাদের চুলা। একদিন ভিক্ষা না করলে তাদের মুখে খাবার জোটে না। অনেক সময় অনাহারেই দিন কাটে তাদের। তারপরও জীবন বাঁচাতে ভিক্ষা করতে হয় ওই দম্পতিকে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ভিক্ষুক দম্পতি নিসন্তান থাকায় মৃত্যুর আগে শেষ সম্বল ভিটে-বাড়ির ৪ শতক জমি গত তিন বছর আগে ওই গ্রামে নিত্য ডিঘি জামে মসজিদের নামে দলিল করে দেন। তাদের এমন দান সমাজে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বৃদ্ধ খইমুদ্দিন প্যারালাইসিস রোগী তারপরও অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে পেটের দায়ে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করতে বের হন স্ত্রী হামিজোন বেগম। তাদের এমন দুরবস্থায় ভাগ্যে জুটেনি কোনো বয়স্কভাতার কার্ড। হামিজোন বেগম বলেন, ভিটেবাড়ি টুকু মসজিদের নামে দান করে আমরা দুজনই খুশি। আমাদের কোনো সন্তান নেই। তাই মসজিদে জমি দান করেছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলে

সিরিয়ার ধ্বংসস্তুপের মধ্যে এক সিরিয়ান পরিবারের ইফতার

Image
পূব আকাশে সূর্য অস্ত গেছে কিছু সময় আগেই। চারদিক নীরব। পশু-পাখির কলতান নেই। নেই মানুষের হৈ হুল্লোড়। শুধু আছে গোলার আঘাতে ধ্বসে যাওয়া বাড়ি। পুড়ে অঙ্গার হওয়া দেয়াল আর খসে পড়া ইট-বালুর স্তুপ। সারি সারি বাড়িগুলো ধ্বংসস্তুপে রূপ নিয়েছে। এক নজরে মনে হবে, ভূমিকম্পে ধসে গেছে। সেই ধ্বংস্তুপের এক চূড়ায় ইফতার সাজিয়ে বসেছে তারেক আবু জিয়াদের পরিবার। মা, স্ত্রী, তিন সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যের নিয়ে স্মৃতি বিজড়িত বাড়িতে এসেছেন ২৯ বছর বয়সী এই সিরিয়ান যুবক।সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের আহিরা শহরে ছিল তারেক আবু জিয়াদের বসবাস। একটা সময় মুখরিত থাকত তাদের বাড়িটি। খোশগল্পে কাটত তাদের সময়। তিন সন্তানের দৌড়ঝাপে প্রাণ পেত বাড়িটি। কিন্তু সব শেষ হয়ে যায় গত বছর। সিরিয়ার সরকারী বাহিনী যখন শহরটিতে বিমান হামলা চালায়। পরিবার নিয়ে শহর ছেড়ে পালায় আবু জিয়াদ। শুধু তিনিই নন, তার মতো আরো অনেকে পালায়। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নয় বছরের যু’দ্ধকালীন সময়ের সর্বশেষ আক্রমণস্থল ইদলিব প্রদেশের প্রায় ১০ লাখ মানুষ তখন পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। আহিরা শহরের বাসিন্দারা চলে যান উত্তরের দিকে। চলে যান আবু জিয়াদের পরিবারও। কিন্তু স্মৃত

অর্থনীতি ছেড়ে জাত–ধর্ম নিয়েই বেশি ব্যস্ত মোদি’ মন্তব্য মার্কিন অর্থনীতিবিদের

Image
সংবাদ সংস্থা, দিল্লি:  কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যতই ১০২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথা শোনান, নতুন বছরে অর্থনীতির হালহকিকত নিয়ে মোদি সরকারের জন্য আশার কথা শোনাতে পারলেন না মার্কিন অর্থনীতিবিদ স্টিভ হাঙ্কে। উল্টে তাঁর মন্তব্য, ২০২০ আর্থিক বছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫%–‌এ ধরে রাখতে রীতিমতো বেগ পেতে হবে ভারতকে। এখন জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক্স পড়ান হাঙ্কে। একদা ছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের কাউন্সিল অফ ইকনমিক অ্যাডভাইজার্সদের অন্যতম সদস্য। হাঙ্কের মতে, ভারতের অর্থনীতিতে একসময় এলোমেলো ঋণের ছড়াছড়ি ছিল। সেগুলো জমে জমেই অনাদায়ী ঋণের পাহাড় এখন সমস্যা তৈরি করেছে। এর জেরে মূলত সমস্যায় পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। তাঁর মতে, ‘ঋণ সঙ্কোচনের কারণেই ভারতের অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়েছে। কাঠামোগত সমস্যা না হলেও এই সঙ্কট ঘুরে ঘুরে আসে। এই কারণেই ২০২০ সালে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে ধরে রাখতে ভারতকে রীতিমতো লড়াই করতে হবে।’‌ অর্থনীতির এখনকার পরিস্থিতির জন্য মোদিকেই পুরোপুরি দায়ী করেছেন এই মার্কিন অর্থনীতিবিদ। তাঁর মতে, কড়া ধরনের প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক পদ

আমার শেষ নিশ্বাসের আগেও এক টাকা হারাম খেতে চাই না

Image
সিলেট জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) পদে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের সাবেক উপকমিশনার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন। মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন গরীব অসহায় মানুষের পাশে আইনী সহায়তা সহ, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি ছুটিতে বাড়ি গেলে তার এলাকার সবার খোঁজ খবর নেন এবং যারা সহযোগীতার জন্য আসেন তাদের পাশে দাঁড়ান। নিজ কর্ম এলাকায় ও তিনি একজন পরোপকারী ও সৎ-মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিচিত। বিশেষ করে এতিমদের প্রতি উনি সদা সর্বদা সুনজর দিয়ে সাহায্যে এগিয়ে আসেন। নিজেও সমাজের বিত্তশালীদের ও সম্পৃক্ত করেন গরীব অসহায়দের সাহায্যার্থে। মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন বলেছেন, “বেঁচে থাকার জন্য টাকা দরকার আছে এটা ঠিক তবে আমার এক টাকাও হারাম কিংবা অবৈধ টাকার দরকার নেই। আমার শেষ নিশ্বাসের আগেও যেন এক টাকা হারাম খেতে না হয় আল্লাহর কাছে এটাই আমার চাওয়া