Posts

সউদীকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরাইল

Image
  অন্য আরব মিত্রদের সামনে ঠেলে দিলেও ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সউদী আরব নিজে যে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে সেই ইঙ্গিত এখন স্পষ্ট। গত দুদিনে সউদী রাজপরিবারের অত্যন্ত গুরুত্বপ‚র্ণ দুই সদস্যের মুখে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা শোনা গেছে, তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ইসরাইলি নেতারা। সউদী আরব খুব স্পষ্টবাদী যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইলে ফিলিস্তিন বিরোধ সমাধান করতে হবে, ২০০২ সালের আরব শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বাধীন টেকসই একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হতে হবে। সউদী আরব পিছিয়ে গেলে বাকি আরব দেশগুলোর সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী দাঁড়াবে তা নিয়েও ইসরাইলি নেতাদের মনে উদ্বেগ ঢুকছে সন্দেহ নেই। সউদী আরবের নিওম শহরে গত মাসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী   বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে গোপন এক বৈঠকের পর পর্যবেক্ষকরা বলতে শুরু করেন যে, সউদী আরব-ইসরাইল ক‚টনৈতিক সম্পর্ক এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। যদিও সউদী আরব ওই বৈঠক হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে, কিন্তু ইসরাইল সরকারের মৌনতা এবং পশ্চিমা গোয়েন্দাদের ইঙ্গিতের ভিত্তিতে প্রায় সবাই নিশ্চিত যে বৈঠকটি হয়েছিল। কিন্তু বাহরাইনের রাজধা

নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ইঞ্জিনের ট্রায়াল দিয়েছে তুরস্ক

Image
  এই প্রথম সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ইঞ্জিনের প্রাথমিক ট্রায়াল দিল তুরস্ক। শনিবার তুরস্কের এসকেশেহর প্রদেশে তুসাস ইঞ্জিন ইন্ডাস্ট্রির তৈরি টার্বোসফট ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা চালায় তুর্কি প্রতিরক্ষা দফতর। আনাদোলু এজেন্সি তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, তুরস্কের তৈরি এই ইঞ্জিনটি তুর্কি সামরিক বাহিনীর মাল্টিরোল হেলিকপ্টার টি৬২৫ গোকবে’তে ব্যবহার করা হবে। সে সঙ্গে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী অন্যান্য হেলিকপ্টারেও ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়। তুরস্কের তৈরি এই ইঞ্জিনটি প্রায় ১৬০০ হর্সপাওয়ারের শক্তি উৎপন্ন করে। তুরস্কের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ভার্নাক বলেন, এর মাধ্যমে আমরা বছরে অন্তত ৬০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক আমদানি এড়াতে পারব। আনাদোলু।

ইসরাইলের কাছ থেকে গোলান মালভূমি পুনরুদ্ধার করবই: সিরিয়া

Image
  দখলদার ইসরাইলের কাছ থেকে গোলান মালভূমির দখলীকৃত অংশ পুনরুদ্ধারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছে সিরিয়া। দেশটির উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাশার আল-জাফারি আরবি নিউজ চ্যানেল আল-মায়াদিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব ও নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির কাছে আলাদা চিঠি লিখে গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের অবৈধ তৎপরতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে দামেস্ক। গোলান মালভূমি দখলে আমেরিকাকে ইহুদিবাদীবাদী ইসরাইলের অংশীদার বলে উল্লেখ করেন জাফারি। তিনি বলেন, অধিকৃত গোলান মালভূমির প্রতি মার্কিন সরকারের নীতির সঙ্গে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী নীতির কোনো পার্থক্য নেই। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও নজিরবিহীনভাবে অধিকৃত গোলান মালভূমি পরিদর্শন করেন।আমেরিকার ইতিহাসে এর আগে কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই দখলীকৃত ভূখণ্ড সফর করেননি। পম্পেও ওই সফরে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন গোলানের ওপর ইসরাইলের দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। ইহুদিবাদী ইসরাইল ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে সিরিয়ার আল-কুনেইত্রা প্রদেশের অন্তর্গত গোলান মালভূমি দখল করে নেয় এবং ১৯৮৩ সালে নিজ ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু জাত

পম্পেওর অবৈধ ইহুদি বসতি পরিদর্শনে ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভ

