Posts

হাজার হাজার কোটি টাকার চামড়া নষ্ট

Image
ব্যবসায়ীদের কারসাজি এবং সঠিক সময়ে সরকারী সিদ্ধান্তের গাফেলতির কারণে এ বছর দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার চামড়া নষ্ট হয়ে গেল। ২০০২ সাল থেকে ধর্মপ্রাণ সুন্নী মুসলিমর া, এশিয়াখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলিয়া মাদরাসার মিসকীন ফান্ডে কোরবানি গরুর চামড়া দান করে আসছিল। তাই প্রতি বছরই চামড়া ব্যবসায়ীরা মাদরাসা মাঠে এসে গভীর রাতে নিলামের মাধ্যমে চামড়া কিনে নিত। কিন্তু এ বছর চামড়া ব্যবসায়ীরা না আসায়, এক ব্যবসায়ীর কাছে কমমূল্যে অধিকাংশ চামড়া বিক্রী করতে পারলেও, পরে দূর দূরান্ত থেকে শেষে আসা চামড়াগুলো বিক্রী করতে পারায় মাদরাসা কমিটি আশেকদের ভালবাসার হাদিয়া স্বরূপ চামড়াগুলো নিয়ে বিপাকে পড়ে। চট্টগ্রাম মহানগর এবং আশপাশের এলাকা থেকে আসা প্রায় ১৫ হাজার গরুর চামড়া বিক্রীর পর সংরক্ষণ করতে দেখা যায়। আরো বিভিন্ন দূর দূরান্ত থেকে আসা অনুমানিক হাজারের অধিক চামড়ায় লবন দিতে না পারায় চামড়াগুলো পঁচে গলে নষ্ট হয়। ফলে সকাল থেকেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্জ অপসারণ কাজে নিয়োজিত কর্মীরা এসে ট্রাকে করে নিয়ে ফেলে দিচ্ছে। -মুহাম্মদ আলী আক্কাছ নূরী

চামড়ার টাকায় মাদ্রাসার

Image
আর নয় নীরবতা, এবার হবে প্রতিবাদ। যে চামড়ার টাকায় মাদ্রাসার গরীব এতিম অসহায়রা পড়াশুনা করে সেই মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের হক যারা কেড়ে নিতে চায়, মাদ্রাসা বন্ধ হোক চ ায়, চামড়ার দাম দিতে চায়না ৩০০০ হাজার টাকার চামড়া ৩০০ টাকায় নামিয়ে আনছে তার প্রতিবাদে আজ তৈরি করলাম চামড়ার কবর। চামড়ার মূল্যের ৩০০০ আমি মাদ্রাসায় দান করবো, আর চামড়ার কবরের উপর কলা গাছ বোপন করলাম এই নিয়তে এই চামড়া পঁচে যে জৈব সার তৈরি হবে সে জৈব সারেরর উপর যে কলা উৎপন্ন হবে তাও মাদ্রাসায় দান করা হবে। যতদিন চামড়ার সঠিক মূল্য না পাবো ততোদিন আমার এই প্রতিবাদ চলবে। আপনারা যদি প্রতিবাদ না করেন মাদ্রাসাগুলো বন্ধ হবে। হোক প্রতিবাদ।

চামড়া শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা

Image
আমাদের অর্থনীতিতে সম্ভাবনাময় বড় একটি খাত চামড়া শিল্প। ২০১২-১৩ অর্থবছরে চামড়া, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে ৯৮ কোটি ২০ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী শুধু জুতার চাহিদা ছয় হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। এর মধ্যে এককভাবে ৭৫ ভাগ বাজার চীনের দখলে। আমাদের রফতানি তৃতীয়। বাংলাদেশ থেকে প্রধানত ইতালি, নিউজিল্যান্ড, পোল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে চামড়াজাত পণ্য রফতানি হয়। এছাড়াও আরো বেশ কিছু দেশে বাংলাদেশ থেকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানির সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে। গুরুত্বপূর্ণ খাত হলেও চামড়া শিল্প অনেকটা অবহেলা-অযত্ন ও অপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে চলেছে। যথাযথ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে গার্মেন্ট শিল্পের মতো এটিও হতে পারে আরেকটি শক্তিশালী রফতানি খাত। জানা যায়, ১৯৪০ সালে নারায়ণগঞ্জে প্রথম ট্যানারি স্থাপন করে চামড়া প্রক্রিয়াকরণ ব্যবসা শুরু হয়। এর পরে আরো বেশ কয়েকটি ট্যানারি গড়ে উঠেছিল সেখানে। ১৯৫১ সালে সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন-এর মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণ করে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার হাজারীবাগে স্থানান্তর করা হয় ট্যানারি। বর্তমানে দেশে ট্যানা

চামড়া শিল্পের আর্ন্তজাতিক বাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ

