Posts

১৫ বছর পর নির্বাচন ফিলিস্তিনে

Image
  ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ বিভাজন নিরাময়ের প্রয়াসে ১৫ বছর পর প্রথমবার শুক্রবার সংসদ ও প্রেসিডেনসিয়াল নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটানোর এই নির্বাচন চলতি বছরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হবে। আব্বাসের অফিস থেকে শুক্রবার একটি ডিক্রি জারি করে জানানো হয়েছে আইনসভা নির্বাচন হবে ২২ মে। এরপর প্রেসিডেনসিয়াল ভোট ৩১ জুলাই। ফিলিস্তিনে সর্বশেষ সংসদীয় নির্বাচন হয় ২০০৬ সালে। সবাইকে অবাক করে হামাস সেই নির্বাচনে জিতে যায়। তবে ফাতাহর সঙ্গে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে কেন্দ্রীয়ভাবে সরকার গঠন করতে না পেরে গাজা নিয়ন্ত্রণ নেয় ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের দলটি। দুই পক্ষের ঐকমত্য : দেশটির প্রধান দুই পক্ষ ফাতাহ ও হামাস গত সেপ্টেম্বরে জানায় প্রায় পনেরো বছরের মধ্যে প্রথম কোনো নির্বাচন নিয়ে তারা ঐক্য পৌঁছেছে। এর ফলে পশ্চিম তীরের ফাতাহ ও ফিলিস্তিন সরকার (পিএ) প্রধান মাহমুদ আব্বাস এবং গাজার সরকার হামাসের প্রধান রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তুরস্কে দুই পক্ষের মধ্যে এই সমঝোতা হয়। আল-জাজিরা।

হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে তুর্কি অ্যাপ বিআইপি’তে যোগদানের হিড়িক

Image
  মার্কিন প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে তুর্কি বার্তা আদান প্রদানের অ্যাপ বিআইপি (BiP) তে যোগদানের হিড়িক চলছে। হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের প্রাইভেসি পলিসিতে বিতর্কিত পরিবর্তন আনার পর থেকেই তুরস্কের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপীই নতুন নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে অ্যাপটির। বিশেষত মুসলিম বিশ্বের ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বিআইপি। নিরাপদভাবে বার্তা আদান-প্রদানকারী অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তুরস্কের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় টেলিকম সংস্থা ‘তুর্কসেল’। বিআইপি ২০১৩ সালে চালু হয়ে কয়েক বছরের ব্যবধানে ১৯২টি দেশে বিস্ময়কর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক মুরাত এরকান জানান, গত ৬ জানুয়ারি হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের পলিসিতে পরিবর্তন আনে। এরপর থেকেই গেল কদিনে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ ব্যবহারকারী বিআইপি ইনস্টল করেছেন। খবর ডেইলি সাবাহর। তুর্কসেলের মহাব্যবস্থাপক আরও জানান, গত শুক্রবার থেকে ৬৪ লাখ ব্যবহারকারী হোয়াটঅ্যাপস ছেড়ে বিআইপিতে যোগদান করেছেন। বর্তমান পরিবেশে বিআইপি নিরাপদ স্থান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমরা টেলিগ্রামের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছি। গত রোববার ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের আশঙ্কায় ত

ওমরাহ করতে গিয়ে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি

Image
  করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সৌদি আরবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পবিত্র ওমরাহ পালন। দীর্ঘদিন পর মক্কার দুয়ার মুসলমানদের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হয়। এরপর এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ ওমরাহ পালনকারী এবং মুসল্লি গ্র্যান্ড মসজিদে ইবাদত করেছেন। তবে ওমরাহ ও ইবাদত করতে গিয়ে কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম গালফ বিজনেস। সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ সালেহ বেনতেনের বরাতে সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে গালফ বিজনেস। করোনার বিস্তার রোধে গত মার্চে ওমরাহ স্থগিত করে সৌদি আরব। পরে সেপ্টেম্বরে দেশটি জানায়, তারা ধাপে ধাপে ওমরাহ চালু করবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ অক্টোবর থেকে আবারও ওমরাহ চালু করে দেশটি।

কেয়ামতের আগে যেসব আলামত প্রকাশ পাবে

Image
  ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কেয়ামত হচ্ছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ধ্বংসের দিন। যেদিন পৃথিবী অসীমের মাঝে বিলীন হয়ে যাবে। সেদিন মহান আল্লাহ ছাড়া আর কোনো কিছুর অস্তিত্ব থাকবেনা। কেয়ামতের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা ইসলাম ধর্মে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কেয়ামতের আকীদা ছাড়া একজন মুসলমান মহান আল্লাহর মুমিন বান্দা হতে পারেনা। পৃথিবী যখন পাপে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে, মহান আল্লাহর নাম নেয়ার মতো পৃথিবীতে পুন্য বা নেক আমল করার মতো কেউ থাকবেনা তখন কেয়ামত সংঘটিত হবে। কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট দিনের বা সময়ের বর্ণনা নেই তবে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর কিছু আলামত বা লক্ষণের কথা বলা হয়েছে। কেয়ামত সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন শরীফে বলেন- ‘তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কিয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে? বলে দিন, এর খবর তো আমার পালনকর্তার কাছেই রয়েছে। তিনিই তা অনাবৃত করে দেখাবেন নির্ধারিত সময়ে। আসমান ও যমীনের জন্য সেটি অতি কঠিন বিষয়। যখন তা তোমাদের ওপর আসবে, তখন অজান্তেই এসে যাবে।’ (সূরা আরাফ, আয়াত -১৮৭) পবিত্র কোরআনে আরো বর্ণিত আছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে।’ (সূরা লুক্বমান, আয়াত-৩৪) মহান আল্লাহ তায়ালা আর