Image
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও আসন্ন মধ্যপ্রাচ্য সফরে একটি অবৈধ ইহুদি বসতি পরিদর্শনের যে পরিকল্পনা করেছেন তার ঘোর বিরোধিতা করেছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাতাইয়্যাহ এবং ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন- হামাস পম্পেওর পরিকল্পিত ওই সফরের তীব্র বিরোধিতা করেছে। খবর আল জাজিরার। শাতাইয়্যাহ শুক্রবার পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে সফররত বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একাতেরিনা জাখারিয়েভা’র সঙ্গে সাক্ষাতে বলেন, পম্পেওর পরিকল্পিত সফর অনুষ্ঠিত হলে অবৈধ ইহুদি বসতিগুলোকে বৈধতা দেয়া হবে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের একটি ভয়ঙ্কর উদাহরণ তৈরি হবে। মাইক পম্পেও আগামী সপ্তাহে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবরদখল করে নির্মিত ইহুদি বসতি ‘স্যাগোট’ পরিদর্শন করবেন বলে কথা রয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা হবে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো কোনো অবৈধ ইহুদি বসতি পরিদর্শন। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম আল-কুদস দখল করে নেয় ইহুদিবাদী ইসরাইল। তখন থেকে এ পর্যন্ত দখলীকৃত ওই ভূখণ্ডে অন্তত ২৩০টি অবৈধ ইহুদি বসতি নির্

ফিলিস্তিনে উচ্ছেদ বন্ধ করতে ইসরাইলকে ইইউ’র আহ্বান

Image
ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর উচ্ছেদ বন্ধ করতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।  বুধবার এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র পিটার সানটো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।  বিবৃতিতে বলা হয়, এই সপ্তাহে ইসরাইল জোরপূর্বকভাবে ফিলিস্তিনিদের ৭০টির বেশি অবকাঠামো গুড়িয়ে দেয়। ধ্বংস করা ওই স্থাপনাগুলোর মধ্যে ছিল বসত ঘর, জীবনধারণ ও সেনিটেশন সুবিধা ইত্যাদি। খিরবাত হামসা আল-ফোকা এলাকার ৪১জন শিশুসহ ১১টি ফিলিস্তিনি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।  তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে এ বছরের শুরুতে আবারও বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উচ্ছেদের সবচেয়ে বেশি হুমকিতে রয়েছে সেন্টার ওয়েস্ট ব্যাংকের রাস আল-তিন কমিউনিটির স্কুল। এটির কো-ফাউন্ডার হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইইউ সদস্যভুক্ত বেশকিছু রাষ্ট্র।  ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানায়, বর্তমানে ফিলিস্তিনের ৫২টি স্কুল উচ্ছেদ হুমকির মধ্যে রয়েছে।  বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ জানায়, এ বছর এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের ৬৮৯টি অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হয়েছে।  

পশ্চিম তীর থেকে ইহুদি বসতি সরানোর আদেশ ইসরায়েলি সুপ্রিম কোর্টের

Image
  ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখল করে পশ্চিম তীরে যেসব ইহুদি বসতি গড়ে উঠেছে সেগুলো সরিয়ে ফেলার আদেশ দিয়েছে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে জেলা আদালতের দেওয়া রায়কে বাতিল করে নতুন এই রায় দেন ইসরায়েলের সর্বোচ্চ আদালত। খবর আলজাজিরার। খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীরকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবেই চায়। ওখানে ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করেন। তাদের মধ্যে বসতি গড়ে তুলেছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ইসরায়েলি। জানা গেছে, জেলা আদালত যখন ফিলিস্তিনিদের জমির ওপর বসতি স্থাপনকারীদের আইনগত অধিকার দিয়েছিলেন, তখন তাদের এটা জানা ছিল না যে, মূল মানচিত্রে এসব জমি ফিলিস্তিনিদের হিসেবে দেখানো হয়েছে। জর্ডান উপত্যকায় একটি পাহাড়ের চূড়ায় ২০ বছর আগে বসতি স্থাপন করা ৪০টি পরিবার রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনিদের মালিকানাধীন প্লটে বাস করে। তাদের দাবি, তারা সেখানে বাস করার জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কাজটি অন্যায্যভাবে করেছে এবং তারা ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য মালিকানাকে উপেক্ষা করেছে। প

হোয়াইট হাউসে প্রথম ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা নিয়োগ দিচ্ছেন বাইডেন

Image
  প্রথমবারের মতো কোনো ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হোয়াইট হাউসে কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দীর্ঘদিনের সহকারী ফিলিস্তিনি নারী রিমা দোদিকে হোয়াইট হাউসের আইন প্রণয়নবিষয়ক উপপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন। খবর মিডলইস্ট মনিটর, হারেৎস ও ওয়াফা বার্তা সংস্থার। ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনের হেবরন শহরের দুরা এলাকায় জন্ম নেয়া রিমা দোদি হোয়াইট হাউসে নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন। রিমাকে নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে জো বাইডেন বলেন, মার্কিন জনগণ আমাদের প্রশাসনের কাজ শুরুর অপেক্ষায় আছে। ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত এ নারীকে নিয়োগের মাধ্যমে সব নাগরিকের প্রতি আমাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।