Posts

করোনা ভাইরাস: যে পাঁচটি জিনিস মহামারিতে বাংলাদেশের মানুষ বেশি ব্যবহার করছে

Image
ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান, বাংলাদেশে পথেঘাটে এখন মাস্ক পরা নতুন কোন দৃশ্য নয় করোনাভাইরাস মহামারি মানুষের জীবনকে যেমন বিপর্যস্ত করেছে তেমনি আচার-আচরণ পাল্টে দিয়েছে অনেক। বাংলাদেশে ২০২০ সালের মার্চের আগে মানুষ যে জিনিসগুলো নিয়মিত ব্যবহার করতো না এখন সেগুলো হয়েছে নিত্য সঙ্গী। এমন পাঁচটি জিনিস যেগুলো ছাড়া এখন মানুষ ঘরের বাইরে বের হওয়ার কথা চিন্তা করছে না। মাস্ক করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রথম যে জিনিসটা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে সেটা হল মাস্ক। বাংলাদেশের বড় শহরগুলো বিশেষ করে ঢাকায় প্রায়ই বায়ু দূষণের মাত্রা চরমে পৌঁছালেও আগে মানুষকে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি ঘোষণা করার পর মানুষ মাস্ক পরা শুরু করে। ফলে এর বিক্রি যায় বেড়ে। ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান, সার্জিকাল মাস্ক রাখা হত যেগুলো শুধুমাত্র মেডিকেলে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে থাকতো যেসব দোকানে কখনোই মাস্ক পণ্য হিসেবে রাখা হত না সেসব দোকান তো বটেই, এমনকি ওষুধের দোকান, সুপার শপ এমনকি রাস্তার হকাররা এখন মাস্ক বিক্রি করেছে। চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে। গুলশান এবং খিলগাঁও এর

ভারতে মুসলিম ছেলে ও হিন্দু মেয়ের বিয়ে রুখতে আইন চাইছে বিজেপি

Image
  ছবির উৎস, SAM PANTHAKY ছবির ক্যাপশান, তথাকথিত লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে গুজরাটের আহমেদাবাদে হিন্দু নারীদের সমাবেশ ভারতে মুসলিম যুবকদের সঙ্গে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে, যেটাকে বিজেপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো 'লাভ জিহাদ' বলে বর্ণনা করে থাকে, তা এবার আইন করে বন্ধ করার কথা বলছে উত্তরপ্রদেশ বা হরিয়ানার মতো একাধিক রাজ্য। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই প্রসঙ্গে এমনও হুমকি দিয়েছেন, হিন্দু মেয়েদের ইজ্জত নিয়ে ভিন ধর্মের যারা খেলবে তারা যেন নিজেদের অন্ত্যেষ্টি যাত্রার জন্য প্রস্তুত থাকে! ভারতের মুসলিম নেতারা অবশ্য আইন করে তথাকথিত লাভ জিহাদ ঠেকানোর প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছেন। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে ভারতীয় সমাজে এই ধরনের স্পর্শকাতর একটি বিষয় নিয়ে আবেগ ক্রমশ বাড়ছে এবং রাজনীতিকরাও তার ফায়দা তুলতে চাইছেন।

রামমন্দিরের জন্য চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা

  ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য চাঁদা সংগ্রহকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। ইন্দোর, মান্দসৌর, উজ্জয়িনী-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মুসলিম সমাজের নেতারা অভিযোগ করছেন, রামমন্দিরের চাঁদা তোলার মিছিল ইচ্ছে করে তাদের মহল্লা দিয়ে নিয়ে গিয়ে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে এবং মসজিদেও ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধেও এই সব ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাত দেখানোর অভিযোগ উঠেছে, তবে পুলিশ কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্যের বিজেপি সরকার তা জোরালোভাবে অস্বীকার করছে। বস্তুত সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত হওয়ার পর গত আগস্টেই সেই মন্দিরের ভূমিপূজা সম্পন্ন হয়েছে, এখন চলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেই মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থসংগ্রহের কাজ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো বিভিন্ন সংগঠন বাইক মিছিলের আয়োজন করে মন্দিরের জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলতেও শুরু করেছে। ছবির উৎস ছবির ক্যাপশান মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের নেতা আরিফ মাসুদ পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাত দেখানোর অভিযোগ এনেছেন

কাবা শরীফের গিলাফে ৬৭০ কেজি রেশম, ১২০ কেজি সোনা

Image
  কাবা শরীফের গিলাফে ৬৭০ কেজি রেশম, ১২০ কেজি সোনা! প্রতিবছর বছর ৯ জিলহজ মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরীফের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। আর এটি করে থাকে কাবা শরীফের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সৌদি সরকার। আরব নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ বছরের নতুন গিলাফ তৈরিতে সৌদি সরকার খরচ করেছে আনুমানিক ২২ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল। গিলাফ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬৭০ কেজি খাঁটি রেশম, ১২০ কেজি খাঁটি সোনার সুতা এবং ১০০ কেজি রূপার সুতা। গিলাফে ব্যবহৃত রেশম আনা হয়েছে ইতালি থেকে এবং সোনা জার্মান থেকে। সোনার সুতা দিয়ে গিলাফের বিভিন্ন অংশে কোরআনের আয়াত লেখা হয়েছে। আর এ গিলাফ তৈরিতে প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক সারাবছর কাজ করেছেন। গিলাফটি খুব টেকসই ও মানসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়, যেন রোদ-বৃষ্টিতে গিলাফ নষ্ট না হয়। এদিকে, সম্প্রতি মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের প্রধান ড. আবদুর রহমান আস সুদাইস নির্দেশনা দিয়েছেন, এখন থেকে কাবার গিলাফ ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের সময় আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের মেশিনারিজ ব্যবহারের। তিনি বলেন, মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববীর নির্মিত ও নির্মাণাধীন যত

