Posts

সাগর তীরে দৃষ্টিনন্দন ‘অষ্টকোণা মসজিদ’

Image
   সাগর তীরে দৃষ্টিনন্দন ‘অষ্টকোণা মসজিদ’। ছবি : সংগৃহীত কয়েক শ’ গজ দূরেই কৃষ্ণসাগরের অথৈ নীলাভ জলরাশি। সাগরের শোঁ শোঁ আওয়াজ মসজিদ থেকে অনায়াসেই শোনা যায়। নির্মাণশৈলীর অভিনবত্বের পাশাপাশি সৈকতের কিনারায় হওয়ায় মসজিদটি সবদিক থেকেই নয়নাভিরাম। দর্শনার্থী ও পর্যটকদের বেশ টানে মসজিদের সৌন্দর্য-আভা। স্থানীয়দের কাছে মসজিদটি ‘অষ্টকোণা মসজিদ’ নামে পরিচিত। এমন দৃষ্টিনন্দন ও মুগ্ধকর দৃশ্যের মসজিদ তুরস্কের পদুযজে প্রদেশে অবস্থিত। এটির অফিসিয়াল নাম ‘আকচাকোজা মার্কাজ মসজিদ’। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি স্থাপত্যশৈলীর জন্য মসজিদটি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তুর্কি যাযাবর উপজাতিগুলোর ঐতিহ্যবাহী তাবু ‘ওতা’র নকশা অবলম্বনে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৮৯ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তুরস্কের বিখ্যাত শিল্পী এরগুন সুবাশির নকশা করেন। দীর্ঘ পনের বছর পর ২০০৪ সালে মুসল্লিদের মসজিদটি খুলে দেওয়া হয়। সেলজুক যুগের ঐতিহ্য-শিল্প তুলে ধরতে তখনকার পুরাতন তাবুর নকশা অবলম্বন করে মসজিদটির নকশা করা হয়েছে। মসজিদটির ভেতরের অংশের আয়তন এক হাজার ৩০০ বর্গ কিলোমিটার। বাইরের আঙ্গিনার আয়তন

চরিত্রবান দুনিয়া-আখেরাতে সফল

Image
      ছবি : প্রতীকী রাসুল (সা.)-এর অন্যতম প্রিয়তমা ও বিচক্ষণ স্ত্রী উম্মে সালমা (রা.) একদিন রাসুল (সা.)-এর কাছে বসা ছিলেন। আখেরাতের প্রস্তুতি নিয়ে নবী (সা.) তখন কথা বলছিলেন। এমন সময় উম্মে সালমা (রা.) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কোনো নারীর দুনিয়াতে দুজন স্বামী ছিল। মারা যাওয়ার পর সবাই জান্নাতে প্রবেশ করল। ওই নারী তখন কোন স্বামীর সঙ্গে থাকবে? রাসুল (সা.) বলেন, ‘উভয়ের মধ্যে যার চরিত্র বেশি সুন্দর, তার সঙ্গে থাকবে।’ একথা শুনে উম্মে সালমা (রা.) খুব আশ্চার্যান্বিত হন। রাসুল (সা.) তার অবাক হওয়া দেখে বলেন, ‘হে উম্মে সালমা, শুনে রাখো, সুন্দর চরিত্রের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতের সব কল্যাণ লাভ করা যায়।’ (তাবরানি, হাদিস নং : ২২২/২৩) রাসুল (সা.) জ্ঞানের দিক থেকে কিংবা নামাজ-রোজায় এগিয়ে থাকা স্বামীর কথা উল্লেখ করেননি। বরং বলেছেন, চরিত্রবান লোকের সঙ্গে থাকবে। কারণ সুন্দর চরিত্র দিয়ে দুনিয়া-আখেরাতের সব কল্যাণ লাভ করা যায়। দুনিয়ার কল্যাণ হলো, সৃষ্টিজীবের অন্তরে তার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। আখেরাতে আল্লাহর কাছে তার জন্য থাকে অফুরন্ত সওয়াব। মানুষের ভালো কাজ যত

