Posts

ইসরায়েলের সাহায্যে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারই লক্ষ্য আমিরাতের

Image
  সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস উদ্বোধন করেছে ইসরায়েল। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে চারটি আরব দেশ অর্থাৎ সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুদান, বাহরাইন ও মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে সমঝোতা পত্রে সই করেছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতই প্রথম দেশ যে কিনা গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে চুক্তিতে সই করেছিল। সেপ্টেম্বরে সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকেই আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হয় এবং দু'পক্ষের বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদের সফর বিনিময় অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হাজার হাজার পর্যটক সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছে। ইসরায়েল আবুধাবিতে দূতাবাস স্থাপন করা ছাড়াও দুবাইতে কনস্যুলেট স্থাপনের চেষ্টা করছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সর্বাত্মক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিস্তারের এই পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে তারা সম্পর্ক আরও গভীর করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম অ্যাটর্নি হচ্ছেন সায়মা

Image
  যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে মুসলিম অ্যাটর্নি। আর এতে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সায়মা মোহসিন। তিনি মিশিগানের ডেট্রয়েটের বর্তমান অ্যাটর্নি ম্যাথু সিনডারের স্থলাভিষিক্ত হবেন। খবর পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন'র। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেট্রয়েট ফ্রি প্রেস জানিয়েছে, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি নিজের দায়িত্ব বুঝে নেবেন ৫২ বছর বয়সী সায়মা মোহসিন। সংবাদমাধ্যমটি তাকে নিয় বলেছে, এশীয় বংশোদ্ভূত একজন অভিবাসী হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি বৈচিত্র্য নিয়ে আসবেন। রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের প্রধান আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা হবেন তিনি। এর আগে মার্কিন অ্যাটর্নি অফিসের সহিংস ও সংঘবদ্ধ অপরাধ ইউনিট, ড্রাগ টাস্কফোর্স, সাধারণ অপরাধ ইউনিট ও মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন সায়মা। স্থায়ী অ্যাটর্নি হিসেবে মনোনীত হতে সিনিটের অনুমোদন লাগবে সায়মা মোহসিনের। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি জেলার প্রধান কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা হলেন অ্যাটর্নিরা।

মুসলিম উম্মাহর পতন যেভাবে

Image
  মুসলিম উম্মাহর রয়েছে সোনালি অতীত। মুসলমানরা শ্রেষ্ঠ জাতি, বীরের জাতি, বিজয়ী জাতি। এক সময় বিশ্বের সব বড় বড় পরাশক্তি মুসলমানদের কাছে পরাজিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায়, মুসলিম উম্মাহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে নির্যাতিত, নিপীড়িত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত ও পরাজিত। কারণ কী? মুসলিম জাতির এমন অধঃপতন কিভাবে হলো? এর অনেক কারণ রয়েছে।  ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়া : আল্লাহর কিছু অলঙ্ঘনীয় অপরিবর্তনীয় মূলনীতি রয়েছে। একটা মূলনীতি হলো, যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো, তাহলে তিনিও তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা সুদৃঢ় করে দেবেন। (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ৭) আল্লাহকে সাহায্য করার অর্থ হলো তার দ্বিনের সাহায্য করা, তার শরিয়ত বাস্তবায়ন করা, দ্বিন কায়েমের জন্য সংগ্রাম করা। আজ মুসলমানরা ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছে, শরিয়ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহকে সাহায্য করছে না। এমতাবস্থায় এই জাতিকে আল্লাহ কেন সাহায্য করবেন? কিভাবে তাদের বিজয় আসবে? ভ্রাতৃপ্রেমের অভাব : মুসলমানরা একে অন্যের ভাই। এমনকি সারা জীবন দেখা না হওয়া বিশ্বের এক প্রান্তের মুসলমানও অন্য প্রান্তের মুসলমানের ভাই। আল্লাহ বলেন, মুমিনরা পরস্পর

মাদক থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম

Image
মানুষ সৃষ্টির সেরা। মানুষের জন্য যা কিছু কল্যাণকর ও উপকারী তা মহান আল্লাহ তাঁর পেয়ারা হাবিব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দ্বারা জানিয়ে দিয়েছেন। পক্ষান্তরে যা কিছু ক্ষতিকর ও অকল্যাণকর তা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ রব্বুল আলামিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গোটা পৃথিবীর রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছেন। ইরশাদ হচ্ছে, ‘আর আমি আপনাকে পৃথিবীর রহমতরূপে পাঠিয়েছি।’ যখন তিনি এ পৃথিবীতে আসেন তখন পৃথিবীর সর্বত্র ছিল জুলুম -নির্যাতনের বাড়াবাড়ি, বিদ্বেষ-হানাহানি, কুপ্রথা ও অশ্লীলতায় ভরপুর। মানুষ আল্লাহর ইবাদত ছেড়ে কল্পিত দেবতাদের মূর্তিপূজায় নিজেদের নিমগ্ন রেখেছিল। আর সর্বত্র অবাধে চলত মদ্যপান ও অশ্লীল বেহায়াপনা। এহেন কঠিন মুহূর্তে ইসলাম এসেছে বিশ্বমানবতার দ্বারে শান্তির বার্তা নিয়ে আল্লাহর মনোনীত একমাত্র জীবন-বিধান হিসেবে। এতে রয়েছে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক পথের সঠিক দিশা। আল কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্তুসমূহ আহার কর, যা আমি তোমাদের জীবিকা হিসেবে দান করেছি এবং আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, যদি তোমরা তারই বন্দেগি করে থাকো।’ সুরা বাকারা, আয়াত ১৭২। উপরোক্ত

বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকছে মালদ্বীপ

Image
  বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন মোড়, আলোচনার টেবিলে ৮ চুক্তি) দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমপ্রধান দেশ হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে মালদ্বীপের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উল্লেখ করার মতো নয়। তবে এবার পলিমাটি রপ্তানি করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চায় বাংলাদেশ। সরাসরি যোগাযোগের জন্য চায় উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি। আলোচনা চলছে জনশক্তি রপ্তানি নিয়েও। সম্পর্কের এই নতুন বাতাবরণে উৎসাহ দেখাচ্ছে ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশটিও। সেই তাগিদ থেকেই অন্তত ৮টি বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের পাশাপাশি অন্তত এক ডজন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে এগিয়ে আসছে মালদ্বীপ। সম্পর্কের মোড় ঘোরাতে ফেব্রুয়ারিতেই ঢাকায় আসছেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী মাসের ৯ ও ১০ তারিখ মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরটি অনুষ্ঠিত হতে পারে। ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে অন্তত ৮টি বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর এবং আলোচনার জন্য বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ইস্যু ছাড়াও সুনির্দিষ্ট আরও ১২টি ইস্যু চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- বিনিয়োগ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে সহায়তা, জলবায়ু পরিবর্তন

দেওয়ানবাগী পীর হিসাবে পরিচিত সৈয়দ মাহবুবের উত্থান যেভাবে

Image
  ছবির উৎস, DEWANBAG SHARIF ছবির ক্যাপশান, দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা ঢাকার আরামবাগ এলাকায় 'দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ' এর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা মারা গেছেন, যিনি 'দেওয়ানবাগী পীর হিসাবে' পরিচিত ছিলেন। সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়ে বলে দেওয়ানবাগ শরীফের ফেসবুক পাতায় নিশ্চিত করা হয়েছে। দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তার পুরো নাম মাহবুব-এ খোদা। তবে ভক্তদের কাছে তিনি 'দেওয়ানবাগী' হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তার বড় একটি ভক্ত শ্রেণী রয়েছে। তার বেশ কিছু বক্তব্য বিভিন্ন সময় বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে।  ইসলামপন্থীদের কেউ কেউ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিলেন। তারা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেন যে, দেওয়ানবাগীর পীর হিসাবে পরিচিত সৈয়দ মাহবুব ও তার পরিবারের সদস্যরা সৃষ্টিকর্তাকে দেখতে পান বলে দাবি করেন। এছাড়াও ইসলামের বিভিন্ন বিষয়, ইসলামের নবীকে নিয়েও তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে তার একজন মুরীদ আবদুল মান্নান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''আত্ম

অযোধ্যা রায়

Image
  বাবরি মসজিদ-রামমন্দির বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় একমত নন মুসলিম নেতারা ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান, সাতাশ বছর আগেও এখানে এই যে মসজিদ ছিল, সেখানেই মন্দির নির্মিত হবে ভারতে বাবরি মসজিদ-রামমন্দির মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর প্রায় দেড়দিন হতে চললেও কীভাবে এই রায়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে, তা নিয়ে দেশের শীর্ষ মুসলিম সংগঠনগুলোর মধ্যে তীব্র বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। মামলার অন্যতম পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এই রায় মেনে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাদের আইনজীবীরা এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড আবার এর বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার কথা বিবেচনা করছেন। অযোধ্যারই অন্যত্র মসজিদ বানানোর জন্য সুপ্রিম কোর্ট যে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করেছে তা নিয়েও মুসলিম সমাজের নেতারা একমত নন। তারা কেউ বলছেন এই 'দয়ার দান' প্রত্যাখ্যান করা উচিত, কেউ আবার মনে করছেন ওই জমি নিয়ে সেখানে স্কুল-কলেজ বা হাসপাতাল গড়া দরকার। ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান, রায় ঘোষণার পর সাংবাদিক সম্মেলনে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের নেতারা বস্তুত সাতাশ বছর আগে অযোধ্য