ইরানি নৌবাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ জাহাজ

Image
  ইরানের নৌবাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় জাহাজ । সমুদ্র অভিযানে ইরানি নৌবাহিনীকে লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্য এ জাহাজ ব্যবহৃত হবে এবং এতে হেলিকপ্টার বহন করা সম্ভব হবে। জাহাজটি সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। বুধবার মাকরান নামের এ জাহাজটি আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানি নৌবাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে। -পার্সটুডে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি এবং সেনাবাহিনীর চিফ কমান্ডার মেজর জেনারেল আব্দুর রহিম মুসাভি। ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে, এডেন উপসাগরের বাবুল মান্দেবে এবং লোহিত সাগরের মতো এলাকায় ইরানের সামরিক বাহিনীর অভিযানের সময় এই জাহাজ লজিস্টিক সাপোর্ট দেবে। এ ধরনের জাহাজকে ভ্রাম্যমাণ বন্দর বলা হয় এবং এমন সামুদ্রিক অভিযানের সময় জাহাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে থাকে। জাহাজটির ডেকে হেলিকপ্টার, গানশিপ এবং ড্রোন ওঠানামা করতে পারবে। এছাড়া নৌবাহিনীর জন্য হোভারক্রাফট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের নৌযান বহন করতে পারবে। উত্তাল সমুদ্রের মারাত্মক প্রতিকূল অবস্থার ভেতরেও এ জাহাজ তার মিশন চালাতে পারবে। আ

ভূগর্ভস্থ মিসাইল ঘাঁটির ছবি প্রকাশ করল ইরান

Image
  যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই পারস্য উপসাগরের তীরে বড় একটি ভূগর্ভস্থ মিসাইল ঘাঁটির ফুটেজ প্রকাশ করলো ইরানের এলিট বাহিনী ইসলামি বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি)। খবর আল- জাজিরার। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, আইআরজিসি’র উচ্চ পর্যায়ের কমান্ডাররা ভূগর্ভস্থ ওই অস্ত্র গুদামে প্রবেশ করছে। গুদামের সিঁড়িতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকা আঁকা রয়েছে, যাতে করে কেউ সেটিতে প্রবেশ করার সময় এগুলোর ওপর দিয়ে হাঁটতে পারে। এরপর তারা দীর্ঘ টানেল ধরে হেঁটে যেতে থাকেন। এসময় বিভিন্ন ধরনের মিসাইল দেখা যায়। আবার লঞ্চারসহ বহু ট্রাকও দেখা যায়। লঞ্চারগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে আইআরজিসির প্রধান হুসেইন সালামি বলেন, আমাদের পেছনে আপনারা মিসাইল এবং তাদের লঞ্চ সিস্টেম দেখতে পাচ্ছেন। মিসাইলের এই কলাম কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। আইআরজিসি নেভির এ ধরনের ‘বহু’ ঘাঁটি আছে বলেও মন্তব্য করেছেন সালামি। তিনি বলেন, আইআরজিসি নেভি মিসাইলগুলো কয়েকশ’ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এগুলো নিখুঁত হামলার ক্ষমতা বেড়েছে এবং খুবই বিধ্বংসী। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা ব

ফিলিস্তিনের মতোই নির্যাতিত কাশ্মীর : ইমরান খান

ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিন ও ভারতশাসিত কাশ্মিরে বর্তমানে একই পরিস্থিতি বিরাজমান করছে। ফিলিস্তিনের মতোই নির্যাতিত ভারতশাসিত কাশ্মীর বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী   ইমরান খান । বুধবার তুরস্কের এক টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনের সাথে যা করছে এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে পারে না। ইহুদিবাদী রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেয়ার পেছনে তিনি দু’টি কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, প্রথমত কাশ্মীরে আর ফিলিস্তিনে বর্তমানে একই পরিস্থিতি রয়েছে। আমরা যদি দখলদার ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেই তবে কাশ্মীরের প্রতি ভারতের কর্মকান্ডকে সমর্থন জানানো হবে। যা সম্প‚র্ণভাবে আমাদের রাষ্ট্রের নৈতিকতার লঙ্ঘন। দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানের নীতি প্রণয়নের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কথা স্মরণ করে ইমরান খান বলেন, এ বিষয়ে তিনি বলছিলেন, যতদিন না ফিলিস্তিনের মাটি থেকে অন্যায় নিমূর্ল হচ্ছে এবং তারা তাদের ভূখন্ড ফিরে না পাচ্ছে ততদিন পাকিস্তান ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না। পশ্চিমাদের ইসলামোফোবিয়ার বিষয়ে ইমরান খান বলেন, পাশ্চাত্য নেতারা যারা ইসলামোফোবিয়