ইসলামে জনপ্রতিনিধির যেসব গুণ থাকা চাই

Image
      ছবি : প্রতীকী একটি সভ্যসমাজের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিনিধিত্বপূর্ণ সমাজব্যবস্থা। আর তাই প্রতিনিধিত্বপূর্ণ সমাজ দিয়েই আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে মানবসভ্যতার সূচনা করেছিলেন। আদি পিতা হজরত আদম (আ.) ছিলেন মানবজাতির প্রথম প্রতিনিধি ও প্রথম নবী। যুগে যুগে মহান আল্লাহ তাআলা যত নবী ও রাসুল হিসেবে পাঠিয়েছেন, তাদের সবাইকেই সমকালীন মানবগোষ্ঠীর সর্বোত্তম গুণাবলির অধিকারী করে ওই সমাজের প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বস্তুত জনপ্রতিনিধি বিশাল জনগোষ্ঠীর সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বহন করেন। জনপ্রতিনিধির সামগ্রিক যোগ্যতা, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার ওপর ভিত্তি করে কোনো সমাজ ও জাতির ভবিষ্যৎ নির্মিত হয়। সুতরাং জনপ্রতিনিধির বৈশিষ্ট্যগুণে যেমন একটি সমাজ ইতিহাসের স্বর্ণচূড়ায় আরোহণ করতে পারে, তেমনি তার ব্যর্থতা একটি জাতিকে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করতে পারে। জনপ্রতিনিধিত্বের সবচেয়ে বড় অঙ্গন হলো জাতীয় সংসদ। সুতরাং সংসদ নির্বাচনই যে বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সে জন্যই জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের গুরুত্ব সীমাহীন। এ

মার্কিন নৌবাহিনীতে হিজাবধারী মুসলিম নারী

Image
      স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে জেনেভ্রা এম উইলসন। ছবি : সংগৃহীত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে চাকরিরত একজন আমেরিকান মুসলিম নারীকে হিজাব পরার অনুমোদন দেয়ার পাশাপাশি তাকে চিফ পেটি অফিসার পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এ নৌ-চিফ পেটি অফিসারের নাম জেনেভ্রা এম উইলসন। তাকে পদোন্নতির পাশাপাশি হিজাব পরিধানের অনুমোদন অব্যাহত রাখায় মার্কিন নৌবাহিনীর রিজার্ভকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন কাউন্সিলের জর্জিয়ার নির্বাহী পরিচালক এডওয়ার্ড আহমেদ মিচেল। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, উইলসন নিজের অধিকার রক্ষা করতে পেরেছে। অন্যান্য ধর্মানুসারীদের জন্যও উইলসন অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমেরিকান মুসলমানদের স্বাধিকার রক্ষায় উইলসনের প্রতিটি কীর্তি অসাধারণ ভূমিকা রাখবে। এ বছরের ২৭শে জুলাই সিআইআর-জর্জিয়ার নৌবাহিনীর কাছে উইলসন হিজাব পরিধানের অনুমোদন অব্যাহত রাখার আবেদন করেন। আনুষ্ঠানিক অনুমতি মিলতে কয়েক মাস সময় লেগে যায়। তবে অনুমোদনের জন্য অপেক্ষাকালীন উইলসন হিজাব পরিধান অব্যাহত রাখেন। শেষ পর্যন্ত নভেম্বর মাসে তিনি আনুষ্ঠানিক অনুমোদন লাভ করেন। হিজাব পরিহিত অবস্থ

মুহাম্মদ আলীর সেই বাড়িতে হচ্ছে ইসলামিক স্কুল

Image
মুহাম্মদ আলীর সেই বাড়িতে হচ্ছে ইসলামিক স্কুল   মুহাম্মদ আলীর দৃষ্টিনন্দন খামারবাড়ি। বিশ্ববিখ্যাত বক্সিং কিংবদন্তী মুহাম্মদ আলী ক্লের খামারবাড়িটি মুসলিম যুবকদের জন্য গ্রীষ্মকালীন ইসলামিক স্কুল হতে যাচ্ছে। বাড়িটির বর্তমান মালিক ও তুর্কি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তুকিন ফাউন্ডেশন ইসলামিক স্কুল হিসেবে বাড়িটি ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে। খবর আল-খালিজ অনলাইন ও তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ’র। এ প্রসঙ্গে তুকিন ফাউন্ডেশনের সভাপতি বির্ম তুরান বলেন, বাড়িটি বিক্রি হওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেখেই অবিলম্বে আমরা তা কিনে নিয়েছিলাম। মুহাম্মদ আলী ক্লের জীবনের শেষ দুই দশক আমি তার সঙ্গে এখানে অতিবাহিত করেছি। বাড়িটি শিকাগোর কাছাকাছি হওয়ায় একটি বড় সুবিধা হয়েছে যে, সেখানে একটি বৃহত্তর মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস। আমরা এই অনিন্দ্য সুন্দর ও মনোরম জায়গাটি আলীর স্মৃতির স্মারক করে রাখতে চাই। এছাড়াও এটি আশপাশের এলাকার মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রীষ্মকালীন স্কুলে পরিবর্তন করা হবে। এতে শিক্ষার্থীরা আলীর জীবনাদর্শে অনুপ্রাণিত হবে এবং সফলতার রূপরেখা নির্ণয় করতে পারবে। সর্বোপরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলি

যে মসজিদে ৭০ জন নবী নামাজ আদায় করেছেন

Image
যে মসজিদে ৭০ জন নবী নামাজ আদায় করেছেন ইসলাম ডেস্ক : হজের আনুষ্ঠানিকতার অন্যতম অংশ হলো- শয়তানের প্রতীকী স্তম্ভে কঙ্কর নিক্ষেপ করা। এই কঙ্কর নিক্ষেপের স্থানের খুব কাছে ঐতিহাসিক ‘মসজিদে খায়েফ’ অবস্থিত। এই মসজিদে ৭০ জন নবী নামাজ আদায় করেছেন। সওর পাহাড়ের বিপরীত দিকের পাহাড়ের অদূরে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদের আলোচনা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। বিশাল মসজিদটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে আসা হাজিদের মনে করিয়ে দেয় ইতিহাসের অনেক ঘটনাকে। বৃহদাকার মসজিদের উচুঁ মিনারগুলো বেশ দূর থেকে পাহাড়ের চূড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বর্ণিত আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এই মসজিদে নামাজ আদায় করছেন এবং বলেছেন, এখানে সত্তরজন নবী সমাহিত হয়েছেন। নবী করিম (সা.) বিদায় হজে মসজিদে খায়েফে নামাজ পড়েছেন। এই মসজিদের অনেক ফজিলত হাদিস ও ইতিহাসের গ্রন্থসমূহে উল্লেখ আছে। পাহাড়ের চেয়ে নিচু এবং সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচু স্থানকে আরবি পরিভাষায় খায়েফ বলা হয়। আবার দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী উপত্যকাসম ভূমিকেও খায়েফ বলে আরবরা। অপরদিকে, খায়েফ মসজিদ হচ্ছে মক্কার কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়ের এক স্মৃতিচিহ্ন। ইতিহাসে এসেছে, প

কুরআনের সুন্দর্য

আল-কুরআনের ঘটনাবলী দ্বীনি উদ্দেশ্যের অনুগামী হওয়ার প্রমাণ ১. আমরা ইতোপূর্বে বলেছি, যে সমস্ত ঘটনাবলী আল-কুরআনে বর্ণিত হয়েছে তা দ্বীনি উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের পরিপূরক। ঘটনাগুলো যে দ্বীনের অনুগামী তার প্রমাণ কাহিনীগুলোতেও বিদ্যমান। আমি নিচে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রমাণ সম্পর্কে আলোচনা করতে চাই। সেসব ঘটনাবলী দ্বীনি উদ্দেশ্যের পরিপূরক হওয়ার প্রথম প্রমাণ হচ্ছে- একই ঘটনা বিস্তারিত কিংবা সংক্ষিপ্ত আকারে কয়েক জায়গায় তার পুনরাবৃত্তি। কিন্তু ভাবনার বিষয় হচ্ছে, সেখানে পুরো ঘটনা বর্ণিত হয়নি, বর্ণিত হয়েছে ঘটনার বিশেষ বিশেষ অংশ।– খাস করে ঐ অংশগুলো বর্ণিত হয়েছে যেখানে উপদেশ ও শিক্ষা বর্তমান- সম্পূর্ণ ঘটনা একই সাথে বর্ণিত হয়েছে কদাচিত উপদেশ ও শিক্ষা বর্তমান- সম্পূর্ণ ঘটনা একই সাথে বর্ণিত হয়েছে কদাচিত এমন ঘটেছে। তা-ও করা হয়েছে বিশেষ কারণ, পরম্পরা ও উপযোগিতাকে সামনে রেখে। অবশ্যই ঘটনার বর্ণনার সময় আমি এ ব্যাপারে আভাস দিয়েছি। যখন পাঠক ঘটনার পুনরাবৃত্তির অংশগুলো পাঠ করেন এবং তার পূর্বাপরের দিকে দৃষ্টি নিক্সেপ করেন তখন পুরো ঘটনাটিকেই সংগতিপূর্ণ বলে দখেতে পান। পাঠক মনে কনে যেখানে যে অংশ নেয়া হয়েছে