শিল্প নগরী স্থানান্তর নিয়ে জটিলতা আর বিশ্ব বাজারের দরপতনে দেশের চামড়া শিল্পের অবস্থান দুর্বল হচ্ছে আর্ন্তজাতিক বাজারে। টানা কয়েক বছর ধরে কমছে রপ্তানি আয়। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা না নিলে ২০২১ সালের মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের সরকারি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সম্ভাবনা কম বলে শঙ্কা চামড়া খাত সংশ্লিষ্টদের। নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয় চামড়া। যার বেশিরভাগই প্রস্তুত করা হয় বিদেশে রপ্তানির জন্য। তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসেবে, গত কয়েক বছরে দুর্বল হয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত হিসেবে বিবেচিত চামড়া শিল্প। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১৩৮ কোটি ডলারের বিপরীতে আয় হয়েছে ১০৮ কোটি ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ কম। আর এর আগের অর্থবছরের তুলনায় এ হার ছিল ১২ শতাংশ কম। চলতি অর্থবছরে এই খাত থেকে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২৮ কোটি ডলার। তবে সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও রয়েছে সংশয়। ট্যানারি মালিকরা বলছেন, ২ বছরেও সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে প্রত্যাশা অনুযায়ী সুবিধা নিশ্চিত করতে পারেনি বিসিক। সেই সঙ্গে দুশ্চিন্তা বাড়িয়

৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা

Image
স্বাধীনতার ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষে ২০২১ সালে সরকার ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তার মধ্যে শুধু পোশাক খাত থেকে রপ্তানি হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি হবে ৫ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে চামড়া শিল্প থেকে রপ্তানি আয় ১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।এটিকে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে যা যা দরকার তার সব কিছুই করবে বর্তমান সরকার। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল ওয়েসিনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রডাক্ট অফ দ্যা ইয়ার -২০১৭ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন । ৭তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় রপ্তানিতে যেসব পণ্যের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে চামড়া অন্যতম। রপ্তানি ক্ষেত্রে প্রতিবছর একটি পণ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে প্রডাক্ট অফ দ্যা ইয়ার-২০১৭ ঘোষণা করেছেন এবং সরকার সে মোতাবেক এখাতের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে চামড়াজাত দ্রবাদি রপ্তানি খাতে ১৫ শতাংশ হারে নগদ আর্থিক প্রণোদনা এবং সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রাষ্ট ও

দ্বীন মোহাম্মদের হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ

Image
ইসলাম ধর্ম প্রচারক দ্বীন মোহাম্মদ শেখ। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাদিন জেলার মাতলি শহরের অধিবাসী। ১৯৮৯ সালে ইসলাম গ্রহণ করার পর তিনি ধর্ম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। তার হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ। দ্বীন মোহাম্মদ শেখ ১৯৪২ সালে এক হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ৪৭ বছর বয়সে তিনি তার চাচার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসলমান হওয়ার পর থেকেই তিনি ধর্ম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন। বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, দ্বীন মোহাম্মাদ ১ লাখ ৮ হাজার মানুষকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন। দ্বীন মোহাম্মদ শেখ স্থানীয় আল্লাহওয়ালী জামেয়া মসজিদের সভাপতি। নিজে মুসলিম হওয়ার পর থেকে অন্য মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত দেয়াকে নিজের কাজ হিসেবে বেছে নেন। দ্বীন মোহাম্মদ শেখ অসহায় ইসলাম গ্রহণকারীদের আবাসনের জন্য প্রায় ৯ একর জায়গারও ব্যবস্থা করেছেন। যারা সেখানে বসবাস করবে। ইসলাম গ্রহণের পর দ্বীন মোহাম্মদ শেখ বলেন, ‘আমি সব সময় ইসলামকে ভালোবাসি। ইসলাম গ্রহণ করার আগে পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন করতে শুর

কাশ্মীরিদের সহায়তা করবে ‘সাইবার ৭১

Image
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং রাজ্য দুটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার বিল পাস হয়েছে ভারতের লোকসভায়। আইনটি পাস করার আগে থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল ভারত সরকার। পরে তাদের সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া কাশ্মীরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি পরিসেবা। পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত ধরনের সভা-সমাবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। সেইসঙ্গে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাশ্মীরিদের রক্ষায় বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সর্বদলীয় হুররিয়াত কনফারেন্সের(এপিএইচসি) প্রধান সাইয়েদ আলী গিলানি। টুইটারে দেয়া এক পোস্টে গিলানি বলেন, এই গ্রহে বসবাস করা সব মুসলমানের কাছে কাশ্মীরির রক্ষার বার্তা হিসেবে নিতে হবে এই টুইটকে। তিনি বলেন, যদি সবাই আমরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হই, আর আপনারা নীরব থাকেন, তাতে মহান আল্লাহর কাছে আপনাদের জবাব দিতে হবে। কাশ্মীরে মান