কমান্ডো’ ছবি ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ : মাওলানা সাইফুল্লাহ

Image
  সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা দেব অভিনীত চলচ্চিত্র ‘কমান্ডো’র টিজার প্রকাশ পেয়েছে ইউটিউবে। ‘কমান্ডো’ ছবিটি পরিচালনা করছেন বাংলাদেশের পরিচালক শামীম আহমেদ রনী। তবে টিজারেই বিতর্ক তৈরি করেছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘কমান্ডো।’ শামীম আহমেদ রনি পরিচালিত এই ছবিতে ইসলামকে অবমাননা করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ তুলেছেন মাওলানা আব্দুল্লাহ হাই সাইফুল্লাহ। টিজার থেকে কয়েকটি ছবির স্ক্রিনশট নিয়ে তিনি ‘কালেমা’র ব্যবহারকে জঙ্গিবাদের সিম্বল হিসেবে টিজারে যে দেখানো হয়েছে, সেটা তুলে ধরেছেন। দুনিয়াব্যাপী ইসলাম নিয়ে যে বহু পর্যায়ের ষড়যন্ত্র চলছে, এই সিনেমা তারই অংশ বলে মনে করছেন মাওলানা সাইফুল্লাহ। নিজের ফেসবুক পেইজে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমা দেখি না, খবরও রাখি না; কিন্তু অনলাইন দুনিয়ায় যেহেতু আছি, সিনেমার টিজারের স্ক্রিনশট দেখে কপাল কুঁচকে গেল। দুনিয়াব্যাপী ইসলাম নিয়ে যে বহু পর্যায়ের ষড়যন্ত্র চলছে, এই সিনেমা তারই অংশ বলে মনে হচ্ছে। ইসলাম আর মুসলমানদের নানা কৌশলে এত দিন দাড়ি, টুপি, জুব্বা, রুমাল, সুরমাকে রাজাকার, বদমায়েশ, চরিত্রহীনদের পোশাক বানিয়ে অপমান করেছে ভারত ও এ দেশের মুভি মেকাররা। এবার যৌথ উদ্য

ইন্দোনেশিয়ার বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও শরীরের টুকরো উদ্ধার, সব যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা

Image
  ইন্দোনেশিয়ার বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও শরীরের টুকরো উদ্ধার, সব যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা ইন্দোনেশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সাগরে পড়েছিল তা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল আগেই। এবার উপকূলে ভেসে এল দেহাবশেষ। এই অবস্থায় পাইলট, বিমানকর্মীসহ যে ৬২ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি উড়েছিল, তাঁদের মধ্যে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই ধারণা উদ্ধারকারীদের। রোববার (১০ জানুয়ারি) সাগর থেকে শ্রীবিজয়া এয়ারের বেশকিছু ধ্বংসাবশেষ ও কারো শরীরের টুকরো পাওয়ার দাবি করেছে উদ্ধারকারীরা। ইন্দোনেশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী বুদি ক্যারিয়া সুমাদি গণমাধ্যমে জানান, ‘যে জায়গায় ধ্বংস হয়েছিল, সম্ভাব্য অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। সেখান থেকে বস্তা পাওয়া গেছে। একটি কাপড় অন্যটিতে কারও দেহের টুকরো। এই জিনিসগুলো নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’ শনিবার ১০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে যাত্রীবাহী বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই জাভা সাগরে আছড়ে পড়ে। সাগরে বিমানের সন্ধান ও নিখোঁজ উদ্ধারে চলছে তৎপরতা। রাতভর অভিযানের ফলে বিমানটি যে জায়গা ধ্বংস হয় ওই এলাকা শনাক্ত করা গেছে। তারপরও উদ্ধারকারীদের চোখে ঘুম নেই। হেলিকপ্টার-জাহাজ নিয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো

৪ দেশের ক্ষেপণাস্ত্রে হুমকির মুখে ইসরাইল, গবেষণা সংস্থা

Image
  ইহুদিবাদী ইসরাইলের ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিস জানিয়েছে, চলতি ২০২১ সালে ইসরাইলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরানের নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র। এই প্রতিষ্ঠান এক গবেষণা রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে। ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিস আরও বলেছে, ২০২০ সালে ইরান পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় এবং ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ প্রকল্প জোরদার করায় ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তন সূচিত হয়। এ সময় ইসরাইলের সেনাবাহিনীর শক্তি হ্রাস পেয়েছে। ইসরাইলের এই প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিবেদনে দখলদার সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেছে, ২০২১ সালে মিশর, জর্ডান ও ফিলিস্তন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। একইসঙ্গে হামাস যাতে শক্তি বাড়াতে না পারে সে পদক্ষেপ নিতে হবে। হামাসের সামরিক হামলা ঠেকানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ইরান পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিসের রিপোর্টে দাবি করা হলেও বাস্তবতা হচ্ছে ইরান এখনও এই সমঝোতায় রয়েছে এবং সমঝোতার শর্ত মেনেই কিছু প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন স্থগিত রেখেছে।